জাতীয় শোক দিবসে বইচারিতার আয়োজন ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত, বঙ্গবন্ধু মরে নাই’
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গত সোমবার (১৬ আগস্ট) রাত ৯টায় অনলাইনে বইচারিতা আয়োজন করে ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত, বঙ্গবন্ধু মরে নাই’ শিরোনামে অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে আলোচনা, গান ও কবিতা আবৃত্তি করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শিল্পী ও শিক্ষক ফাতিমা তুজ জহুরা রহমান ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত, বঙ্গবন্ধু মরে নাই’ গানটি পরিবেশন করেন।
আলোচনা করেন শিক্ষক মো. সামসুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা একাত্তরের চেতনা নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছি, একাত্তরের দাপটে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যে নির্যাস শব্দটি উচ্চারিত হয়েছে বাংলার শাসনতন্ত্রে, তা শেখ মুজিবের নেতৃত্বে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাঙালির যে জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, শাসনতন্ত্র, নিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র আমরা চাই, সেই চেতনার প্রতিষ্ঠানিকতা পাক। শেখ মুজিব শহীদ হয়েছেন। আজ শেখ মুজিব আমাদের মধ্যে নেই। ১৯৭১ সালে তিনি বন্দী ছিলেন কিন্তু তাঁর নেতৃত্বে অব্যাহত ছিল। বাংলার সব প্রান্তে–গ্রামে–ঘরে, এখনো তাঁর নেতৃত্ব অব্যাহত আছে তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার মাধ্যমে। তাই শেখ মুজিব মরেননি।’
ভারত থেকে বিশিষ্ট আবৃত্তিকার পিনাকী চট্টোপাধ্যায় ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ওপর লেখা কবি শহীদ কাদরী, কবি মহাদেব সাহা, কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতা আবৃত্তি করেন। এর মাধ্যমে তিনি স্মরণ করেন সেই কালরাত্রিকে।
শিক্ষক ও সংগীতশিল্পী শায়লা রহমান ‘শোনো একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি-প্রতিধ্বনি আকাশে–বাতাসে ওঠে রণি বাংলাদেশ, আমার বাংলাদেশ’ গানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মুক্ত আসরের মুক্তবন্ধু সানজিদা সরকার অর্পিতা। গ্রন্থনা, পরিকল্পনা, পরিচালনা ও প্রযোজনা করেন আবু সাঈদ।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বইচারিতার আয়োজন ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত, বঙ্গবন্ধু মরে নাই’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সহযোগিতায় ছিল মুক্ত আসর ও উদার আকাশ।