আমরা কি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো স্মার্ট

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
ছবি: সংগৃহীত

শিরোনামের এই প্রশ্ন জগন্নাথ হলের পুকুর পাড়ে আমাদের আড্ডায় ঘুরেফিরে আসত। আড্ডার বিষয় যখন হতো অভিনয় কিংবা তরুণ প্রজন্মের স্মার্টনেস, তখন একটি নাম ছিল অবধারিত। তিনি ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।

তরুণ প্রজন্ম হিসেবে পোশাক-আশাক, চালচলনে তো আমাদের বেশি স্মার্ট হওয়ার কথা। প্রবীণদের কথা বাদ দিলাম। আমরা তরুণ প্রজন্ম কি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো তরুণ কিংবা তাঁর মতো স্মার্ট? আড্ডায় স্বীকার করে নিতাম, আমরা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো স্মার্ট হতে পারিনি। তিনি শার্ট পরলে কেন আমাদের চেয়ে বেশি তরুণ লাগে? তিনি টি-শার্ট পরলে কেন আমাদের চেয়ে বেশি সজীব হয়ে যান? তিনি শরীরে চাদর জড়ালে কেন বিষয়টা অভিজাত হয়ে যায়?

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে বলা চলে বাঙালিয়ানার ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর। খাঁটি বাঙালিয়ানায় তিনি স্মার্টনেসকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। স্যুট-টাই না পরে সাধারণ ঢিলেঢালা শার্ট পরে তিনি যেন টগবগে তরুণ। পোশাকটা তিনি এমনভাবে পরেন যেন পোশাক তাঁকে ধারণ করে।

অভিনয়ের বাইরে তাঁর নিজস্ব পোশাকি স্টাইল প্রশংসার দাবিদার। আমরা প্রায়ই একটা কথা খুব ব্যবহার করি। বয়স যত যাচ্ছে, তত যেন তিনি তরুণ হয়ে উঠছেন। এই কথা একেবারে জুতসই হলো সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বেলায়। তাঁর বাচনভঙ্গি আর পোশাকি স্টাইল অনন্য। তারুণ্য যেন ভর করে তাঁর পোশাক আর কথাবার্তায়।

মার্জিত রুচির অনন্য নিবেদন হলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া বন্ধুরা আড্ডায় উপসংহার টেনে বলি, স্মার্টনেসের দিক থেকে আমরা সৌমিত্র বাবুর কাছে গো হারা হেরে বসে আছি! তাঁর সাদা চুল আমাদের তরুণ প্রজন্মের কালো চুলের চেয়ে বেশি সজীব। বেশি তরুণ।

  • শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়