প্রোডাকটিভিটি কনসালট্যান্ট

এক বিজনেস কনসালট্যান্ট মার্কেটিং করতে এসেছেন ছোট একটা ফ্যাক্টরিতে। মালিক তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন—

‘আপনার স্পেশালটি কি? মানে আপনি ম্যানুফ্যাকচারিং ব্যবসার কোন দিকে, কী বিষয়ে বিশেষজ্ঞ’—

কনসালট্যান্ট বলল, ‘জি, কারখানার প্রোডাকটিভিটি বাড়ানোই আমাদের কোম্পানির বিশেষত্ব। এ বিষয়ে আমরা প্রায় অথোরিটি বলা যায়। আপনি চাইলে আজই একটা প্রপোজাল দিয়ে যেতে পারি। পরের সপ্তাহে এসে খোঁজ নেব। কিছু জিজ্ঞাস্য থাকলে ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে বলব। ফোনও করতে পারেন। এই আমার বিজনেস কার্ড।’

মালিক বলল, ‘নিশ্চয়ই, অবশ্যই। তা কীভাবে সেটা করেন, জানতে বড় কৌতূহল হচ্ছে। একটু কি হিন্টস দেওয়া যায়?’

কনসালট্যান্ট: বিষয়টা একটু জটিল। এর অনেক নিয়ম, স্তর ও পরীক্ষা–নিরীক্ষা আছে। তবে সহজ করে বললে দাঁড়ায়, আমাদের পার্সোনাল লাইফ সুষ্ঠুভাবে চালাতে হলে যেমন বেশ প্রোডাক্টিভ ও ইফিসিয়েন্ট হতে হয়, অনেকটা তেমনই। এর আরম্ভটি হচ্ছে পাঙ্কচুয়্যালিটি দিয়ে। মানে বুঝলেন তো, এর প্রথম পদক্ষেপ হলো কর্মচারীদের অতি অবশ্যই ঠিক টাইমে অফিসে হাজির করাতে হবে। সেই স্টেপটা আয়ত্তে এসে গেলেই তারপর থেকে পরের স্টেপগুলো।’

মালিক: ‘বাহ, চমৎকার। আপনি তাহলে এক কাজ করুন। আগামী সোমবার ঠিক সকাল আটটায় আমার অফিসে আসুন। তারপর এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে।’

আমার মোট ৩০ জন এমপ্লয়ি। এত দিন তাদের জন্য ৩০টা ফ্রি পার্কিং স্পট ছিল। আমি তার মধ্যে ২৭টি ফ্রি পার্কিং রেখে বাকি ৩টি পেইড পার্কিং করে দিয়েছি। মানে কেবল ওই তিনটি স্পটে যারা পার্ক করবে, তাদের পয়সা দিতে হবে। সেই দেখে কর্মচারীরা হেপাহেপি করে প্রায় সবাই সময়ের আধা ঘণ্টা আগেই চলে আসে। যাদের দুই এক মিনিট লেট হয়...।

সেইমতো কনসালট্যান্ট সোমবার সকালে অফিসে এসে দেখেন, সব কর্মচারী ইতিমধ্যে এসে পুরোদমে কাজ করে চলেছে। উনি তো অবাক। মালিককে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হঠাৎ আপনার এমপ্লয়িরা এত পাঙ্কচুয়্যাল হয়ে গেল কি করে? ”

মালিক: একটা সোজা উপায় মাথায় এল, ভাবলাম ট্রাই করে দেখি। আর তাতেই দেখছি বেশ কাজ হয়ে গেল।’

কনসালট্যান্ট: কি রিকম?

মালিক: খুবই সোজা একটা ব্যাপার। আমার মোট ৩০ জন এমপ্লয়ি। এত দিন তাদের জন্য ৩০টা ফ্রি পার্কিং স্পট ছিল। আমি তার মধ্যে ২৭টি ফ্রি পার্কিং রেখে বাকি ৩টি পেইড পার্কিং করে দিয়েছি। মানে কেবল ওই তিনটি স্পটে যারা পার্ক করবে, তাদের পয়সা দিতে হবে। সেই দেখে কর্মচারীরা হেপাহেপি করে প্রায় সবাই সময়ের আধা ঘণ্টা আগেই চলে আসে। যাদের দুই এক মিনিট লেট হয়...।

তাঁর কথা শেষ হওয়ার আগেই কনসালট্যান্ট অফিস থেকে বোঁ করে বেরিয়ে সোজা নিজের গাড়িতে।