তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত সংশোধনের প্রতিশ্রুতি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু রোধ ও ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্সের (আত্মা) একটি প্রতিনিধিদল আজ বুধবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এ সময় মন্ত্রী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনীর উদ্যোগকে ‘সময়োপযোগী’ বলে আখ্যা দেন। প্রজ্ঞার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় প্রজ্ঞা ও আত্মার পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশে ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তামাকের এই ভয়াবহতা রোধে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এ লক্ষ্যে তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন যুগোপযোগী করার নির্দেশনা দেন। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনীতে যেসব প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে; তার মধ্যে রয়েছে সব জনপরিসরে ও গণপরিবহনে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ রাখার বিধান বিলুপ্ত করা; বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য বা প্যাকেট প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা; সব ধরনের খুচরা বা খোলা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিষিদ্ধ করা; ই-সিগারেট, ভ্যাপিং, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ এ ধরনের সব পণ্য উৎপাদন, আমদানি ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা; এবং তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট বা মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৯০ শতাংশ করা ইত্যাদি।
বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, আত্মার আহ্বায়ক মর্তুজা হায়দার, সহ-আহ্বায়ক মিজান চৌধুরী, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের বাংলাদেশ প্রোগ্রামস ম্যানেজার মো. আব্দুস সালাম মিয়া, প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের এবং কর্মসূচি প্রধান মো. হাসান শাহরিয়ার।