ইমুর অন্যরকম ঈদ

প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত
প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

আগামীকাল সকালে ঈদ। ইমু সন্ধ্যার পর সায়েদাবাদ থেকে বাসে উঠেছে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য। কুমিল্লা সেনানিবাস পার হয়ে কিছু দুর যেতেই ওদের সামনের বাসটা ভয়াবহ অ্যাক্সিডেন্ট করল। ইমুদের বাসচালক গাড়ি না থামিয়ে পাশ কেটে চলে যেতে চাইল। ইমু ড্রাইভারকে বলল, বাস থামাতে। যাতে দুর্ঘটনা কবলিত বাসযাত্রীদের সাহায্য করা যায়। কিন্তু বাসের অন্য যাত্রীরা প্রতিবাদ করল। তারা চাচ্ছে না বাস থামিয়ে সাহায্য করতে যেতে। কারণ এতে সবার নিজ নিজ বাড়ি যেতে দেরি হয়ে যাবে। ইমু ড্রাইভারকে বলল তাহলে ওকে নামিয়ে দিতে। ড্রাইভার বাস থামাতেই ইমু ওর ব্যাগটা কাঁধে নিয়ে বাস থেকে নেমে গেল।

চারদিকে শুধু চিৎকার, আর্তনাদ আর কান্নার আওয়াজ। রক্তে ভেসে যাচ্ছে চারদিক। ইমুর মতোই অনেকে ছুটে এসেছে। কেউ কেউ সাহায্য করছে। আর কেউ কেউ সুযোগ মতো মালামাল হাতিয়ে নিচ্ছে। ইমু মনে মনে ভাবল, বড়ই বিচিত্র এই দুনিয়া। আর তার চেয়েও বিচিত্র এই দেশের মানুষ। ইমু সময় নষ্ট না করে একজনকে সিএনজিতে উঠিয়ে রওনা দিল কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের দিকে। লোকটার আঘাত খুবই গুরুতর। ইমু বুঝতে পারছে লোকটা হয়তো বাঁচবে না। কিন্তু ও শেষ চেষ্টাটা করতে চায়। লোকটা ক্ষীণ কণ্ঠে কথা বলা শুরু করল।
—বাবা তুমি আমারে নিয়া খামাখা কষ্ট করতাছ।
—জি, আমি জানি। আমার খামাখা কষ্ট করতেই কেন জানি ভালো লাগে। আপনার কোনো সমস্যা আছে?
—আমি তো বাঁচুম না। দেখো কেমতে রক্ত পড়তাছে।
—পড়ুক। শরীরে এত রক্ত দিয়ে আপনি কি করবেন?
—বাবা আপনে এগুলা কি কন?
—বাংলা বলি। আচ্ছা আপনি আমাকে আপনি আপনি বলছেন কেন? আর একটা কথা আমারে বারবার বাবা বলবেন নাতো। আমার নাম ইমু। আমি এখনো বিয়েই করলাম না। আর আপনি আমারে বাবা বানায়ে দিলেন।
—আচ্ছা আর বাবা কমু না। কিন্তু বাবা আমার যে খুব ঘুম পাচ্ছে।
—খবরদার ঘুমাবেন না। আপনি ঘুমালে সিএনজির ভাড়া দেবে কে? আর তা ছাড়া আমার এই ভারী ব্যাগসহ আপনাকে কাঁধে করে আমি হাসপাতালে নিতে পারব না। সুতরাং নো ঘুম। তার থেকে আপনার নাম–ঠিকানা বলতে থাকেন। আমি সব ফোনে রেকর্ড করে রাখি। যদি একান্ত মারা যানই, তবে আপনার পরিবারের কাছ থেকে সিএনজি ভাড়া আদায় করব। সে জন্য ঠিকানা দরকার।
ইমু চাচ্ছে না লোকটি ঘুমিয়ে পড়ুক। ও সিনেমায় দেখেছে, এ ধরনের আঘাতপ্রাপ্ত রোগী একবার ঘুমিয়ে পড়লে আর জেগে ওঠে না। তাই উল্টোপাল্টা কথা বলে জাগিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। ইমু ওর ফোন বের করে লোকটার কথা রেকর্ড করতে লাগল। মাঝে মাঝে প্রশ্ন করে বিস্তারিত জানতে লাগল।
