সাস্কাতুনে বাংলা নাটক 'অভিশপ্ত প্রতিকৃতি'

নাটকের দৃশ্য
নাটকের দৃশ্য

সাস্কাতুনে সম্প্রতি মঞ্চস্থ হয়েছে বাংলা নাটক ‘অভিশপ্ত প্রতিকৃতি’। মঞ্চস্থ হয় স্থানীয় সেন্ট পল ইউনাইটেড চার্চে। সাস্কাতুনপ্রবাসী নুরুল হুদা পলাশ ১৯৯২ সালে একাত্তরের পটভূমিকায় নাটকটি রচনা করেন। এরপর ‘একাত্তরের রাজাকার’ নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, টিএসসিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মঞ্চস্থ হয়। সুদীর্ঘ ২৩ বছরে বাংলাদেশের অনেক কিছু বদলালেও বদলায়নি একাত্তরের ঘাতক-দালালেরা। তারা কেউ কেউ প্রকাশ্যে এবং অনেকে লোকচক্ষুর অন্তরালে এখনো করে যাচ্ছে দেশ ও সমাজবিরোধী কাজকর্ম। তেমনই একটি চরিত্র এই নাটকের মূল ভূমিকায় রয়েছে, নাটকে যার নাম সর্দার। সর্দারের একমাত্র সুখদুখের সাথি হাবলু মিয়া যে সর্দারের সহযোগী।
সর্দার একাত্তরে রাজাকারের ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে তার ছেলে রুস্তম মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। বাবার ওই অপরাধ রুস্তম কোনোদিন ক্ষমা করতে পারেনি। নাটকের অন্যান্য চরিত্র আলম, সখিনা, জুলমত, দসর গ্রামের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। যারা বহুকাল ধরেই সর্দারের নানা অত্যাচারে জর্জরিত। গ্রামের মেম্বার যথারীতি তার নৈমিত্তিক চুরি চামারির মাধ্যমে শোষণ করে যাচ্ছে গ্রামের সাধারণ মানুষকে।

নাটকের দৃশ্য
নাটকের দৃশ্য


নাটকটি আপাতঃদৃষ্টিতে গতানুগতিক মনে হলেও সাবলীল চরিত্রায়ন, ঘটনার আকস্মিকতা, হাস্যরস, নাটকের উত্থান এবং একটি অর্থবহ পরিসমাপ্তি মঞ্চ নাটকটিকে দিয়েছে একটি ভিন্ন মাত্রা। সব মিলিয়ে একটি অসম্ভব উপভোগ্য নাটক দর্শকেরা উপভোগ করেছেন। বিদেশে, বিশেষ করে সাস্কাতুনের মতো একটি শহরে এমন একটি নাটক সফলভাবে মঞ্চস্থ করা অনেক কষ্টকর ছিল। বাংলাদেশি কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন অব সাস্কাচেওয়ানের পৃষ্ঠপোষকতা, সবার সার্বিক সহযোগিতা ও অক্লান্ত পরিশ্রমে এমন একটি নাটক মঞ্চায়ন সম্ভব হয়েছে।
নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে যাঁরা রূপদান করেছেন তাঁরা হলেন: সর্দার-আশফাক আহমেদ, হাবলু মিয়া-রাজীব পোদ্দার, আলম-নাজমুল হাসান বাপ্পি, সখিনা-খালেদা পারভীন, রুস্তম-জাকির হোসেন, দসর-মোহামেদ হক, মেম্বর-আবুল হোসেন, জুলমত-নুরুল হুদা পলাশ ও মুক্তিযোদ্ধার চরিত্রে জীবন পোদ্দার। নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন লেখক নিজেই। বিজ্ঞপ্তি।