জাপানিদের ভিনদেশি জীবনসঙ্গী

জাপান সরকারের অভিবাসন সূত্রে প্রকাশ ২০১৩ সালে জাপানে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৬১৩টি বিয়ে নিবন্ধিত হয়েছে। এর মধ্যে ২১ হাজার ৪৮৮টি বিয়ে হয়েছে বিদেশি ছেলে অথবা মেয়ের সঙ্গে। অর্থাৎ প্রতি ৩০টি বিয়ের একটি বিদেশিদের সঙ্গে। ১৯৬৫ সালে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ৪ হাজার ১৫৬। ১৯৮০ সালে তা বেড়ে হয় প্রায় ২০ হাজার। ১৯৯৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ হাজার। ২০০৬ সালে তা সর্বোচ্চ ৪৪ হাজার ৭০১ জনে। ইমিগ্রেশন বিভাগের কড়াকড়ি ও নানান পারিপার্শ্বিক কারণে পরবর্তীতে বিদেশি বিয়ের সংখ্যা কমতে থাকে। বাংলাদেশিদের সঙ্গে জাপানিদের বিয়ের সংখ্যা খুব বেশি নয়। সংখ্যাটা ৮০০-৯০০ জনের কাছাকাছি। সঠিক পরিসংখান অভিবাসন বিভাগে খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্ত্রী হিসেবে জাপানি পুরুষেরা চীনাদের সব চেয়ে বেশি বেছে নেন (৪০.৪%), এরপর ফিলিপিনো (২০.১%), তারপর আছে কোরিয়ানরা (১৭.৭%)। স্বামী হিসেবে জাপানি মেয়েদের প্রথম পছন্দ কোরিয়ানরা (২৭.৯%), এরপর আমেরিকানরা (১৯.১%)। চার্ট ১ ও ২ দেখুন।

ঢাকা জেলার খিলগাঁও গ্রামের হরিপ্রভা মল্লিকের সঙ্গে ১৯০৭ সালে জাপানি যুবক ওয়েমন তাকাদার বিয়ে হয়। ভারতবর্ষের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো বাঙালি নারী কোনো জাপানিকে বিয়ে করেন। জানামতে কোনো বাঙালির সঙ্গে কোনো জাপানিদের এই বিয়েটা উপমহাদেশের প্রথম বিয়ে। ওয়েমন তাকাদা ঢাকার বুলবুল সোপ ফ্যাক্টরির প্রধান কারিগর ছিলেন। ইডেন স্কুলে ম্যাট্রিক পর্যন্ত পড়া হরিপ্রভার পরিচয়, প্রেম ও উভয় পরিবারের সম্মতিতে নববিধান ব্রাহ্মসমাজের নব সংহিতা অনুসারে তাদের বিয়ে হয়।

১৯১২ সালে হরিপ্রভা তাকাদা স্বামী ওয়েমন তাকাদাকে নিয়ে গোয়ালন্দ হয়ে কলকাতা যান। তারপর সেখান থেকে সমুদ্র পথে জাপান যাত্রা করেন। পরবর্তীতে ১৯১৫ সালে তার ভ্রমণ কাহিনি ‘বংগরমনীর জাপান যাত্রা’ প্রকাশিত হয়। দুষ্প্রাপ্য এই বইটি বছর কয়েক আগে জাপানপ্রবাসী সাংবাদিক ও গবেষক মনজুরুল হক ভূমিকাসহ আরও তথ্যসমৃদ্ধ করে প্রকাশ করেন। মনজুরুল হক ও কাজুহিরো ওয়াতানাবের সহৃদয় সহযোগিতায় হরিপ্রভা তাকাদার জাপান ভ্রমণের শত বার্ষিকীতে নিপ্পন ফাউন্ডেশনের সহায়তায় তানভীর মোকাম্মেল নির্মাণ করেন জাপানি বধূ। ছবিটিতে হরিপ্রভার চরিত্রে অভিনয় করেন জাপানপ্রবাসী একজন নারী, যিনি নিজেও একজন জাপানির ঘরনি। ক্যামেরাম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জাপানপ্রবাসী গোলাম মাসুম জিকো।
প্রথম কোনো বাঙালি পুরুষ জাপানি নারীকে বিয়ে করেন তেমন কোনো তথ্য লিখিতভাবে পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করছেন জাপানপ্রবাসী প্রবীর বিকাশ সরকার। এ বিষয়ে তাঁর কোনো তথ্য জানা আছে কি না জিজ্ঞেস করলে, তিনি সঞ্জীব ঠাকুরের কথা বলেন। সঞ্জীব ঠাকুর কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবারের একজন সদস্য। তিনি জাপানি বিয়ে করেন এবং তার প্রজন্ম এখনো জাপানে বসবাস করছেন বলে জানা গেছে। এই প্রতিবেদন তৈরির সময় আমি দীর্ঘ চার দশক ধরে জাপানিদের বাংলা ভাষা শিক্ষক জাপানপ্রবাসী শ্রদ্ধেয় মুনশি খ আজাদের সঙ্গে কথা বলি। তিনি জানান সঞ্জীব ঠাকুরের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছিল। সঞ্জীব ঠাকুর ওসাকা গাই দাইতে (Osaka foreign language university) ভারতীয় ভাষা ও দর্শন পড়াতেন এবং তার জাপানি স্ত্রী শিশুদের জন্য চমৎকার বই লিখেছেন বলে তিনি জানান। বইটির নাম দোল দোল দুলনী।
