মাদ্রিদে বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন
ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে স্পেনের মাদ্রিদে বাংলাদেশ দূতাবাস গত শনিবার বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ উদ্যাপন করেছে। দিবসের কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম ছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। বেলা ১১টায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পয়লা বৈশাখের মুখোশ, ফেস্টুন ও ব্যানারে সুসজ্জিত হয়ে দূতাবাস প্রাঙ্গণ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা দূতাবাসের সম্মুখের সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, স্পেনপ্রবাসী বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা, সাংবাদিক নেতারা তাঁদের পরিবারের সদস্যসহ অংশ নেন।
মঙ্গল শোভাযাত্রার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ। তিনি তাঁর বক্তব্যে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের বর্ণাঢ্য ইতিহাস বর্ণনা করে বলেন, ‘বাংলা নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। পয়লা বৈশাখ বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং জাতির সর্বজনীন উৎসব। মঙ্গল শোভাযাত্রা ধর্ম-বর্ণ–নির্বিশেষে সব বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ।
যেমনটি আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন।’
ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ইউনেসকো ২০১৬ সালে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্থান দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি বাঙালিদের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও সম্মানের।
পরে দূতাবাসের হলরুমে আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ আরও বলেন, বাংলা নববর্ষ বাঙালি জাতীয় জীবনে পরম আনন্দের দিন। চির নতুনের বার্তা নিয়ে আমাদের জীবনে বয়ে নিয়ে আসে নতুনের বার্তা। তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রদর্শন ও আদর্শের অন্যতম ভিত্তি ছিল দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও জাতীয় চেতনার উন্মেষ।
এ সময় তিনি দেশীয় ঐতিহ্যকে ধারণ করার পাশাপাশি বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিদেশের মাটিতে যথাযথভাবে তুলে ধরার জন্য আগত বাংলাদেশিদের তিনি নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল একটি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যার মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা মনোমুগ্ধকর বিভিন্ন জনপ্রিয় সংগীত পরিবেশন করেন। পরে অংশগ্রহণকারী মহিলা, শিশু–কিশোর ও পুরুষদের জন্য বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার পরিবেশন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি