নোয়াখালীতে উপকূল-২ চালু হবে কি
দীর্ঘদিন ধরে লক্কড়ঝক্কড় রেক কোচ নিয়ে চলছে উপকূল এক্সপ্রেস। রেলের আধুনিকায়নের যুগে আন্তনগরগুলোতে নতুন লাল-সবুজ ও সাদা কোচ যুক্ত হলেও উপকূলের এখনো সেই সৌভাগ্য হয়নি। আশা করা যায়, এর পরের লটে যেগুলো আসবে, সেখান থেকে অবহেলিত উপকূল এক্সপ্রেস লাল–সবুজ কোচ পাবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এক এক করে অনেক লটই এসেছিল, কিন্তু উপকূলের ভাগ্যে জোটেনি একটাও।
উপকূল সেই ১৯৮৬ সাল থেকে একই রকম কোচ দিয়ে চলছে। অথচ উপকূলের আরও অনেক পরে চালু হওয়া ট্রেনের কোচ পরিবর্তন হয়েছে এবং হতে চলেছে, কিন্তু উপকূলের হচ্ছে না। এতে বোঝা যাচ্ছে উপকূল তথা সমগ্র নোয়াখালী মানুষের সঙ্গে কী পরিমাণ বৈষম্য করছে রেলওয়ে।
এ অঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে উপকূল-২–এর জন্য দাবি জানিয়ে আসছেন। বর্তমান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকার সময়ে উপকূল-২ চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ঢাকা-নোয়াখালী রুটে প্রতিদিন দুই শতাধিক বাস আপ–ডাউন করে, আট হাজার মানুষ ঢাকা-নোয়াখালী যাতায়াত করে প্রতিদিন।
বাস কোম্পানিগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আরও একটি আন্তনগর ঢাকা-নোয়াখালী রুটে দেওয়া উচিত। সে ক্ষেত্রে ঢাকা থেকে সকাল ৭-৮টার ভেতর ছাড়লে আর নোয়াখালী থেকে বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টার ভেতর ছাড়লে উপকূল-২ হাউসফুল হবে প্রতিদিন নিঃসন্দেহে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিরাপদ ভ্রমণ ও রেলওয়ের আয় বাড়ানোর জন্য উপকূল-২ অনতিবিলম্বে চালু করা হোক। সেই সঙ্গে দ্রুত বর্তমান উপকূলকে লাল–সবুজের কোচ অথবা সাদা কোচে উন্নীত করা হোক।