ষাট দশকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ইস্কান্দার চৌধুরী (প্রয়াত), আনোয়ারুল করিম, জিয়াউল ইসলাম, হোসেন (পুরো নাম আমার মনে নেই), বুয়েটের শিক্ষক ড. জোহা (প্রয়াত) ও জাতিসংঘে কর্মরত ফাত্তাহ প্রমুখেরা জাপানি বিয়ে করেছিলেন। তাদের সন্তানের কেউ কেউ ৪৫-৫০ বছরের বলে মনে হয়। ৭০-৮০ দশকে যারা বিয়ে করেছেন তাদের মধ্যে শেখ ওয়াজির ও ড. আরশাদউল্লাহ প্রমুখেরা নাতি-নাতনি নিয়ে ভালোই আছেন। ৯০ দশকে শতাধিক বাংলাদেশি জাপানি বিয়ে করেছেন। তাদের সন্তানরা কেউ বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে চাকরিজীবনে প্রবেশ করেছেন।
এখনো জাপানপ্রবাসী বাংলাদেশি তরুণ ও যুবকেরা জাপানি মেয়ে বিয়ে করছেন। সে তুলনায় জাপানি পুরুষদের বাংলাদেশের মেয়ে বিয়ে করার ঘটনা খুবই কম। জাপান ও বাংলাদেশি জুটি সুখী দাম্পত্য জীবন যেমন আছে পাশাপাশি বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনাও আছে। ভিনদেশি জীবনসঙ্গী হিসেবে কয়েকটি পরিবারকে নিয়ে আমার এই প্রতিবেদন।
কেই সিগা ও প্রিয়াসী ত্রিপুরার পরিবার
জাপানের কোবে শহরের ছেলে কেই সিগা কর্মক্ষেত্রে বাংলাদেশে গিয়ে খাগড়াছড়ির তরুণী পিয়াসী ত্রিপুরার প্রেমে পড়েন। প্রেম থেকে পরিণয়। তারপর একসময় জাপানে চলে আসা। বর্তমানে টোকিওতে সদ্যোজাত সন্তানকে নিয়ে তাদের সুখী দাম্পত্য জীবন।
প্রিয়াসী ত্রিপুরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করে ২০০৯ সালের শেষের দিকে জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দেন। সেখানে কাজ করার সময় বাংলাদেশে জাতিসংঘে কর্মরত ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে এক প্রোগ্রামে তিনি টাঙ্গাইলে যান। ওখানে কেই সিগার সঙ্গে তাঁর পরিচয় ও আলাপ। কেই সিগা তখন UNHCR-এ কাজ করতেন। কর্মরত ছিলেন কক্সবাজারে। প্রিয়াসী কর্মরত ছিলেন রাঙামাটিতে। দুজনের মধ্যে প্রথম ফেসবুক ও পরে ফোনে যোগাযোগ চলতে থাকে। দেশ, সংস্কৃতি ও অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলতে বলতে দুজনের কাছাকাছি আসা। প্রিয়াসীর ভাষায়, পরিচয়ের শুরতেই ও আমার প্রেমে পড়েছিল বলে জানায়। যা আমি আগেই ধারণা করেছিলাম। আমার আমন্ত্রণে সে রাঙামাটিতে বেড়াতে আসে। সামান্য কিছুক্ষণের আতিথেয়তা, পারিবারিক বন্ধন ইত্যাদি হয়তো কেই সিগাকে মুগ্ধ করে। পরিচয়ের পাঁচ মাসের মধ্যে দুই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন এবং কোর্টে বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন। স্থানীয় সামাজিকতায় বিয়ে পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন করা হয়। বিয়ের এক বছর পরে তারা দুজন দুই দেশে চলে যান। প্রিয়াসী অস্ট্রেলিয়ায় আর কেই সিগা কোস্টারিকায় স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যান। দুই বছরে উচ্চশিক্ষা শেষে গত বছর তাদের জাপানে আসা।
