প্রতিবেশী-আত্মার আত্মীয়
১.
দরজায় নকের শব্দের সঙ্গে সঙ্গে আম্মার সাহায্যকারী গৃহকর্মী মারফতীর মা ফরিদপুর–ঢাকাইয়া মিক্সড টোনে হরবর করে ‘লালবাগের ওই মুড়ারত্থন পলাশীর এই মুড়া লৌড়াইতে লৌড়াইতে আইছি’ শুনতে পেলাম। আমরা বারান্দায় খেলছিলাম। আম্মা সাদরে তাঁকে গ্রহণ করে গ্রামের বাড়িতে কেমন বেড়ানো হলো জিজ্ঞেস করছিলেন। খেলায় আবার মন দিলাম আমরা। হঠাৎ করে মারফতীর মা বললেন, ‘আম্মা, এট্টু পর লেম্বুর মা তোমার লগে দেখা করতে আইব’ শুনে দুজনেরই সিক্স মিলিয়ন ডলার ম্যানের মতো কানে পাওয়ার বেড়ে গেল। গৃহকর্মীর ‘লেম্বুর মা’ হচ্ছেন, আমাদের প্রতিবেশী খালাম্মা, লিবু ভাইয়ের আম্মা।
কথান্তরে লিবু-লেবু-লেম্বু অর্ধ-তৎসম ভাষা। আমরা বাসা থেকে বেরোনোর মউকা খুঁজতে লাগলাম, নিশ্চয়ই আমাদের ব্যাপারে কোনো কমপ্লেইন নিয়ে আসবেন খালাম্মা! গত পরশুদিন লেবু ভাইদের বাসায় আসন্ন শবে বরাতের হালুয়াসংক্রান্ত খালাম্মাদের মিটিং থেকে আম্মাকে ডেকে আনতে গেলে লেবু ভাই আম্মার কাছে আমাদের দুই ভাইয়ের নামে নালিশ করেছিলেন। তখন খালাম্মার দেওয়া চানাচুর আমরা খুব মজা করে খাচ্ছিলাম। লেবু ভাই বাইরে থেকে এসে আমাদের দুজনকে দেখে চোখ গোল গোল করে আম্মাকে বললেন, ‘খালাম্মা, এই দুইজনের জন্য রাস্তাঘাটে মান-সম্মান নিয়ে চলতে পারি না। দেখলেই বলে, হালি কতো? কাগুজি না এলাচি?’ লেবু ভাইকে ছোট্ট একটা শান্টিং দিয়ে আম্মা বললেন, ‘তুমি না বড় ভাই, কান ছিড়ে দিতে পার না?’ কোনো বকেয়া না রেখে আমাদের দুজনের কান ধরে ‘আর কখনো বড় ভাইকে নাম ধরে ডাকবি’ বলে বকা দিলেন। খালাম্মা ও লেবু ভাইয়ের হস্তক্ষেপে ছাড়া পেলাম। লেবু ভাইয়ের বোন আমাদের সমবয়সী কেকনের কাছে আমাদের প্রেস্টিজ পাংচার হয়ে গেল!
গতকাল দুপুরে যথারীতি জানালার রেলিং দিয়ে বাইরে পা বের করে আমরা দুজন কমলা খাচ্ছিলাম আর অপেক্ষা করছি কখন আসরের আজান হবে। আসর থেকে মাগরিবের আজান পর্যন্ত আমাদের মাঠে খেলার সময় বরাদ্দ। নিচ থেকে লেবু ভাইয়ের সহাস্য সম্বোধন, ‘কিরে, তোদের খবরটবর কী? কানে ব্যথা আছে নাকি?’ বেশ কনফিডেন্স নিয়ে তাকিয়ে আছেন। আম্মা কিছু বলতে নিষেধ করেছেন, তাই মনের দুঃখে হাতের কমলার কোয়া মুখে পাঠিয়ে দেওয়ার সময় হঠাৎ মনে হলো, বইয়ে তো পড়েছি কমলাকে কমলালেবু বলে। সাথে সাথে দৌঁড়ে ফ্রিজ থেকে একটি কমলা এবং একটি লেবু নিয়ে দুই ভাই ইশারায় লেবু ভাইকে অফার করতে লাগলাম। লেবু ভাই মানসম্মান নিয়ে ডানে-বামে অন্য কোনো বন্ধু আছে কি না দেখে দ্রুত কেটে পড়লেন।
আমাদের দুই ভাইয়ের জন্ম আজিমপুর কলোনিতে।
