করোনায় খুশির বার্তা
করোনা বিষয়ক দুটো খুশির বার্তা পাওয়া গেল গত সপ্তাহে। একটির উপাত্ত ও ধারণা পেয়েছি টাইম ম্যাগাজিনের ‘গুড কোয়েশ্চান’ শীর্ষক ছোট একটি সংবাদ থেকে। এতে টারা ল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাবা-মা ভীষণ খুশি। তাদের প্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ থেকে ২৯) বয়স্ক ছেলেমেয়েরা তাদের সঙ্গে থাকছে। এ রকম সচরাচর দেখা যায় না।
গ্রেট ডিপ্রেশন বা মহামন্দার সময় ৪৮ শতাংশ তরুণ-তরুণী তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও চাকরি স্থান ছেড়ে ঘোরতর অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে পড়ে মা-বাবার কাছে এসে থাকতে বাধ্য হয়েছিল। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সে রেকর্ড ভেঙে ওই বয়সের সন্তানদের বাবা–মা বা অভিভাবকসুলভ ভাইবোনদের দ্বারস্থ হতে বাধ্য করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্সাস ব্যুরোর দেওয়া সাম্প্রতিক তথ্য পিউ গবেষণা কেন্দ্র বিশ্লেষণ করে এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে আনুমানিক ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেমেয়ে বাপ বা মা—এদের অন্তত একজনের সঙ্গে থাকছে। জুলাইয়ে এ সংখ্যা ২৬ দশমিক ৬ মিলিয়নে দাঁড়ায়। এ সংখ্যা দেশের মোট যুব সম্প্রদায়ের ৫২ শতাংশ। যেখানে বড়দিন বা বিশেষ উৎসব ছাড়া এদের বেশির ভাগই ফোন, মেসেঞ্জার ইত্যাদি ইলেকট্রনিক মাধ্যম ও কার্ড ইত্যাদির ব্যবহারে যোগাযোগ করত তারা সশরীরে প্রায় অষ্টপ্রহর বাবা–মায়ের মধুর সান্নিধ্যে সময় কাটলে কোন বাবা–মা খুশি না হয়?
সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের এই যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন, তার জন্য করোনাকে বাহবা দিতেই হয়। স্কুল–কলেজ বন্ধ, চাকরিচ্যুতি বা কাজের ঘণ্টা কমে যাওয়া, করোনা সংক্রমণের আধিক্য এবং মূলত অর্থকষ্ট—এই স্বাগত পরিবর্তনের জন্য দায়ী। করোনাত্তোর পরিস্থিতিতে পরিবর্তিত এই অবস্থা আংশিকভাবে টিকে থাকলেও তা এ দেশের বাবা–মায়ের জন্য অনেক বড় পাওয়া হবে।