লোকটির নাম কলিম মিয়া। বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার অন্তর্গত রূপসা গ্রামে। বাড়িতে তার স্ত্রী ও চারটি মেয়ে রয়েছে। মেয়ে চারটির বয়স ১৮, ১৫, ১১ ও ৮ বছর। একটা ছেলের আশায় আশায় সংসারটা একটু বড় হয়ে গেছে। কলিম মিয়া ঢাকায় রিকশা চালায়। অভাবের সংসার। তবে টাকা পয়সার অভাব থাকলেও মেয়েগুলিকে ঠিকই পড়াচ্ছে। মেয়েগুলো তার খুবই মেধাবী। বাড়িতে মেয়েরা এখন অপেক্ষা করছে বাবার জন্য। বাবা এলে বাবার সঙ্গে একসঙ্গে ঈদ করবে। সেমাই চিনি কিছুই কেনা হয়নি। কলিম মিয়া বাড়ি গিয়ে সেমাই চিনি কিনবে।

প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত
প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

—বাবারে আমার ব্যাগটাতো বাসের মধ্যেই রয়ে গেছে। ব্যাগের ভেতরে ঈদের কাপড়, মেয়েদের স্নো-পাউডার, চুড়ি সবকিছু। পকেটমারের ভয়ে টাকাগুলাও রাখছি ব্যাগের ভেতর। এখন যদি ব্যাগটা কেউ নিয়া যায়।
—ব্যাগের চিন্তা বাদ দেন। ব্যাগ কেউ নেবে না। আমি আপনাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে ব্যাগ আনতে যাব।
ইমু জানে ব্যাগ পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এতক্ষণে সম্ভবত অন্য কেউ ওই ব্যাগের মালিক হয়ে গেছে। কিন্তু এ কথা বলে বেচারাকে শারীরিক কষ্টের সঙ্গে আর মানসিক কষ্ট দিতে চাচ্ছে না।
—তুমি কি একটু কষ্ট করে ব্যাগটা আমার বাড়িতে দিয়ে আসবা? না হলে তো ওদের ঈদ মাটি হয়ে যাবে। সেমাই চিনি কিছুই তো কেনা হয়নি।
—শোনেন আমি যদি এখন ব্যাগ নিয়ে আপনার বাড়ি যাই, তাহলেও ওদের ঈদ মাটি হয়ে যাবে। একেবারে শক্ত এঁটেল মাটি। কারণ ওরা যখন শুনবে আপনি অ্যাক্সিডেন্ট করেছেন, তখন ঈদ আর ঈদ থাকবে না।
—ওরা জানব কেমতে? তুমি তো আর বলবা না আমি অ্যাক্সিডেন্টে করছি। বলবা ঈদের দিন রিকশা চালালে রোজগার বেশি হয়। তাই আমি এখনো ঢাকায়। ঈদের দুদিন পরে আসব। তোমারে আমি চিনি, তাই তোমার সঙ্গে মালামাল পাঠায় দিসি।
—বুঝলাম কিন্তু যদি মরে যান? পুলিশ তো সকালেই লাশ নিয়ে বাড়িতে দিয়ে আসবে, তখন?
—আমার ঠিকানা তো পুলিশ জানে না।
—আমি তো জানি।
—তুমি পুলিশকে বলবা না। আমি যদি মরেই যাই, তুমি কাইট্টা পইরো। পুলিশ আমার ঠিকানা পাইতে পাইতে ঈদ শেষ হইয়া যাইব।
—আপনার তো অনেক বুদ্ধি? আপনার তো পলিটিকস করা উচিত ছিল। শোনেন মরার প্ল্যান আপাতত বাদ দেন। আপনার জন্য আমার ঈদ তো পুরাই শেষ। আপনাকে এর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আর সেটা হচ্ছে ঢাকা শহরে আমারে দুদিন আপনার রিকশায় ঘুরাইবেন। কিন্তু বিনা পয়সায়। বুঝলেন?