কেই সিগা লজ্জায় গদগদ হয়ে বাংলায় বললেন, ওকে আমার খুব ভালো লেগেছে। ও খুব ভালো। তাই বিয়ে করে ফেললাম। আমাদের ছেলে য়াকাং ত্রিপুরা সিগাকে নিয়ে আমাদের সংসার। খুশি খুশি লাগে।
স্বামী হিসেবে কেই সিগার কোনো বিষয়টা মুগ্ধ করেছে প্রশ্নের জবাবে প্রিয়াসী এক সেকেন্ড না ভেবেই বললেন, ও ভীষণ কেয়ারিং, আমাকে নিয়ে, আমার সন্তানকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আমি যেন নিয়মিত বাংলাদেশে আমার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি তার তাগাদা দেয়। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে আমি জাপানে আসি। ও আমাকে ২১ ফেব্রুয়ারিতে টোকিও শহীদ মিনারে নিয়ে যায়। বাংলাদেশকে সিগা প্রচণ্ড ভালোবাসে। হয়তে প্রথম চাকরি জীবনের স্মৃতি তাকে আপ্লুত করেছে। আমি সুখী, আমার জন্য আশীর্বাদ করবেন।
নাজিমউদ্দীন ও কোমিয়া নাসকি পরিবার
নোয়াখালীর চৌমুহনীর মোহাম্মদ নাজিমউদ্দীন ১৯৮৮ সালে ১৯ বছর বয়সে ভাগ্যান্বেষণে জাপানে আসেন। ২০০০ সালে এক সন্ধ্যায় রোপ্পোঙ্গীর একটা ক্লাব হাউসে দুজন বাংলাদেশি প্রবাসী বন্ধু নিয়ে অলস সময় কাটাচ্ছিলেন। পাশের টেবিলে জাপানি কয়েকজন মেয়েও আড্ডায় মশগুল। আগ বাড়িয়ে কথা বলতে যেয়ে কোমিয়ার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়ে যায়।
কানাগাওয়া দাইগাকুর ছাত্রী কোমিয়া নাসকির সঙ্গে সেই প্রথম পরিচয়। নাসকি জানায় সে কলকাতায় বেড়াতে যাবে। নাজিম তাঁকে কলকাতা সফর শেষে পাশের দেশ বাংলাদেশেও যেতে অনুরোধ করে। তাঁর বন্ধু বাপ্পার বোন কলকাতায় থাকে। তার ঠিকানা কোমিয়াকে দেয়। কোমিয়া ভারত সফর শেষে কলকাতার আতিথেয়তায় (বাপ্পার বোন) মুগ্ধ হয়ে নাজিমকে ধন্যবাদ জানায়। এভাবেই যোগাযোগের সূত্রপাত।
১২ ফেব্রুয়ারি নাজিম ও কোমিয়া নাসকি দুজনের জীবনের এক বিশেষ দিন। ২০০৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তারা দুজনে জাপানের ওয়ার্ড অফিসে বিয়ের কাগজপত্র জমা দেন। ২০০৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে এবং ২০০৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জাপানে বিয়ে পরবর্তী অনুষ্ঠান করেন। দুজনের সংসার জুড়ে এখন চারজন সন্তান। বড় মেয়ে মিহি সুলতানা (৯) দ্বিতীয় মেয়ে মাহা সুলতানা (৭), ছেলে মোহাম্মদ ফাগুন (৫) ও সর্বশেষ দেড় বছরের মেয়ে মোহ সুলতানা। চিবা কেনের মাৎসুদো শহরের ইয়াগিরিতে তারা বাড়ি করেছেন। সেখানেই তাদের বসবাস।
ভিনদেশি স্ত্রী হিসেবে কোমিয়া নাসকি কেমন প্রশ্নের জবাবে নাজিমের উত্তর, কী বলব, ও তো ভীষণ চুপচাপ স্বভাবের। চারটা বাচ্চা সামলিয়ে, সংসারের শত কাজ যে কেমনে সামলায় তা দেখে আমিও আশ্চর্য হই। আমি উত্তরণের সদস্য। প্রতি রোববার প্রোগ্রাম অথবা রিহার্সেল থাকে। ওদের সময় দিতে পারি না, কিছুটা বন্ধুপ্রিয় মানুষ আমি। তাই ঘরে ও বাইরে নিয়মিত আড্ডা হয়। কোনো অভিযোগ, অনুযোগ এখনো পাইনি। বলুন ভালো স্ত্রী না বলে কী উপায় আছে।
