ক বি তা
শুভ্র তুষার
তানিজা খানম
নিখুঁত পরিষ্কার সাদা ধবধবে শুভ্র তুষার
পৃথিবীর রূপকে আলোকিত করে তোলে
অপরূপ ধরিত্রীকে একটু ছুঁয়ে দেখতে চাই
রাশি রাশি তুষারের ছোঁয়ায় বিশ্ব-বিমোহিত।
পরিদের কান্নার জলে মুছে যায় সব দুঃখ
পত্রহীন বৃক্ষে আসে খুশির ঝিলিক
শিশুরা বানায় নানা রকমের স্নোম্যান
পাহাড়ের ঢালুতে শুরু হয়ে যায় স্কেটিং।
ঝলক তুষার স্পর্শ আমার নয়ন ছুঁয়ে দিল
তুষার স্পর্শে আমি আনন্দে আত্মহারা
ক্ষণে ক্ষণে আমি নবযৌবনে ফিরি
তুষার স্পর্শে আমোদের এ ভূস্বর্গ!
শুভ্র আভায় আলোকিত এ ভুবন
পত্রঝরা বৃক্ষ এক ফ্রেমে বাঁধা চিত্র
রাস্তার দুধারে আচ্ছাদিত বরফের স্তূপ
তুষারগিরি প্রকৃতির মোহনীয় নবরূপ।
মন মনিয়ায় কান্দে হাসন
আবদুস শহীদ
এক আকাশ ভরা তারার চাঁদোয়া ছিল সেদিন
‘হাসন জানের রূপ দেখিয়া’ দিলারামের
কণ্ঠে ঝরে উষ্ণতার সুর, মুজরা চলে হাসনের
বজরায়, বঙ্গবাদ্যে করিম বক্সের অঙ্গুলি চলে
নিরন্তর, চামড়ায় ধরেছে ভাঁজ খেয়ালি সময়,
আকাশের কার্নিশে যেমন লেপ্টে থাকে
আষাঢ়ে মেঘ, কখনো বৃষ্টি হয়ে ঝরে যায়।
করিম বক্সরা ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দু
হয়ে জড়িয়ে থাকে জন্মান্তর।
সুরের মূর্ছনা হাসনের বজরায় ‘ছাড়িলাম হাসনের
নাও রে’ স্মৃতিগুলো অনুভূত হয় বিস্তৃত হাওরে
কিছু কিছু স্মৃতি আড়মোড়া ভেঙে জাগ্রত থাকে।
চৈত্রের অলস দুপুরের মতো মেনে নেওয়ার বিনয়টুকু
শুধু জানা ছিল ওদের।
পকেটে সুগন্ধি রুমাল রেখে কর্পূরের গন্ধে বিভোর
কত সুখের নিশি পার করেছে ওরা।
তবুও একান্ত ভক্ত সহচর ‘উদাই’ বলে সুরমা ‘গাঙ কাইত’
হাসনের প্রশ্নের স্বীকারোক্তি।
অবজ্ঞার কালো দাগ মুছে ক্ষমার শুভ দৃষ্টির
অপেক্ষায় দিনমান চলে যেত, পুরো জীবন ফেলে
এসে দেখে উপেক্ষার দিনগুলো সদা হাস্যোজ্জ্বল।
কাঁদে হাসন বৃষ্টি ভেজা রাতে ‘না লইলাম আল্লাজির নাম রে’।