নীল সাগরের জলরাশি, বিশ্ববিখ্যাত ট্রয়া সৈকত, ক্যাসিনো, হোটেল-মোটেল কী নেই ছোট্ট এই শহরটিত। রাজধানী লিসবন থেকে শহরটির দূরত্ব মাত্র ৪০ কিলোমিটার। বাস অথবা ট্রেনে ইউরোপের দীর্ঘতম সেতু ভাস্কো দা গামা পার হলেই খুব কম সময়ে দর্শনার্থীরা পরিদর্শন করতে পারবে শহরটিতে।
একসময় এ শহরটি মুসলমানদের দখলে ছিল, তখনকার যুগে শহরটিকে সবাই সেতুবার নামেই জানত। পরে ১৮৬০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্তুগালের রাজা পেদ্রো শহরটিকে সেতুবাল নামে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। সেই স্বীকৃতিকে সম্মান জানিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বরকে বাৎসরিক পৌরসভার ছুটির দিন হিসেবে গণনা করা হয়।
মাছের জন্য পুরো পর্তুগালে অনেক জনপ্রিয় এবং কয়েক দশক আগপর্যন্ত দেশটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফিশিং বন্দর ছিল সেতুবাল। হরেক রকমের মাছ রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মাত্র ২ ঘণ্টার জন্যে মার্কাদো দ্য লিভ্রামেন্টোতে বিক্রি করা হয়। স্থানীয়দের মতে, পুরো পর্তুগালে মাছ ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য এর চেয়ে ভালো জায়গা আর নেই। উল্লেখযোগ্য মাছগুলোর মধ্যে তাজা কড, স্কুইড, সোল, সার্ডিন মাছ, স্ক্যাভার্ড ফিশ, ঝিনুক, গিল্ট-হেড এবং বার্নকেলস অন্যতম।
পর্তুগিজ কবি বোকেজের জন্মস্থান ও সেতুবালে। লেখকের সম্মানে শহরটির মধ্যখানে নির্মাণ করা হয়েছে বোকেজ চত্বর।
ইতিহাস এবং ঐতিহ্যঘেরা শহরটিতে রয়েছে ২০০০ বছর আগের সাও ফিলিপের শক্তিশালী দুর্গ, পুরাতন স্থাপত্যশিল্প, ১৪৯২ সালের ফ্রান্সিসকান কনভেন্তো দি জেসুস, দেড় মিলিয়ন বছর আগের ৩০ মিটার (৯৮ ফুট) লম্বা ডাইনোসরের পায়ের ছাপ, ১৪৩০ সালের পুরোনো বাতিঘর এবং দ্বিতীয় রাজা পিটার এর নির্মিত তীর্থস্থান।
আটলান্টিক সাগরের কোল ঘেঁষে ট্রয়া সৈকতের সাদা বালু যে কাউকে মনোমুগ্ধকর করে তুলবে। সারি সারি বাঁধা স্পিডবোটগুলো সৈকতের সৌন্দর্যগুলোকে আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে তুলেছে।