—হ বাবা বুঝছি। দুদিন ক্যান সারা জীবন আপনার থেকে পয়সা নিমু না।
ইমু হাসপাতালে পৌঁছেই দেখল বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে আরও আহত লোকদের নিয়ে আসছে। ইমু কলিম মিয়াকে ডাক্তারদের হাতে তুলে দিল। তখনো কলিম মিয়ার জ্ঞান আছে। কলিম মিয়াকে ভেতরে নেওয়ার আগে ছলছল চোখে ইমুকে বলল—বাবা, আমার মেয়েগুলার জন্য ঈদে কিন্তু সেমাই কেনা হয় নাই। তুমি কিন্তু ব্যাগটা পৌঁছায় দিয়া আইস।
কথাগুলো বলতেই কলিম মিয়ার দুচোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। ইমু অবাক হয়ে ভাবে, আমাদের দেশের বাবাগুলো এমন কেন। গুরুতর আহত হয়ে কষ্টে একবার আহ, উহ পর্যন্ত করছে না। অথচ মেয়েদের জন্য সেমাই কেনা হয়নি বলে কাঁদছে। আসলে বাবারা তো এমনই হয়।
—আপনাকে না বলেছি আমারে বাবা বলে ডাকবেন না।
—বাবারে বাবা কমু নাতো কি কমু। আমার তো কোনো ছেলে নাই। আপনিই তো আমার বাবা।
—ঠিক আছে যান, বাবা বইলেন। তবে একটা শর্তে। আপনি কিন্তু মরতে পারবেন না।
—আচ্ছা যাও মরুম না। বলেই মুচকি একটা হাসি দেয় কলিম মিয়া।
ইমু জানে কলিম মিয়ার ব্যাগ পাওয়া যাবে না। তবুও একবার চেষ্টা করে দেখল। না পাওয়া গেল না। ইমু বুঝতে পারছে না এখন ও কি করবে। যেহেতু কলিম মিয়ার ব্যাগ পাওয়া যায়নি, সেহেতু কলিম মিয়ার বাড়িতে যাওয়ার কোনো মানে হয় না। আর একটু পরেই ভোর হয়ে যাবে। ওর এখন বাড়ি ফেরা দরকার। চাকরি পাওয়ার পর এটাই ওর প্রথম ঈদ। সবার জন্য ঈদের জামা-কাপড় কিনেছে। বাড়িতে বাবা-মা সবাই ওর জন্য অপেক্ষা করছে। এখন রওনা না দিলে পরিবারের সঙ্গে ঈদের নামাজ আর পড়া হবে না।
ইমু পদুয়াবাজার বিশ্ব রোডের পাশে এক রেস্টুরেন্টে ঢুকে ব্যাগ থেকে নতুন পোশাক নিয়ে শরীরের রক্ত মাথা পোশাক পাল্টে ফেলে। তারপর নিজের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাসের অপেক্ষা করতে থাকে। কিন্তু কোনো বাসেই জায়গা মিলছে না। অনেকক্ষণ পর ভাগ্যক্রমে একটি বাসে দাঁড়িয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হয়। কিন্তু বাসে উঠতে গিয়েও উঠতে পারে না ইমু। কেন জানি বারবার কলিম মিয়ার শেষ কথাটা কানে বাজতে থাকে—বাবা আমার মেয়েগুলার জন্য কিন্তু ঈদে সেমাই কেনা হয়নি।
ইমু গা ঝাড়া দিয়ে বাসে উঠে পড়ে। তবে সেটা ওর বাড়ি যাওয়ার বাসে না। ফরিদগঞ্জ যাওয়ার বাসে।
ইমুর ফরিদগঞ্জ শহরে পৌঁছাতে পৌঁছাতে সকাল হয়ে যায়। ঈদের কারণে বাজারের প্রায় দোকান সারা রাত খোলা ছিল। ইমু সেমাই চিনিসহ অন্যান্য বাজার করে রিকশায় উঠে বসে। রিকশায় বসতেই মোবাইল ফোনটা বেজে ওঠে। ইমুর মা ফোন করেছে।
—কিরে বাবা তুই কোথায়? কখন আসবি? আমি সারা রাত তোর জন্য অপেক্ষা করে আছি।
—মা আমি এখনো ঢাকায়, কাল রাতে বাস মিস করেছি। আর অন্য বাসে জায়গা পাইনি। পরে বাসায় ফিরে এসেছি। এইতো একটু পরেই রওনা দেব।
—মানে কি?
