কবজি কাটা কবির

অলংকরণ: মাসুক হেলাল

১.

কবিরকে দেখে সবাই ভয় পায়। অতিরিক্ত সম্মান করে। পাড়ার চায়ের দোকানে বসলে মুরব্বিরা নড়েচড়ে বসে। হঠাৎ তার আধ্যাত্মিক কোনো ক্ষমতা প্রকাশ হলো কি না, কে জানে।

সেদিন শফিকের চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিল। কোতোয়ালি থানার দারোগা এসে বলল, ‘স্যার, দোয়া কইরেন আমাদের জন্য।’ কবিরের চায়ের কাপ থেকে চা ছলকে পড়ল। ওসি সাহেব আরেকটু কাছে গিয়ে বলল, ‘একটু নজরটজর রাইখেন আমাদের ওপর।’

কবির কাহিনি কী, সে কিছুই বুঝতে পারল না। তবে খানিকটা আঁচ করতে পারল। কিছু একটা হয়েছে যে এটা ভালোই বুঝতে পারছে সে। দ্রুত দাঁড়িয়ে জিবে কামড় দিয়ে বলল, একি, পুলিশের ওপর নজর! তা–ও আবার টাক মাথায়।

‘আপনি হাত বুলিয়ে দিলেই আমার চুল গজিয়ে উঠবে এ আমার বিশ্বাস।’
কবির তার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল, ‘হে বৎস! বিশ্বাসকে নিশ্বাস বানিয়ে নিয়ো!’
দারোগা সাহেব সালাম করার জন্য নিচু হলো। কবির  দুই পা এগিয়ে দিল। সে সালাম ঠুকে দিল।
কবির অন্যদিকে ফিরে বলে উঠল, ‘একি, না না থাক, সালাম করতে হবে না। বেঁচে থাকুন।’
‘স্যার, অবশ্যই সালাম করতে হবে। সালামই শান্তি, দূর করে সব অশান্তি।’
‘বাহ্‌, আপনি দেখি পুলিশ হয়েও কবি!’
দারোগা সাহেব তর হাত টেনে নিয়ে চুমু খেল। বুকে বোলাতে বোলাতে বলল, ‘সবই আপনার দোয়া স্যার।’
‘আমি তো তোমার জন্য কখনো দোয়া করিনি।’
‘আপনি না করলেও দোয়া আপনা-আপনি এসে পড়ে স্যার।’
কী সাংঘাতিক কথা! যাহোক, তারপরও ভালো করে বলছি, ‘এ ভূখণ্ডে আমি কিছুই না। একজন সাধারণ ইনসান মাত্র। পথে পথে ঘুরি আর খাই।’
‘আমরাও তো খাই।’
‘কী খাও?’
‘লজ্জার কথা স্যার। তারপরও বলছি, জনগণ দেয় ঘুষ, পুলিশ খাইলেই দোষ?’
‘আরে, আপনে দেখি সাক্ষাৎ কবিগুরু।’
‘স্যার দোয়া করবেন, সামনে একুশে বইমেলায় আমার কবিতার বই আসতেছে। সেই বইয়ের একটা কবিতার এই দুই লাইন।’
‘বাহ্‌, আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনার বইটা আমি মেলা থেকে সংগ্রহ করব। বইয়ের নামটা বলেন?’
‘বইয়ের নাম হচ্ছে, ডুবে ডুবে জল খাই।’
‘দারুণ নাম দিয়েছেন। আমি সংগ্রহ করব।’
‘স্যার, আপনার সংগ্রহ করতে হবে না। আমি অটোগ্রাফ দিয়ে আপনার বাসায় নিয়ে আসব।’
‘আমার তো বাসা নেই।’
‘যার বাসা নেই, পুরো পৃথিবীই হচ্ছে তার বাসা।’
‘বাহ্‌, ভালোই ফিলোসফি কপচাতে পারেন।’
‘স্যার, আমরা সব জানি। গবেষণা করেই এসেছি।’
‘হয়তো আপনাদের গবেষণায় কোনো ভুল আছে।’
‘এই জমশেদের কোনো ভুল থাকতে পারে না, স্যার।’ মাথা কাত করে অনুমতি চাইল, ‘আজ আসি? বেয়াদবি মাফ করবেন।’

এলাকার মস্তবড় সন্ত্রাসীও আমার কাছে সন্ন্যাসী হতে আসে। কী এক যন্ত্রণায় পড়লাম।

এখনো কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। খুব শিগগিরই কারণ খুঁজে বের করব আমি। আজ আর মেস থেকে বের হতে ইচ্ছা করছে না। বাইরে প্রখর রোদ। এই রোদে হাঁটাহাঁটি করার দরকার নেই। পাছে অসুখ বেঁধে যাবে।

কবির দুপুরে খেয়ে লম্বা একটা ভাতঘুম দিল। এক ঘুমে সন্ধ্যা পার। যখন ঘুম ভাঙল, তখন দেখল ৮টা বেজে ২১ মিনিট। দ্রুত ফ্রেশ হয়ে ‘দারচিনি হোটেল’–এ গেল। আজ খুব একটা ভিড় নেই। ১৩ বছরের এক বেয়ারাকে দেখল। হয়তো নতুন এসেছে। এর আগে তাকে কবির দেখেনি। কবির কাছে ডাকল, সে ডান হাতের পাঁচ আঙুলে পাঁচটা গ্লাস নিয়ে এগিয়ে এল।
‘কী কবেন কন?’
‘নতুন এসেছিস? বাড়ি কই?’
‘এত কথা কইতে পারুম না। কী খাইতে আইছেন, কন। খাইয়া উড়াল দেন।’
‘মেয়েলোকদের মতো এত চ্যাটাং চ্যাটাং করোস কেন? কানের চার আঙুল নিচে একটা কষে দেব শালা।’
‘আপনে আমারে গালি দেবেন না কইলাম।’
‘তোরে গালি দিলাম কই?’
‘এই যে শালা ডাকলেন।’
‘ধুর শালা, শালা তো গালি না। এটা একটা আদর। কবির ওর গাল টেনে দিয়ে বলল, ছোটদের আদর করে শালা ডাকতে হয়, বুঝলি?’
সে বোঝাবুঝির ঝামেলায় গেল না। সোজা ম্যানেজারকে চিৎকার করে ডাকতে গেল।
‘ওস্তাদ, কাস্টমার আমারে শক্ত করে চড় মারল। আইজ কিছু কন, না হইলে আমি এহনই হোটেল ছাইড়া চইলা যামু!’
সুবহান মিয়া আইসা কদমবুসি করল। তারপর পিচ্চিরে আদর করে কাছে ডেকে দিল একটা চড়৷ কবির ভাইজানের লগে বেয়াদবি করস। কু...বাচ্চা। কানে ধরে মাফ চা।
সে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেছে। কী করবে না করবে বুঝতে পারছে না।
কবির বলল, ‘আরে থাক না। বুঝে না পিচ্চি পোলা।’
‘ভাই আপনেরে চিনতে পারে নাই। ওরে মাফ করে দেন।’
সে ভয় আর কৌতূহল নিয়ে আমারে ভালো করে দেখতে লাগল। আমি দ্রুত চলে এলাম। বেশিক্ষণ থাকলে ওর কৌতূহল কমে যাবে। মানুষের কৌতূহল কমাতে ইচ্ছা করে না। পেটে কিছু না ফেলেই চলে এলাম রাস্তায়।

অলংকরণ: মাসুক হেলাল

২.

পেছন থেকে কে যেন কলার ধরে হ্যাঁচকা টান দিল। গলায় ব্যথা পেলাম। পেছনে না তাকিয়ে ওরে নিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম। উদ্ভট আচরণ করছি যেন সে অন্য রকম ভাবে। জসীমউদ্‌দীন রোডের বাঁ পাশের ফুটপাতে এখনো কাজ হচ্ছে। একটানা হাঁটার কোনো সুরত নেই। মাঝখানে মাঝখানে ঢাকনা ছাড়া ময়লার লাইন। ওরে নিয়ে আচমকা ফেলে দিলাম। তার গলা অবধি ডুবে গেল। মুখ আর দুই হাত ওপরে। ডান হাতে থাকা ফোন রাস্তায় ছিটকে পড়ল। রাতের অন্ধকারে বেজে উঠল ফোন। আমি হ্যালো বলতেই ওপাশ থেকে ভেসে এল ছোট্ট একটা গালি। এই তিন ফুট, কবিরকে ফোন দে শালা।
‘জি, স্যার বলুন। আমি কবজি কাটা কবির বলছি।’
‘তুই আমার লগে মজা লস? তুই চিনোস আমি কে?’
‘এই পৃথিবীতে কেউ কাউকে চিনে না। শুধু চেনার অভিনয় করে সবাই।’
‘তুই কে?’
‘বললাম না, আমি কবজি কাটা কবির।’
‘তুই তো কবজি কাটা কবির না। এই শহরে একজনই কবজি কাটা কবির আছে। তোর নাম শুধু কবির। তিন ফুট কই?’
‘স্যার, তিন ফুট তো ছয় ফুট নিচে।’
‘কথা সামলায়ে ক, আমার লোক তোরে ফলো করতেছে। যেকোনো সময় গুলি করে খুলি উড়াইয়ে দেবে।’
আমিও তাকে ভয় দেখানোর জন্য বললাম, ‘আমার লোকজনও তোর আশপাশে আজরাইলের মতো ঘুরছে। আমি গোপন পাসওয়ার্ড বললেই তোর ভুঁড়ি গালিয়ে দেবে? বলব? এক দুই...তিন বলার আগেই ফোন কেটে দিল।’
আমি পুরো শহর কাঁপিয়ে হা হা করে হাসতে লাগলাম।
তিন ফুট মেইন হল থেকে বেরিয়ে এল। হাত আর পা ছিলে গেছে অনেকখানি। লাইন এখনো ঠিকমতো চালু হয় নাই দেখে বেঁচে গেছোস?
‘তোর নাম কী?’
বেচারা বিড়ালের মতো মেউ মেউ করছে এখন। ‘আমার নাম বদি।’
‘সুন্দর নাম নাই? সুন্দর নাম বল, স্যার, সুন্দর নাম বাপ–মা রাখার টাইম পায় নাই।’
‘তোর বসের কাছে আমাকে নিয়ে চল। ওরে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে। বদি, বল তো পৃথিবীতে কাদেরকে একনজর দেখতে ইচ্ছা করে?’
সে কিছু বলল না।
‘আমি বললাম, খুব ভালো ও খুব মন্দ লোককে সবার একনজর দেখতে ইচ্ছা করে।’
‘তোর বস অনেক মন্দ লোক তোর বিশ্বাস হয়? যা তুই চুপ করে থাক। চুপ করে থাকাই সম্মতির লক্ষণ।’

