উইচিটায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসাস রাজ্যের উইচিটা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে এ বছর প্রথমবারের মতো উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ। বর্ণিল এ অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অরগানাইজেশন। ১৪ এপ্রিল নেচে-গেয়ে, হাতে-মুখে নানা বর্ণের কারুকাজ এঁকে বিদেশিদের মুগ্ধ করেছেন উইচিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যকে ধারণ করে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা নানা রঙের শাড়ি-পাঞ্জাবি পরে এসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত মেলায়। মেলা প্রাঙ্গণ অন্য রকম সাজে সেজেছিল। মেলায় ছিল ইলিশভাজা, পান্তা ভাত, আলুভর্তা, ডিমকারি, কোরমা, পোলাও ও বিরিয়ানিসহ হরেক রকম মজাদার দেশীয় খাবার। এ ছাড়া ছিল পিঠাপুলি। স্টলে খেতে বাঙালিদের পাশাপাশি বিদেশি শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ভারত, জাপান, চীন, সৌদি আরবের শিক্ষার্থীরাও মেলায় তাঁদের দেশীয় খাবারের স্টল দেন। সবকিছু ছাপিয়ে সবপথ যেন এক হয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মেতে উঠেছিল। এ যেন বাংলা মায়ের কোলে সবার প্রাণের উৎসব।

বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অরগানাইজেশনের সভাপতি মিরু গ্রেনভাড বলেন, ‘পড়ালেখার প্রচণ্ড চাপ। তার পরও নববর্ষকে বরণ করতে সবাই রাত জেগে, কষ্ট করে এ আয়োজন করেছি।’ তিনি জানান, প্রতিবছরের মতো এ বছরও ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্প্রিং-সেমিস্টারে মাল্টি-কালচারাল ফুড ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করেছিল। এ বছর বাড়তি যোগ হয়েছে বাংলা নববর্ষ। এই প্রথম উইচিটা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হলো। এ আয়োজনে যাঁরা সহযোগিতা করেছেন তারা হলেন—শামস, কল্লোল, ইশতিয়াক, রাকিব, ওসামা, শিফাত, শুভ্র, মনোয়ার, ওসামা, নাদিয়া, তানিয়া, শ্রাবণী ও বৃষ্টি।

মেলার মূল আকর্ষণ ছিল বাংলা গানের সঙ্গে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বৃষ্টি ও নাদিয়ার দৃষ্টিনন্দন নাচ ও হাতে মেহেদি রাঙানো। ভিন দেশের শিক্ষার্থীরাও দুই হাত বিলিয়ে মেহেদির রঙে যে যাঁর মতো করে নিজেকে রাঙিয়ে নিয়েছেন। ইলিশভাজা ও পান্তা ভাত খেতে ছিল রীতিমতো লাইন। প্রতি প্লেট ১০ ডলার। উইচিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সবার প্রিয় বাবুল ভাই, রুপম দা অনুষ্ঠানে এসে আয়োজকদের প্রশংসা করেন। উইচিটা স্টেট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ছাত্র সমিতির সভাপতি মিরু গ্রেনভাড বলেন, ‘এ অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের সংস্কৃতি সবার কাছে তুলে ধরা। আমরা শুরুটা করে দিলাম। এরপর আশা করি সবাই করবেন।’