বিজয়ের মাসে পাকিস্তানে বাংলাদেশি খাদ্য উৎসব

বাংলাদেশের সমৃদ্ধি সাংস্কৃতিক ভাবমূর্তি ও ঐতিহ্যবাহী রন্ধনশিল্পকে স্থানীয় সুধী মহলে তুলে ধরার প্রয়াসে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে বাংলাদেশি খাদ্য উৎসব (বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যাল) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের মহান বিজয়ের ৪৫তম বার্ষিকী উদ্যাপনের অংশ হিসেবে ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশন গতকাল শনিবার (৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় একটি পাঁচতারা হোটেলে এই উৎসবের আয়োজন করে।
খাদ্য উৎসবে ভাত, পোলাও, খিচুড়ি, গরু, খাসি ও মুরগির মাংস, রুই, আইর, শোল ও চিংড়ি মাছের তরকারিসহ হরেক পদের সুস্বাদু খাবার এবং রসগোল্লা, পায়েসসহ বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন পরিবেশন করা হয়।

উৎসবে অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান বলেন, শস্য–শ্যামল ও নদীমাতৃক বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের চাল, সবজি ও মাছের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়। তবে অন্যান্য অঞ্চলের কিছু বৈশিষ্ট্য আত্মীকরণের মাধ্যমে বর্তমান বাংলাদেশের খাবার অনেক সমৃদ্ধ। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশি খাবার এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সমান জনপ্রিয়। অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নওয়াবজাদা মালিক আহমদ খানও বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানস্থলে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পসহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী প্রদর্শন করা হয়। অতিথিরা গভীর আগ্রহের সঙ্গে সামগ্রীগুলো অবলোকন করেন।
বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক ও পাকিস্তানের প্রায় তিন শ গণমান্য ব্যক্তি ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা খাদ্য উৎসবে যোগদান করেন এবং বাংলাদেশি খাবার ও এই ধরনের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
