জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও জনগণের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ সিলেটের আলোকিত হাফিজ পরিবারের কৃতি সন্তান। বাবা ছিলেন খ্যাতনামা আইনজীবী ও শিক্ষাবিদ সিলেট ল’ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল আবু আহমেদ আবদুল হাফিজ, মা সৈয়দা শাহারবানু। মোমেনের মা শাহারবানু নানা গুণে গুণান্বিত সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষানুরাগী, সমাজকর্মী বিদুষী একজন নারী।

বিশিষ্ট গবেষক, সাহিত্যিক, কূটনীতিক, অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত লেখক ড. মোমেন স্বল্প সময়ের ব্যবধানে রাজনীতিতে যোগ দিয়ে সিলেট–১ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

গবেষক ড. মোমেনের লেখা বইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’। প্রায় ৪১৫ পৃষ্ঠার বই দুটি ব্যক্তিগত কর্মকর্তার মাধ্যমে আমাকে উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন আমার বাসায়, আমি কৃতজ্ঞ।

ঝকঝকে সাদা কাগজে ছাপা ও চমৎকার মলাটে আবদ্ধ বই দুটি এখন আমার পড়ার টেবিলে। হাতে নিয়ে বই দুটি ওলটপালট করে করে মনে হলো এগুলো পড়ে আমি কেন, যেকোনো মননশীল পাঠক, লেখকের জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ হবে। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বই দুটি আদ্যোপান্ত পড়ব। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অক্লান্ত শ্রম, বিশেষ করে তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার চারবারের প্রধানমন্ত্রিত্বকালে দেশ ও জাতির প্রতি অবদান, রাজনৈতিক দর্শন ওদূরদর্শিতার সাফল্য’ এবং এ দেশের উন্নয়ন সম্বন্ধে তার মনোভাব জানার একটা উত্তম মাধ্যম।

উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নিবেদিতপ্রাণ ও আমার প্রেরণার প্রতীক ড. মোমেন ‘বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’ বইয়ের কোনো এক জায়গায় গুরুজনদের উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছেন, এক লাইন লেখার আগে অন্তত ২০ লাইন পড়ে নাও’। চমৎকার এ উপস্থাপনা, অবনতমস্তকে স্বীকৃত।

আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, অনেক অজানা তথ্যে সমৃদ্ধ সার্বক্ষণিক টেবিলে রাখার মতো সুখপাঠ্য, সহজ-সরল ভাষায় উপস্থাপিত বই দুটি রেফারেন্স বুক হিসেবে যুগ যুগ ধরেই কাজে লাগবে। এগুলোর প্রচার, প্রচারণা প্রয়োজন।

শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন ড. মোমেনকে। সমাজসেবা, সাহিত্যসাধনা, সাংবাদিকতা, সাংস্কৃতিক, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বব্যাপী উন্নয়নে আপনার বহুবিধ কর্মযাত্রা অব্যাহত থাকুক, প্রত্যাশা আমাদের।