৩.

কবজি কাটা কবিরের সামনে কাঁচুমাচু হয়ে বসলাম। সে আমাকে দেখে চিনতে পারল না। মানুষ আছে কিন্তু কথা নেই, এ রকম কবর পরিবেশে থাকতে ইচ্ছা করছে না আমার।

আমি আগ্রহের সঙ্গে হাসিমুখে বললাম, ‘স্যার আমি কবির। আপনাকে ধমক দিয়েছি, মাফ করে দিয়েন।’

কবজি কাটা কবির একটু নড়েচড়ে বসল। গলা খাঁকারি দিয়ে একটু আওয়াজও বের করল। আওয়াজটা মেয়েলি মেয়েলি শোনাল। আমি কৌতূহল মেটানোর জন্য তার কণ্ঠ শুনতে চাইলাম।
বিনীত স্বরে বললাম, ‘যদি একটু এদিকে ফিরতেন, তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করতাম।’
‘আমি দেখেই অবাক। এত সুন্দরী যুবতী আমি কখনো দেখিনি। মনে হচ্ছে জান্নাত থেকে পালিয়া আসা হুর। এত সুন্দরী রমণী কীভাবে পুরুষালি গলায় কথা বলে! আমি একনজর দেখেই প্রেমে পড়ে গেলাম।’
বললাম, ‘আপনার নাম কবজি কাটা কবির না হয়ে ডানাকাটা পরী হলেই পারত।’
সে পুরুষালি কণ্ঠে বলে উঠল, ‘চুপ কর শালা, গুলি করে ভুঁড়ি গালিয়ে দেব।’
‘আমার তো পেটই নেই, ভুঁড়ি গালাবেন কীভাবে?’
‘চুপ কর শালা, বেশি কথা বলিস।’
‘আপনার মুখে শালা মানায় না। আমার মুখে মানায়। শুনবেন?’
‘অন্ধকারে ডাকল, এই কে আছিস, এরে নিয়ে বেঁধে রাখ।’
‘আমার একটা প্রশ্ন আছে। আপনার কবজি কি সত্যি সত্যি কাটা? খুব দেখতে ইচ্ছা করছে।’
‘অসভ্য শালা।’
‘আমি কিন্তু আপনার প্রেমে পড়ে গেছি।’
‘এই এরে নিয়ে মেরে ফেল। এর বেঁচে থাকার অধিকার নেই আর।’
‘আমার খুব জানতে ইচ্ছা করছে, আপনার নাম কবজি কাটা কবির হইল কেন?’
‘এই বদি, এর বাঁ হাতের কবজিটা কেটে দে।’
‘বললাম, কাটাকাটির দরকার নেই। আমি উত্তর পেয়ে গেছি। আমার কবজি না কেটে আমায় গুলি করে দে বদি।’
বদি অন্ধকার হাতড়িয়ে লম্বা একটা দা নিয়ে এল। দা আর ও সমান সমান। সবাই আমাকে শক্ত করে ধরে রেখেছে। আর কবজি কাটা কবির আপু খিলখিল করে হাসতে লাগল। হঠাৎ কী থেকে কী হয়ে গেল। এর মধ্যে অ্যাম্বুলেন্সের সাউন্ড ভেসে এল। কবজি কাটা কবির আপু হুংকার দিয়ে বলল, ‘এক মিনিটের মধ্যে সবকিছু পাকসাফ কর। কুইক। কোন শালা পুলিশকে খবর দিছে। ওর কবজি যে পর্যন্ত না কাটব, সে পর্যন্ত আমার নাম ডানাকাটা পরী না। ওহ্ সরি, কবজি কাটা কবির না।’
দরজায় কলিং বেল বেজে উঠল। ঘরে আলো জ্বেলে উঠল। দরজা খুলতেই ভেসে উঠল দারোগা জমশেদের চেহারা।
আমি মনে মনে বললাম, যাক বাঁচা গেল এই ডাইনির হাত থেকে।
জমশেদ হাসিমুখে ডাইনির ঘা ঘেঁষে বসে বলল, ‘ডার্লিং তুমি একে অবশেষে তোমার কবজায় আনতে পারলে? হা হা হা।’
কবির চিৎকার করে বলল, ‘বিশ্বাসঘাতক!’

