অস্ট্রেলিয়ায় আরটিভির সম্প্রচার শুরু
গণমাধ্যমই সময়ের সবচেয়ে বড় প্রভাবক। ব্যক্তি, সমাজ, এমনকি রাষ্ট্রীয় জীবনে গণমাধ্যম আজ সবচেয়ে বড় অনুঘটক। প্রবাসে নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশিদের শেকড়ের বন্ধনকে দৃঢ় করার প্রত্যয়ে বাংলাদেশি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির সম্প্রচার শুরু হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় ৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অস্ট্রেলিয়ায় আরটিভির সম্প্রচার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। বাণিজ্যিক নগরী সিডনির প্রাণকেন্দ্র ২৩৩ ক্যাসেলরো স্ট্রিটে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন তার সহধর্মিনী ইউএনডিপির অ্যাকসেস ফর ইনফরমেশনে কর্মরত ও এনটিভির সংবাদ পাঠিকা তানজিনা শারমিন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে সিডনির বিভিন্ন মাধ্যমের মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, কবি, লেখক ও শুভানুধ্যায়ীদের সমাবেশ ঘটেছিল।
অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী সাংবাদিক নাট্যকার আকিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমক এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সূচিত হলো প্রবাসীদের সাফল্যের আরেকটি মাইলফলক। গণমানুষের চেতনা বিকাশ থেকে শুরু করে সমাজ, রাজনীতি ও অর্থনীতিতে গণমাধ্যমের অবদান আজ অনস্বীকার্য।
অনুষ্ঠানে সৈয়দ আশিক রহমান বলেন, তথ্য প্রযুক্তির অপার সম্ভাবনায় গোটা পৃথিবীর আকাশ সংস্কৃতি আজ উন্মুক্ত। সংস্কৃতির আগ্রাসন অথবা এর থাবায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি। প্রবাসে নানারকম প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতার মাঝে বাংলা সংস্কৃতি ও সাহিত্য চর্চা এবং এর প্রসার ও প্রয়োগ দেশের তুলনায় অনেকটাই ভিন্ন ও কষ্টকর। তারপরও অনেকে চেষ্টা করে যান। মূলত বিদেশের মাটিতে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে আরটিভির যাত্রা। ভিনদেশি সংস্কৃতির প্রভাবে বাংলা ভাষা ও নিজেদের দেশীয় কৃষ্টি-সভ্যতার চর্চা না থাকলে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে পৌঁছে যাবে আমাদের স্বদেশিয় গৌরব, সংস্কৃতি। এমনটাই জানালেন আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান।
প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে দুদিন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির ব্যবসা-বাণিজ্য, সাফল্য, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, সুখ-দুঃখের প্রবাস জীবন নিয়ে আরটিভিতে অনুষ্ঠান প্রচারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সৈয়দ আশিক রহমান জানান, সৃজনশীল, দক্ষ ও মেধাবী মানুষের নেতৃত্বে রুচিশীল, অত্যাধুনিক কারিগরি ব্যবস্থাপনায় নতুন নির্মাণশৈলীর উপস্থাপনে অচিরেই দর্শকনন্দিত হয়ে উঠেছে আরটিভি। বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে নির্মিত আরটিভির নাটক, টেলিফিল্ম, সংগীতানুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান, কুইজ ও ভ্রমণবিষয়ক শো ব্যাপক জনপ্রিয়। ঈদ উৎসব, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসের মতো বিশেষ দিনে ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠান দর্শকের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করে আরটিভি। তিনি দর্শক, কলাকুশলী, শুভানুধ্যায়ী, বিজ্ঞাপনদাতা, কেব্ল অপারেটর, সাংবাদিকসহ সবাইকে শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে প্রাণবন্ত করে। অতিথি ও সাংবাদিকদের কয়েকজন বক্তব্য দেন। তারা তাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আরটিভি শুভকামনা করেন। পরে অতিথি ও শুভানুধ্যায়ীদের উপস্থিতিতে কেক কাটা হয়। সবাইকে কেক ও মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়িত করা হয়।