প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার ৪ সেপ্টেম্বর সংখ্যায় লেখক আবদুস শহীদের লেখা ‘একাত্তরের সিপাহসালার’ প্রবন্ধের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ। নানা কারণে উপেক্ষিত জেনারেল ওসমানীকে নিয়ে লেখা এ প্রবন্ধ সময়োপযোগী ও আলোচনার দাবি রাখে।
তবে প্রবন্ধে উল্লেখ বলা হয়েছে, পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে জেনারেল ওসমানী উপস্থিত থাকেননি। প্রবন্ধে লেখক এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়টি বিভিন্ন মহলে নানা সময়ে আলোচিত হতে দেখা যায়। আলোচনায় জেনারেল ওসমানীর এই অনুপস্থিতি নিয়ে এক ধরনের সংশয় প্রকাশ করা হয়। লেখক আবদুস শহীদও তাঁর প্রবন্ধে বিষয়টিকে ‘ধোঁয়াটে’ বলে উল্লেখ করেছেন। অথচ প্রকৃত বিষয় নিয়ে কোনো সংশয় থাকার কথা নয়। ঘটনাটি মোটেই ধোঁয়াটে নয়। বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষণার পর থেকেই একটি স্বাধীন দেশের সঙ্গে আরেকটি দেশের যুদ্ধ চলছিল। ভারতের সঙ্গে তখন বাংলাদেশের সম্পর্ক সরকার পর্যায়ে। জেনারেল ওসমানী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সেনাপ্রধান ছিলেন।
পাকিস্তানি সেনাদের আত্মসমর্পণের অনুষ্ঠান সেনাপ্রধান পর্যায়ের ছিল না। তাই সেখানে বাংলাদেশের পক্ষে সেনাবাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড উপস্থিত ছিলেন। ভারতীয় পূর্বাঞ্চলের অধিনায়ক জেনারেল অরোরার সঙ্গে এ কে খন্দকার আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সেনাবাহিনীর প্রোটোকল অনুযায়ী সেনাপ্রধানের সেখানে উপস্থিত থাকার কথা নয়। ফলে রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি সেনাদের আত্মসমর্পণ সেনা প্রোটোকল মেনেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নিয়ে কোনো সংশয়ের কোনো অবকাশ নেই।