লেবু ভাই বি.এ পড়েন; আমরা ক্লাস ফোর-ফাইভে। সবাই খুব আদর করতেন। আজিমপুর কলোনির জীবনটা ছিল অন্যরকম। বিল্ডিংয়ে নম্বর অনুযায়ী মাঠের নামকরণ হতো। যেমন ৪২ নাম্বার মাঠ, ২৭ নম্বর মাঠ, ১০ নাম্বার/১২ নাম্বার ইত্যাদি মাঠ। মাঠগুলো ছিলো বিশাল বড়। সেখানে আশেপাশের ৫–৬টি বিল্ডিংয়ের ছেলেরা খেলত। এ ছাড়া প্রতিটি বিল্ডিংয়ের পাশে ছোট ছোট মাঠ ও বাগান ছিল। আমরা কলোনির ৩২ নাম্বার মাঠ ও আশেপাশের বাগানে খেলতাম। নিজেদের বিল্ডিং ও আশেপাশের বিল্ডিংয়ের খালাম্মা–খালু, চাচা–চাচি আমাদের রক্তসম্পর্কে কেউ নন এটা জানতে, বুঝতে অনেক দিন সময় লেগেছিল।
আজিমপুরের কোনো টু বি ইয়ং ছেলে আজিমপুর গার্লস স্কুল বা অগ্রণী বালিকা বিদ্যালয়ের আশে পাশে উঁকি দিতে সাহস পেত না। তাকে চেনে এমন কোন খালাম্মা বা চাচি বা ঐ দুই স্কুলে আমাদের পরিচিত ছাত্রী, যদি তাকে ঘুরঘুর করতে দেখেন, তাহলে সরাসরি চার্জ। সিগারেট ফুকতে অনেকে কলোনির সীমার বাইরে চোরের মতো যেত; যদি কোনো খালু বা চাচা বা বড় ভাই দেখে ফেলেন! উনারা নিজের ছেলেদের যেভাবে কনফিডেন্টলি শাসন করতেন, তেমনি কলোনির অন্য ছেলেদেরকে একই নিয়মে শাসন করতেন। ছেলেদের অভিভাবকেরা নিশ্চিন্তে থাকতেন, তাঁদের বাচ্চারা চোখে চোখে আছে।
মনে আছে ওয়েস্ট অ্যান্ড হাইস্কুলে ভর্তি পরীক্ষার ভাইভায় আব্বার সঙ্গে সঙ্গে কাজল ভাইও গেছেন। হেডস্যার ওনার স্কুলের অন্যতম সেরা ছাত্রকে আমাদের সঙ্গে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কাজল, খবর কী?’ কাজল ভাই সোজাসুজি স্যারকে আমাকে ভাই ও আব্বাকে চাচা বলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।
আমরা সাইজে একটু ছোটখাটো হওয়ায় মাঝেমধ্যে ক্লাসের এক্সএল সাইজের বন্ধুরা ডিস্টার্ব করত। একদিন ইমনকে ধাক্কা দেওয়ার সময় আমাদের বিল্ডিংয়ের অন্যতম দুষ্টু ভাই, মাসুদ ভাই দৌড়ে এসে উত্ত্যক্তকারী বন্ধুটির কলার চেপে শাসিয়ে দেন, ‘ও আমার ছোট ভাই, আর যদি কোনোদিন ইমনকে মারিস, তবে তোর ঠ্যাং ভাইঙ্গা হাতে ধরায়া দিমু।’ সেই উত্ত্যক্তকারী বন্ধুটি মাফ চেয়ে পার পেয়েছিল। আমাদের সিনিয়র ভাইরা সব সময় বলতেন, ‘তোদের কেউ মাইরটাইর দিলে আমাদেরকে এসে বলবি, নল্লি ফাটায়া দিমু।’
সকালবেলায় দুলাল ভাইয়ের হোন্ডার শব্দ আমরা উৎকর্ণ হয়ে শুনতাম। দুলাল ভাই আমাদের ওপরতলায় থাকতেন। উনার আব্বা জগন্নাথ কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন। যখনই আমাদের দেখতেন, বলতেন—
‘সুমন-ইমন দুই ভাই,
আমার কোনো ভাই নাই,
সুমন-ইমন আমার ভাই।’
প্রতিদিন সকালে উনি হোন্ডা স্টার্ট দিয়ে বসে থাকতেন। বিল্ডিংয়ের কোনো ছোট ভাইকে হোন্ডায় বসিয়ে পুরো বিল্ডিং একবার চক্কর দিয়ে বউনি করতেন। এরপর উনি বাইরে যেতেন। আমরা বন্ধুরা সুযোগের অপেক্ষায় থাকতাম, দুলাল ভাইয়ের হোন্ডায় ওঠার জন্য।
২.
