সাউথ জার্সিতে প্রবাসীদের হ্যালোইন উৎসব উদ্যাপন
আজ থেকে কয়েক শ বছর আগে আইরিশ ও স্কটিশরা আমেরিকায় ‘হ্যালোইন’ উৎসবের সূচনা করে। প্রতি বছর অক্টোবরের ৩১ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রে মহাসমারোহে এ উৎসব পালিত হয়। দিবসটির অনেক আগে থেকেই এখানে তার পদধ্বনি শোনা যায়।
হ্যালোইন উৎসবকে কেন্দ্র করে দোকানগুলোতে হ্যালোইন কস্টিউম বিক্রির ধুম পড়ে যায়। ভ্যাম্পায়ার, জম্বি, ডাইনি, স্পাইডারম্যান, সুপারম্যান, ব্যাটম্যান, রবিনের পোশাকই বেশি বিক্রি হয়। পোশাকের পাশাপাশি বিক্রি হয় নানা বর্ণ, রঙে রঞ্জিত মুখোশ, কমলা রঙের ঝুড়ি। অনেক বাড়ি ও দোকানের সামনে সাজিয়ে রাখা হয় মিষ্টিকুমড়া। ফুলের দোকানে বিক্রি হয় বড় বড় কুমড়ো। কেউ কেউ আবার কুমড়ার গায়ে চোখ-নাক মুখ এঁকে রাখেন; মাকড়সার জাল বিছিয়ে, কঙ্কাল টাঙ্গিয়ে ভৌতিক একটা পরিবেশ তৈরি করেন।
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের উৎসব হলেও ‘হ্যালোইন’ এখন সর্বজনীন উৎসবের রূপ নিয়েছে। সেই সর্বজনীনতা ছুঁয়েছে প্রবাসে বেড়ে ওঠা প্রজন্মকেও। তাদের কাছে হ্যালোইনের ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার চাইতে এর বিনোদনের দিকটা বেশি আকর্ষণীয়। হ্যালোইনের আগে পরে কয়েক দিন এখানকার শিশু-কিশোরদের আনন্দ থাকে সীমাহীন।
নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের সাউথ জার্সিতে বসবাসকারী প্রবাস প্রজন্মও হ্যালোইন উৎসবে মেতে উঠেছিল। সন্ধ্যা গড়াতেই অনেকে হ্যালোইন পোশাক ও নানা মুখোশ পরে বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে ক্যান্ডির খোঁজে দরজায় কড়া নাড়ে। দরজা খুলতেই ভয় দেখিয়ে বলে ‘ট্রিক অ্যান্ড ট্রিট’। গৃহকর্তারাও সহাস্যে ক্যান্ডি বিলিয়ে দেন। দোকানিরাও মুক্ত হস্তে বিলান ক্যান্ডি। এভাবেই ক্যান্ডি সংগ্রহ করতে করতে রাত বাড়ে। আস্তে আস্তে হ্যালোইনের আনন্দও ফিকে হয়ে আসে। শুরু হয় আরেক বছরের প্রতীক্ষা।
আটলান্টিক সিটির মেয়র ডন গার্ডিয়ান তাঁর নির্বাচনী সদর দপ্তরে হ্যালোইন উৎসবের আয়োজন করেন। এতে বিপুলসংখ্যক শিশু-কিশোর অংশ নেয়।