তেহরানে জাতীয় শোক দিবস পালন

ইরানের রাজধানী তেহরানের বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে বিনম্র শ্রদ্ধায় বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে দূতাবাস কর্তৃক ১৫ আগস্ট এক আলোচনা সভা ও ভিডিওচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ইরানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ কে এম মজিবুর রহমান ভূঁইয়া শোকাবহ এই দিনের শুরুতে দূতাবাস ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন।

আলোচনা পর্বে বঙ্গবন্ধুর জীবনে ঘটে যাওয়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নানা বিচিত্রময় ও ঐতিহাসিক দিক তুলে ধরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনান হয়। বাণী উপস্থাপনার ফাঁকে ফাঁকে দূতালয় প্রধান এ টি এম মোনেমুল হক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবন, সংগ্রাম, বাংলাদেশের সূচনা ও স্বপ্নের দীর্ঘ পরিসর নিয়ে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন।
আলোচনায় বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, প্রত্যাশা ও প্রবাসে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিদের বঙ্গবন্ধুর কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের বাংলাদেশ গঠনের আহ্বান জানান। আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর মো. সবুর হোসেন, মহাহিসাবরক্ষক মো. জাকির হোসেইন, ডেপুটি ডিরেক্টর তোফায়েল আহমেদ এবং রেডিও তেহরানের সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ মুসা রেজা।

সভাপতির বক্তব্যে এ কে এম মজিবুর রহমান ভূঁইয়া বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের নানা দিক উল্লেখ করেন। তিনি জাতির পিতাকে নিয়ে রচিত কবিতা, গানের উদ্ধৃতি তুলে ধরে অত্যন্ত জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেন। প্রতিটি প্রবাসীর কাছে বিশেষত আগামীর প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর শৈশব, কৈশোরের অজানা গল্পগুলো তুলে ধরার বিশেষ আহ্বান জানান।

মুমিত আল রশিদ: সহকারী অধ্যাপক, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে পিএইচডি গবেষক, শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়, তেহরান, ইরান।