চীনে লেই ফাং ডে উদ্যাপন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের যাত্রা শুরু
একদল উদ্যমী ও উৎসাহী তরুণের সমন্বয়ে চীনের চিয়াংশি প্রদেশের নানছাং শহরে চিয়াংশি ইউনিভার্সিটি অব ফিন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিকসের আন্তর্জাতিক ও চাইনিজ শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লেই ফাং ইন্টারন্যাশনাল ভলান্টিয়ার টিম।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সঙ্গে কেক কেটে লেই ফাং ডে উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো। সংগঠনটি চাইনিজ কমিউনিটিতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুসহ এতিম এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মোহম্মদ ছাইয়েদুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে এই স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন গঠনের উদ্যোগ নেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওভারসিজ এডুকেশন স্কুলের সার্বিক সহযোগিতায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা লেই ফাং ডে উদ্যাপনের জন্য নানা কর্মসূচি পালন করে। তারা নানছাং শিহু ডিস্ট্রিক্ট মডার্ন হ্যান্ডিক্যাপেড এডুকেশন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের মধ্যে খাবার এবং উপহারসামগ্রী বিতরণ করে। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীরা নাচ, গান এবং নানা ধরনের গেম খেলার মাধ্যমে শিশুদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও টিম লিডার মোহাম্মদ ছাইয়েদুল ইসলাম বলেন, ‘লেই ফাং পিপলস লিবারেশন আর্মির একজন সৈনিক ছিলেন। তিনি চীনসহ সব দেশের স্বেচ্ছাসেবীদের আইকন। যখন আমরা লি ফ্যাং নিয়ে চিন্তা করি, তখন আমরা নিঃস্বার্থতা, বিনয় এবং উৎসর্গতা সম্পর্কে চিন্তা করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের স্লোগান হলো “ফর আ স্মাইল’। মানুষ হিসেবে প্রত্যেকের সমাজের প্রতি দায়িত্ব আছে। আমরা সবাই পৃথিবী নামক একটা পরিবারে সদস্য। আমরা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুসহ এতিম ও বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে হাসি ফুটাতে চাই।’
লেই ফাং ডে উপলক্ষে লেই ফাংয়ের জীবনীর ওপর এক বিশেষ আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়। লেই ফাংয়ের জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওভারসিজ এডুকেশন স্কুলের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মিস ফান ইং, নানছাং শিহু ডিস্ট্রিক্ট মডার্ন হ্যান্ডিক্যাপেড এডুকেশন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারের ব্রাঞ্চ পরিচালক মিস ঝু লেই, চাইনিজ ভলান্টিয়ার টিমের লিডার ওয়াং শিআও, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী কারমেন ও মিগুয়েল। আলোচনা সভায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক ও চাইনিজ শিক্ষার্থী ছাড়াও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের বাবা–মায়েরা উপস্থিত ছিলেন।