একই প্রশ্ন কোমিয়া নাসকিকে করলে তার সরব জবাব, সব জেনে শুনেই ওকে বিয়ে করেছি। ওর গানবাজনা, কবিতা প্রীতি আমি উপভোগ করি। পিতা হিসেবে বাচ্চাদের প্রতি ওর দায়িত্ব দেখে ওর প্রতি আমার শ্রদ্ধা বেড়ে যায়। আসলেই ও একজন আদর্শ স্বামী ও পিতা।
হেলাল ও ইউকো কুরোসাকির সংসার
ফেনীর হোসেইন আনোয়ার হেলাল ২০০৭ সালে শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে জাপানের এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ঢাকায় UDA (University of Devlopment Alternative) ফার্মেসি বিভাগে পড়া অবস্থায় তার জাপানের শিক্ষা সুযোগটি আসে। ২০১১ সালে সাফল্যের সঙ্গে বিবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন ও জাপানের নেতৃস্থানীয় Toyo Group-এ চাকরি পেয়ে যান। ২০১২ সালে এক বন্ধুর মাধ্যমে তচিগী জেলার ইউকো কুরোসাকির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইউকোর বই পড়ার নেশা। লাইব্রেরি থেকে বই সংগ্রহ ও পড়তে যেয়ে একসময় ইসলাম ধর্ম নিয়ে বেশ কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। বিভিন্ন মসজিদেও যাওয়া শুরু করেন। হেলালও দু-একবার মসজিদে গেলে ওকে দেখতে পান। তবে কথাবার্তার সুযোগ ছিল না। হেলালের জাপানি ভাষার দক্ষতার জন্য ধর্মীয় বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দু-একবার কথা হয়। আস্তে আস্তে সম্পর্কটা গাঢ় হতে থাকে। এক বছরের মাথায় তা পরিণতির দিকে এগিয়ে যায় এবং ২০১৩ সালে ইউকো ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ও গামো মসজিদের ইমামের মাধ্যমে হেলালকে বিয়ে করেন।

বিয়ের পর পরই ইউকো শাশুড়ির (হেলালের মা) আগ্রহে নিজের নাম রাখে হোসেইন আয়েশা ইউকো। ইউকো মুসলমান হয়েই ধর্মকর্ম নিয়ে বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ইতিমধ্যে তারা বাংলাদেশে যান ও বাংলাদেশি ঐতিহ্য অনুযায়ী বিয়ের অনুষ্ঠান করেন। নববিবাহিত এই যুগলের ঘর আলোকিত করে আসে তাদের সন্তান আয়ান বিনতে হোসেইন। শিশুটির বয়স এখন মাত্র চার মাস।
স্ত্রী সম্পর্কে হেলালের সরল স্বীকারোক্তি, অসাধারণ, নব্য ইসলামি হয়ে সে যথাযথ ধর্ম পালন করছে, সন্তানকেও সামলাচ্ছে। দেশেও নিয়মিত যোগাযোগ করছে আমার পরিবারের সঙ্গে। ইসলাম ধর্মের আধুনিক দর্শন তাকে আলোকিত করেছে, ধর্মীয় বিধান নিয়মিত পালন করছে।
ইউকো বাংলা শিখছে, ভাঙা বাংলায় তার আমন্ত্রণ, আমাদের বাসায় বেড়াতে আসবেন, আমাদের বাচ্চাকে দেখতে আসবেন, ডাল-ভাত খেয়ে যাবেন।
জাপানপ্রবাসী বাংলাদেশিরা খুব পরিশ্রমী। যে যেখানে কাজ করেন সেখানে তাদের যথেষ্ট সুনাম। ওরা বিনয়ী, সহকর্মীদের অসুস্থতায় সহমর্মিতা প্রকাশ করে। হাসপাতালে দেখতে যায়। পরিশ্রম করে দেশে পরিজনদের জন্য টাকা পাঠায়। মা-বাবা-ভাই-বোনদের প্রতি এই দায়িত্ব প্রবণতায় জাপানিরা বিস্মিত হয়। যে জাপানিরা বাংলাদেশে বেড়াতে যায় বা চাকরি করতে যায় তারা বাংলাদেশের মানুষের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়। মূলত জীবনসঙ্গী হিসেবে এসব কারণেই জাপানিরা বাংলাদেশের ছেলেমেয়েদের বেছে নেয়।
*বিশেষ কৃতজ্ঞতা: মুনশি রেণু আজাদ