অবশেষে নীড়ে ফেরার আনন্দ

বিমানে খাবার
ছবি: লেখক

কিছু দিন আগে করোনার বুস্টার ডোজ নিলাম এবং বিমানের টিকিট বুকিং দিয়ে রাখলাম। অবশেষে সেই ৪ তারিখে দুবাইয়ের এমিরেটস এয়ারলাইনসের বিমানে করে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিলাম; গন্তব্য ছিল শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। পথিমধ্যে খাবারদাবার কিংবা পরিবার–পরিজনের অপেক্ষা, যা ভাবতেই অবাক লাগছিল আমার।

আকাশে মেঘের রাজ্যে
ছবি: লেখক

যে সমস্যা নিয়ে বর্তমানে অনেক প্রবাসীরাই চিন্তিত এবং জানতে আগ্রহী, তা অবশেষে নিরসন হওয়ার জন্য এ লেখাটুকুই যথার্থ। কারণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক প্রবাসীই তথ্যটি জানতে চেয়ে নিয়মিত বার্তা পাঠাচ্ছেন। ফলাফলস্বরূপ ইতিমধ্যে যাঁদের করোনার বুস্টার ডোজ রয়েছে, তাঁরা টিকা সনদ দেখিয়ে দেশে আসতে পারবেন। তবে যাঁদের করোনার দুই ডোজ কিংবা বুস্টার ডোজ সম্পন্ন নেই, তাঁদের জন্য আরটি–পিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক, যা ট্রানজিটসহ সব বিমানবন্দরেই পর্যবেক্ষণ করা হয়।

সালটা ২০১৭। সবে অনার্স শেষ করা ছাত্র আমি। চাকরির জন্য সাক্ষাৎকারও দিচ্ছিলাম নিয়মিত; কিন্তু অভিজ্ঞতাবিহীন চাকরি পাওয়া কি অত সহজ? তাই ভাবলাম দেশের বাইরেই ভালো পড়াশোনা করব, কাজও করব, অভিজ্ঞতাও বাড়বে; পাশাপাশি নাগরিকত্বও পাব। দেরি না করে যেমন কথা, তেমনই কাজ।

২০১৮ সালের শুরুর দিকে ভিসা নিয়ে ইউরোপে আসার পর পর্তুগাল নিয়ে অনেক গবেষণা করতে হয়েছিল আমাকে। তা ছাড়া সব মিলিয়ে দেশটিকেই আমার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রাখার ফলে যথাসময়ে বৈধতাও পেয়ে যাই। ২০২০ সালে দেশে আসার কথা থাকলেও করোনা মহামারি সংকটের কারণে আর ফেরা হয়ে ওঠেনি। তাই ভাবলাম মহামারির শেষ সময়ের আগমুহূর্তে টিকা নিয়ে তবেই বাড়ি ফিরব।

বাংলাদেশ ভ্রমণের আগমুহূর্তে লিসবন বিমানবন্দরে লেখক
ছবি: সংগৃহীত
দুবাই বিমানবন্দরে কিছু সময় অপেক্ষা
ছবি: লেখক

সবকিছু মিলিয়ে দীর্ঘদিন পর দেশে আসা আমার মতো সব প্রবাসীর মনে এক অনন্য ভালো লাগার কারণও হয়ে থাকে। বিশেষ করে পরিবার–পরিজন কিংবা আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ কিংবা তাঁদের চোখেমুখে কান্নার ছাপই প্রত্যেক প্রবাসীর মনে না–বলা এক নীড়ে ফেরার আনন্দ প্রকাশ পায় তখন কিছু মুহূর্তের জন্য।