শ্রম সম্মেলনে গ্লোবাল কল টু অ্যাকশন প্রস্তাবনায় নেতৃত্ব বাংলাদেশের

কোভিড মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী শ্রম বাজারে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, তা থেকে দ্রুত উত্তরণের লক্ষ্যে এবারের আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে একটি গ্লোবাল কল টু অ্যাকশন গৃহীত হয়েছে। প্রস্তাবনায় কোভিড মহামারিতে শ্রমিকশ্রেণি, বিশেষত স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিরসনে তাঁদের কোভিড টিকা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রীর (পিপিই) প্রাপ্যতা এবং যথাযথ বেতন ভাতার সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।

বিশ্ব শ্রমবাজার ও অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে পৃথিবীর সব দেশের সব মানুষের জন্য সময়োচিত ও সাশ্রয়ী কোভিড টিকার ন্যায়সঙ্গত প্রাপ্যতার প্রয়োজনীয়তা জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া কোভিড-১৯–এর প্রতিকূল প্রভাবে বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসমতা দূরীকরণ ও শ্রমবাজারে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় রাষ্ট্রগুলোকে যথাযথ সহায়তা প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাকে অধিকতর কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়। মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে, বিশেষত নারী, বৃদ্ধ ও অভিবাসীদের জন্য বিশেষ কর্মপন্থা প্রণয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণের ওপর আলোকপাত করা হয়।

প্রস্তাবনায় মহামারি–পরবর্তী একটি টেকসই, গণমুখী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়। এ গুরুত্বপূর্ণ দলিলটি শ্রম সম্মেলনের কোভিড–সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটিতে দীর্ঘ আপস-আলোচনার পর চূড়ান্ত করা হয়।
জেনেভার বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান ওই কমিটিতে সভাপতিত্ব করেন। উল্লেখ্য, একই সময়ে কমিটিতে বাংলাদেশ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সমন্বয়কের ভূমিকাও পালন করে এবং এ অঞ্চলের মহামারি–সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে তা মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করে। বিজ্ঞপ্তি