আব্বা বেশ কিছুদিন অস্ট্রেলিয়ায় সরকারি কাজে গিয়েছিলেন। বাসায় বাজারসদাই করা নিয়ে আম্মাকে চিন্তিত দেখে লেবু ভাইয়ের আম্মা সান্ত্বনা ও সাহস দিয়ে বলেন, ‘ভাবি, আপনি চিন্তা করবেন না, আমার শিমলা যখন আমাদের বাজার করবে, তখন সঙ্গে সঙ্গে আপনাদের বাজারটাও করে দেবে।’ শিমলা হচ্ছে খালাম্মার ছোট ছেলে শিমুল ভাই। পরে আম্মা শিমুল ভাইয়ের আন্ডারে আমাকে ইন্টার্ন করতে পাঠালেন। লালবাগ বাজারে দুই দিন পরপর শিমুল ভাইয়ের কাছে হাতে-কলমে ট্রেনিং নিলাম। প্রতিটা জিনিস, সেটা ধনিয়াপাতাই হোক বা কাঁচা মরিচ বা টমেটো—সেটা উনি খুব ভালো করে যাচাই করে কিনতেন। আমাকে হাত ধরে দেখাতেন। লালবাগ কেল্লার মোড় বাজারে ঢাকাইয়া বিক্রেতাদের, ‘আমারটা লও, আমারটা লও, দাম কওনা ক্যালা, নিবানা ক্যালা’ ইত্যাদি প্রচ্ছন্ন হুমকি দেখে কোনো কোনো সময় সবজিতে হাত দিতে সাহস পেতাম না। শিমুল ভাই কী করে পরিস্থিতি ট্যাকেল করতে হয়, সেটা শিখিয়েছেন।
ক্লাস নাইন-টেনে ভূগোল বইয়ের ম্যাপ আঁকা নিয়ে খুব সমস্যায় পড়লাম। মুশকিল আসান হিসেবে মেডিকেল কলেজের ছাত্র লিপু ভাইয়ের স্মরণাপন্ন হলাম। লিপু ভাই-কাজল ভাই খুব ভালো ছাত্র ছিলেন।
এ জন্য যেকোনো পড়া খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিতেন বিরক্ত না হয়ে। অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ ইত্যাদি লাইন-টাইন টেনে সুন্দর করে সহজভাবে বাংলাদেশের ম্যাপ আঁকা শিখিয়ে দিলেন। হাশিম খালু (আমাদের আরেক প্রতিবেশী এবং লিপু ভাইয়ের চাচা) হাসিমুখে বললেন পৃথিবীর ম্যাপটা নিয়ে আসোত বাবা। গোল গ্লোবটা হাতে নিয়ে উনি বললেন, ‘আমাকে কিছু পড়া ধরো।’ উনি পুলিশের উঁচু পর্যায়ের কর্মকর্তা ছিলেন অথচ সহজ সাধারণ জীবনযাপন ও হাসিমুখ দেখে আমরা কখনোই মনে করতাম না উনি পুলিশে চাকরি করেন। উনি সহজভাবে আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকার ম্যাপ শিখিয়ে দিলেন। একই সঙ্গে অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ দিয়ে কোনো জায়গা কীভাবে চিহ্নিত করা যায়, সেটা শিখিয়ে দিলেন। সবকিছু কত সহজ সুন্দর ছিল।
৩.
