বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে আম্রকানন

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে সোনালি মুকুল
ছবি: লেখক

শুষ্ক ঝরা পাতার মড়মড়ে বিষণ্নতার প্রহর আজ শেষ হয়েছে। প্রকৃতিতে এসেছে পালাবদল। বসন্তের মনমাতানো বাহারি ফুলের সৌরভ সর্বত্রই। প্রকৃতির নতুন সাজের ছোঁয়া লেগেছে প্রকৃতিকন্যা খ্যাত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েও (বাকৃবি)। বিশেষ করে এই সময়টায় সুবাস ছড়াচ্ছে আমগাছের নতুন মুকুলগুলো। ক্যাম্পাসজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ছোট-বড় অসংখ্য আমগাছের প্রায় সব কটিতেই মুকুল এসেছে। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে সোনালি এসব মুকুল। ফাগুনের মাতাল হাওয়ায় বাতাসে সুরভিত ম-ম গন্ধ বলে দিচ্ছে এ যে পুষ্পরাতির পরম লগ্ন। সঙ্গে বেড়েছে মধু সংগ্রহ করা মৌমাছির দলের আনাগোনাও।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ছোট-বড় অসংখ্য আমগাছের প্রায় সব কটিতেই মুকুল এসেছে
ছবি: লেখক

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারসংলগ্ন ‘আমতলা’ ও অ্যাগ্রোনমি ফিল্ডের পাশের ‘আমবাগান’ বাকৃবির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দুটি আম্রকানন। মৌসুমি ফল আমের জন্য তো বটেই, বাগানগুলো তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দৃষ্টির খোরাক, অন্তরের খোরাক। একাকী বা দল বেঁধে ঘোরাঘুরির জন্য, মন ভালো করতে এর কোনো জুড়িই নেই।

এসব বাগানের সারি সারি গাছে শোভা পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন মুকুল। কোনো কোনো গাছে দেখা মিলছে সদ্য ফোটা আমের সবুজ গুটি।

প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এখানে ছুটে আসছেন প্রকৃতির টানে। কিন্তু আম্রকাননের এই সৌন্দর্য উপভোগ করা থেকে বঞ্চিত ক্যাম্পাসের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাস ঘুরে এসে সেই আক্ষেপের কথা জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইফতে খারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে থাকলে বন্ধুদের সঙ্গে প্রায়ই আমবাগানে ঘোরাঘুরি করা হতো। কর্মব্যস্ত জীবনে সেটি আমাদের অনেক প্রশান্তি দিত। মুকুলের গন্ধে স্মৃতিগুলো খুব মনে পড়ছে।’ তবে ইফতে খারুলের প্রত্যাশা, আক্ষেপ আর অপেক্ষার প্রহর শেষে সবাই আবার একসঙ্গে বাসন্তী উৎসবে মিশে যাওয়ার দিন হয়তো আর বেশি দূরে নয়।

* লেখক: মুসাদ্দিকুল ইসলাম তানভীর, শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