জাপানের কিয়ুশু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় দিবস
পেশা কিংবা পড়াশোনার খাতিরে যাঁরা দেশের বাইরে অবস্থান করেন, তাঁদের মন সততই কাতর থাকে দেশের জন্য। তাই দেশের যেকোনো জাতীয় দিবস উদ্যাপনে সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পড়েন বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে।
জাপানের কিয়ুশু বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের উদ্যোগে ফুকুয়াকায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে সম্প্রতি হয়ে গেল বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের ৪৮তম পূর্তি উৎসব।
নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে থেকেই লাল-সবুজ শাড়ি আর পাঞ্জাবি পরে সবাই হাজির হতে শুরু করেন অনুষ্ঠানস্থল ডরমিটরি–১–এর অডিটরিয়ামে।
বিকেল সাড়ে চারটায় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত আর বিজয়ের কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
আমন্ত্রিত অতিথি কিয়ুশু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বিদ্যুৎ বরণ সাহা, সহযোগী অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম ও রিতসুমেইকান এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুনিম কুমার বাড়ৈ অন্য অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন।
পরবর্তী সময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নিহত তাঁর পরিবারের সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদ ও সম্ভ্রম হারানো নারীদের স্মরণে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়।
এরপর পিএইচডি গবেষক মো. কামরুজ্জামান সবুজের সঞ্চালনায় শুরু হয় আলোচনা অনুষ্ঠান। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট, ভয়াবহতা আর প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি নিয়ে উপস্থিত অতিথিদের প্রাণবন্ত আলোচনা উপস্থিত দর্শকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উপভোগ্য হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন ও অগ্রগতির অব্যাহত ধারা বজায় রেখে দেশকে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দেওয়ায় প্রবাসীদের অবদান ও সম্ভাব্যতাও সমানভাবে আলোচিত হয়।
২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সফলভাবে উদ্যাপনের আশাবাদ ব্যক্ত করা হয় আলোচনায়।
পরবর্তী সময়ে মুনতাসির আলম আর মহুয়া জাহানের সঞ্চালনায় শুরু হয় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। মুক্তিযুদ্ধের গান, কবিতা আবৃত্তি, এম আর আখতার মুকুলের কিংবদন্তি ‘চরম পত্র’ পাঠ ও শিশুশিল্পীদের বিভিন্ন পরিবেশনায় মুখর হয়ে ওঠে অডিটরিয়াম।
দেশীয় আয়োজনের নৈশভোজের সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানেন অধ্যাপক বিদ্যুৎ বরণ সাহা।
–––
ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম ভূঞা: মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। বর্তমানে পোস্ট-ডক ফেলো, কিয়ুশু বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান।
ই–মেইল: <[email protected]>