অনন্যার আয়োজনে ফিনল্যান্ডে পিঠা উৎসব

উৎ​সবে বাহারি পিঠা
উৎ​সবে বাহারি পিঠা

আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধারণ করে হিমশীতল বরফের দেশ ফিনল্যান্ডের হেলসিংকিতে অনন্যার আয়োজনে ২৬ নভেম্বর শনিবার উদ্‌যাপিত হয়েছে পিঠা উৎসব।

বর্তমানে নানা বিদেশি খাবারের প্রাচুর্যের কারণে নতুন প্রজন্মের অনেকেই পিঠা চেনে না বা এর আসল স্বাদ পান না। বিশেষ করে প্রবাসে বেড়ে ওঠা দ্বিতীয় প্রজন্মের কাছে এই পিঠা অনেকটাই অধরা। কিন্তু আশার কথা হচ্ছে, পিঠার এই ঐতিহ্য টিকে আছে এবং প্রবাসেও ছড়িয়ে পড়ছে। প্রবাসে বিভিন্ন সংগঠন, ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠীর উদ্যোগে পিঠা উৎসব বা পিঠা মেলারও আয়োজন করা হচ্ছে। অনন্যার মতো বিভিন্ন সংগঠন প্রবাসীদের পিঠার স্বাদ নেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ জুড়ে শীতে আয়োজন হয় বর্ণিল পিঠা উৎসবের। আর এরই মধ্য দিয়ে দেশের শহরের মতো প্রবাসেও প্রসার ঘটাচ্ছে আমাদের পিঠা সংস্কৃতির।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

উৎ​সবে পরিবেশিত পিঠার মধ্যে ছিল নকশি পিঠা, চিতই পিঠা, রস পিঠা, ডিম চিতই পিঠা, দোল পিঠা, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, পাকান, আন্দশা, কাটা পিঠা, ছিট পিঠা, গোকুল পিঠা, চুটকি পিঠা, মুঠি পিঠা, জামদানি পিঠা, হাঁড়ি পিঠা, চাপড়ি পিঠা, পাতা পিঠা ও ঝুড়ি পিঠাসহ নাম না জানা আরও অনেক রকমের পিঠা। বেশির ভাগ পিঠাই বানানো হয়েছে মূলত নতুন ধানের চালের গুঁড়া ও গুড় দিয়ে। এর সঙ্গে ছিল নারিকেল আর ভাজার জন্য তেল। কিছু পিঠায় সবজি ও মাংসের কুচি ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের কয়েকটি পিঠা হলো সবজি পুলি, সবজি ভাপা ও ঝাল বা মাংস পাটিসাপটা। তবে ময়দা বা চিনি দিয়েও পিঠা তৈরি করা হয়েছে। আর রস পিঠাগুলিতে খেজুরের রস ও দুধের ব্যবহারে স্বাদ বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

পিঠা উৎসবের পাশাপাশি মঞ্চে শিশুদের পরিবেশনায় গান, নৃত্য ও বাংলা-ফিন ব্যান্ডের সদস্য সাজ্জাদ, নোমান, নাজমুল, মেজবা ও কেনের পরিবেশনা ছিল আগত দর্শকদের জন্য বাড়তি পাওনা।

পিঠা উৎ​সবে আগতদের একাংশ
পিঠা উৎ​সবে আগতদের একাংশ

যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে অনন্যার আয়োজন সফল হয়েছে তারা হলেন, নির্ঝর, পলি, বীথি, আঁখি ও মুনিয়া প্রমুখ।