অস্ট্রিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রাপ্তির ৪৮তম বার্ষিকী উদযাপন

ছবি: সংগৃহীত

যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৪৮তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। রোববার স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৪৮তম বার্ষিকী এবং এর তাৎপর্য নিয়ে একটি অনলাইন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া ও স্লোভাকিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা, সাংবাদিক, ছাত্র এবং অন্যান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির ৪৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা পর্বে বক্তারা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনন্য অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তাঁরা তাঁদের বক্তব্যে ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিপক্ষে এবং মানবতা ও শান্তির পক্ষে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রামের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন, সম্মানজনক এই পদক প্রাপ্তির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু বিশ্ববন্ধুতে পরিণত হয়েছেন।

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত
ছবি: সংগৃহীত

সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, আমরা জাতি হিসেবে ভাগ্যবান যে আমাদের জাতির পিতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু ছিলেন শোষিত-বঞ্চিত মানুষের নেতা। ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’ নীতির মাধ্যমে শান্তি ও ন্যায়ের পথে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান স্পষ্ট হয়েছিল। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল এবং তাঁর নির্দেশিত শান্তি ও ন্যায়ের পথেই বাংলাদেশ পরিচালিত হচ্ছে। তাই বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু সমার্থক।

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত বলেন, জাতির পিতার শান্তি প্রতিষ্ঠার আদর্শ অনুসরণ করে বাংলাদেশ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী শীর্ষ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অনবদ্য অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশের প্রস্তাবেই জাতিসংঘে ‘শান্তির সংস্কৃতি (Culture of Peace)’ শীর্ষক প্রস্তাব পাস হয়েছে।

আলোচনা শেষে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সব শহীদ, মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
*লেখক: রাকিব হাসান রাফি, শিক্ষার্থী, ইউনিভার্সিটি অব নোভা গোরিছা, স্লোভেনিয়া