—মানে কিছু না। আমি সন্ধ্যার আগেই চলে আসব। মা, এখন ফোন রাখো। আমার রেডি হতে হবে।
ইমু লাইন কেটে দেয়। সাধারণত ও মায়ের সঙ্গে মিথ্যা বলে না। ও জানে আরও কিছুক্ষণ কথা বললে মা ঠিকই ধরে ফেলবেন। মাগুলো জানি কেমন। সব বুঝতে পারে।
—ভাই, এটাতো ফরিদগঞ্জ। আপনি যে কইলেন আপনি এখন ঢাকায়। রিকশাওয়ালা ঘাড় ঘুরিয়ে প্রশ্ন করে।
—ঢাকা বলেছি নাকি? সরি ভুলে বলে ফেলেছি। ভাবছিলাম লন্ডন বলব।
রিকশাওয়ালা আর কথা বাড়ায় না। সে শিওর এই ব্যাটার মাথায় গন্ডগোল আছে।
কলিম মিয়ার বাড়ির সামনে পৌঁছে রিকশার বেল বাজতেই চার মেয়ে একসঙ্গে দৌড়ে আসে। ওরা ভেবেছে বাবা এসেছে। বাবাকে না দেখে মেয়েরা হতাশ। ইমু বাড়ির উঠোনে গিয়ে মোড়ায় বসে। কলিম মিয়ার শিখিয়ে দেওয়া বুদ্ধিমতোই নিজের পরিচয় দেয়। তারপর বাজারের ব্যাগটা বাড়িয়ে দেয় কলিম মিয়ার বড় মেয়ের দিকে। বিদায় নিয়ে উঠতে যাবে হঠাৎ কী মনে করে পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে। পাঁচ হাজার টাকা তুলে দেয় কলিম মিয়ার বউয়ের হাতে। ট্রাভেলিং ব্যাগে রাখা মা–বোন–ভাবিদের জন্য কেনা সব শাড়ি–কসমেটিকগুলো বের করে দিয়ে দেয় মেয়েদের। আর খালি ব্যাগে ভরে নেয় কলিম মিয়ার পরিবারের সদস্যদের চোখে মুখে ফুটে ওঠা অনাবিল হাসিগুলো। তারপর বিদায় নিয়ে বের হয়ে পড়ে।
—ভাইয়া, একটু দাঁড়াবেন। ইমু ঘাড় ঘুড়িয়ে দেখে কলিম মিয়ার বড় মেয়ে দৌড়ে আসছে। সামনে এসে প্রশ্ন করে—ভাইয়া সত্যি করে বলেন তো আপনি কে? আরা বাবা কোথায়? বাবা কি ভালো আছে?
—কেন? আমি তো সবই বলেছি। আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না?
—না, তা না।
—তাহলে?
—প্রতিটি শাড়িই অনেক দামি। অন্যান্য জিনিস যা দিয়েছেন সবই দামি। এত বাজার, এতোগুলো ক্যাশ টাকা। বাবা এত টাকা পেল কোথায়?
—আমি কি করে বলব। জিনিসগুলো উনি আমাকে দিয়েছেন, আমি শুধু পৌঁছে দিলাম। এত টাকা উনি কোথায় পেলেন, সে প্রশ্নটি আপনার বাবাকেই করবেন। কথাগুলো বলেই হাঁটা ধরল ইমু।
—বাবা কি সত্যি ভালো আছেন?
পেছন থেকে চিৎকার করে প্রশ্ন করল মেয়েটি। ইমু পেছন ফিরে তাকাল না। বরং হাঁটার গতি আরও বাড়িয়ে দিল। এমনিতেই আজ অনেক মিথ্যে বলা হয়ে গেছে। আর মিথ্যে বলতে ইচ্ছে করছে না। ইমুর মনে হলো আর কিছুক্ষণ কথা বললেই এই মেয়ে ঠিকই তার মিথ্যে ধরে ফেলবে। মেয়েরা জানি কেমন! কীভাবে জানি সবই টের পেয়ে যায়।
ইমু একই রিকশা করে ফরিদগঞ্জ বাজারের ফিরতি পথ ধরে। রিকশায় বসে অনলাইনে প্রথম আলো পত্রিকা দেখতে থাকে। প্রথমেই চোখ পড়ে বড় হেড লাইনে লেখা কুমিল্লায় বাস দুর্ঘটনার খবর। দুর্ঘটনার খবর পড়লেই সবার মন খারাপ হয়ে যায়, অথচ এই খবরটি পড়ে ইমুর মন আনন্দে নেচে উঠল। কারণ খবরটিতে অনেকে গুরুতর আহত হওয়ার খবর থাকলেও কেউ নিহত হওয়ার খবর নেই। খুশিতে ও আকাশের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বলে ওঠে।
—তোমাকে ধন্যবাদ। অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি জানতাম তুমি পারবে না। চার চারটি মেয়ের দোয়া তুমি ফেলতে পারবে না। মেয়েগুলোকে তুমি এতিম করতে পারবে না।
—ভাই কার সঙ্গে কথা বলেন? রিকশাওয়ালা অবাক হয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে প্রশ্ন করে।
—আল্লাহর সঙ্গে কথা বলি, আপনার কোনো সমস্যা আছে? তাড়াতাড়ি রিকশা চালান। বাড়ি যেতে হবে। ঈদের নামাজ তো পেলাম না। মায়ের হাতের সেমাইটা আর হারাতে চাই না।
রিকশাওয়ালা আর কথা বাড়ায় না। সে এখন একশত ভাগ নিশ্চিত এই ব্যাটার মাথায় গন্ডগোল আছে।

বি. দ্রষ্টব্য: এই ধরনের কিছু পাগল মানুষ আছে বলেই, দুনিয়াটা এত সুন্দর। আর এ ধরনের আরও কিছু পাগল, বাংলাদেশে খুব দরকার।