অলঙ্করণ: মাসুক হেলাল

জমশেদ কবিরের মুখের ভেতর পিস্তল ঢুকিয়ে বলল, এক দুই...তিন বলার আগেই ডাইনি বলে উঠল, ‘না কলিজা ওরে এখানে না। ওরে নারী নির্যাতনের কেস দিয়ে যত্ন করে ঝুলিয়ে দাও। হাহা হিহিহিহি করে একজন আরেকজনের গায়ে পড়ে হাসতে লাগল। হাসির আওয়াজের মধ্যেই সব কটাকে গুলি করে লাশ বানিয়ে দিল। মুহূর্তের মধ্যেই ঘুরে গেল গেম। আমি আইনের মারপ্যাঁচে আটকে গেলাম। পাঠানো হলো কারাগারে। ভাবলাম, ছয় মাস নিশ্চিন্তে এখানে শুয়ে–বসে খেয়ে দিনগুলো পার করে দিতে পারব। তারপরই হবে মুক্তি।’
কিন্তু আজ হঠাৎ দারোগা জমশেদ সাহেব উসখুস করতে করতে কাছে এল। চেহারা দেখে মনে হচ্ছে বউ বাপের বাড়ি গেছে সেখান থেকে আর ফিরতে চাচ্ছে না। চোখ দিয়ে আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়ছে চারদিক। এখনই হয়তো ভস্ম করে দেবে সবকিছু।
‘আপনার কিছু খেতে মন চায়?’
‘নাহ।’
‘কিছু খেতে মন চাইলে বলুন।’
‘কেন স্যার?’
‘অত কথা কইতে পারুম না। আগামীকাল আপনার ফাঁসি তাই।’
কবির ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বলল, ‘স্যার, ফাঁসি না আরও ছয় মাস পরে হওয়ার কথা ছিল?’
‘ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল না। বের হওয়ার কথা ছিল।’
‘ওই একই কথা স্যার। কারাগারের ভেতরের চেয়ে বাইরেই অশান্তি বেশি।’
‘এখন আপনি কী চান, শান্তি না অশান্তি?’
‘শান্তি!’
‘আপনাকে চিরতরে শান্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। আজ বেলা ২টা ১৩ মিনিটে আপনার ফাঁসি?’
‘আজই স্যার?’
‘হ্যাঁ।’
‘আপনার কোনো সমস্যা?’
‘না, সমস্যার কী আছে। প্রেমে পড়ার চেয়ে ঝুলে পড়া হাজারগুণ ভালো।’
‘খবরদার, আপনি আমার সামনে পুতুপুতু টাইপ কথা বলবেন না। আমি এসব পছন্দ করি না, বুঝলেন? আপনার হায়াত শেষ। সুতরাং জিকির–আসকারে নিমগ্ন হন।’
‘স্যার, অজুই তো করলাম না।’
‘আপনার অজুর দরকার নেই। তায়াম্মুম করেন।’
‘জেলার সাহেব চাচ্ছেন আজই হোক। কী বলেন?’
‘জেলার সাহেবটা আবার কে?’
‘জেলার সাহেব হচ্ছে আপনার এলাকার লোক। দূরসম্পর্কের আত্মীয়। তাই তিনি আপনার কাজটা দ্রুত সেরে ফেলতে চাচ্ছেন।’
‘কবির লাফ দিয়ে উঠল, ইন্না লিল্লাহ, এ কেমন স্বজনপ্রীতি স্যার!’
জমশেদ সাহেব হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি খেল। মিনিট পাঁচেক পর কবির কারাগার থেকে মুক্তি পেল। নীল আকাশে মুক্ত বিহঙ্গের মতো উড়তে লাগল তার মন!

নাগরিক সংবাদে ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]