পয়লা বৈশাখ, ঈদ, একুশে ফেব্রুয়ারি, বার্ষিক পরীক্ষার ছুটি ইত্যাদি বিভিন্ন পরবে প্রতিটি বিল্ডিংয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ঢল নামত। চারদিকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা, নতুন নতুন হুমায়ুন ফরীদি, আফজাল হোসেন, সুবর্ণা মোস্তফা, আব্দুল্লাহ আল মামুনের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার কসরত চলত। ছড়া, গল্প বলা, নাচ-গান আর অবশ্যই মূল আকর্ষণ নাটক। এই অঙ্গনের চালিকাশক্তি আমাদের সাকলাইন ভাই। উনি নাটকের রচয়িতা, নির্দেশক, ম্যাকআপম্যান, ড্রেস ডিরেক্টর এবং একই সঙ্গে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা। আসলে বিভিন্ন বিল্ডিংয়ের এসব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রবল রেষারেষি থাকত। একটি টিমের সঙ্গে আরেকটি টিমের হাড্ডাহাড্ডি কম্পিটিশন। এক টিম অন্য টিমের প্রশংসা শুনতে পারত না। নিজের নিজের টিমের অনুষ্ঠান সফল করার সঙ্গে সঙ্গে কোনোভাবে অন্য টিমের অনুষ্ঠান ভণ্ডুল করার জন্য চেষ্টা চালাত। ঠিকমতো নজরদারি না করলে প্রতিপক্ষের পঁচা ডিম, গলা টমেটো অনুষ্ঠানকে বর্ণময়-গন্ধময় করে দিত। নাইন-টেন, কলেজ-ভার্সিটিতে পড়া বড় ভাই ও আপারা নাটকের নায়ক-নায়িকা-ভিলেনসহ বড় বড় সব পার্ট নিতেন; সংলাপও তাঁদের মুখে থাকত। আমাদের জুনিয়র পার্টির কাজ নেই, মাঝেমধ্যে লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্য ইত্যাদি বোবার পার্ট। সাকলাইন ভাইয়ের কড়া নির্দেশনা, ‘তোরা কোনো সংলাপ পাবি না, অনুষ্ঠান নষ্ট করতে তোদের মতো একজনই যথেষ্ট।’ আমরা অনেক অনুনয় বিনয় করেও সাকলাইন ভাইয়ের মন গলাতে পারলাম না। শেষে খালাম্মাকে ধরে (সাকলাইন ভাইয়ের আম্মা) একটা করে ডায়ালগ বরাদ্দ পাই। কিন্তু ডায়লগ দিতে গেলে পেট ফেটে হাসি বেড়োয়। সাকলাইন ভাই রেগেমেগে আগুন। অনুষ্ঠানের দিন স্যান্ডো গেঞ্জি পরে লাঠিয়াল হিসেবে নিজেদের খুব একটা ফিট না হওয়াতে যার যার বাসা থেকে জুতার ব্রাশ, কালো কালি দিয়ে দাড়ি–গোঁফ বানিয়ে নিজেরা নিজেরা মহড়া দিই। মনে হলো চরিত্র অনুযায়ী এবার আমাদের মেকআপ ঠিক হয়েছে!
৪.
হঠাৎ করে চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে ফ্লু। একদিন আম্মা রান্নাটাও পুরোপুরি শেষ করতে পারলেন না। আব্বাও জ্বরে ভুগছিলেন। দুজনেই শয্যাশায়ী। আমরা দুই ভাই ও বাসার সাহায্যকারী জলপট্টি দিয়েও জ্বর নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিলাম না। বিকেলে মাঠে খেলতে না যাওয়ায় তিনতলার চাচি খোঁজ নিতে আসেন কেন আমরা দুই ভাই খেলতে গেলাম না। বাসায় আব্বা-আম্মার অবস্থা দেখে দ্রুত উনি উনার বাসায় গিয়ে চাচাকে নিয়ে আসেন এবং আশেপাশের অন্যান্য প্রতিবেশীদের খবর দেন। আব্বা-আম্মার মাথা ধুয়ে গরম গরম ভাত-মুরগির মাংস জোর করে খাইয়ে দেন; আমাদেরও খেতে দেন। ফ্রিজ খুলে বাজারের অবস্থা দেখে বাজার আনতে পাঠান। আজিমপুর কলোনির ছাপড়া মসজিদের বিখ্যাত মুক্তি ফার্মেসির ডাক্তার সাহেবকে আনানোর ব্যবস্থা করেন। প্রতিবেশী রক্তসম্পর্কিত অনাত্মীয় কিন্তু আত্মার আত্মীয়দের সহযোগিতা, সাহস আর ভালোবাসায় আব্বা-আম্মা দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।
৫.
হালের বিশাল একটি ফ্ল্যাট কমপ্লেক্সের দুতলা থেকে নিচে নেমে আসি অফিস যাবো বলে। গত রাত থেকে মনটা অনেক খারাপ, একটা নিউজ দেখে। ইতালির লম্বার্ডিতে শোবার ঘরের চেয়ার থেকে এক সত্তরোর্ধ্ব মহিলার লাশ দুই বছর পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। সম্পূর্ণ একা নিঃসঙ্গ মৃত্যু—দুই বছরেও কেউ খোঁজ করল না? কিন্তু লিফটের কাছে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে থমকে দাঁড়াই। বিল্ডিংয়ের কেয়ারটেকারকে জিজ্ঞেস করি, ‘কী ব্যাপার, এই অ্যাম্বুলেন্স কেন?’ সে উত্তর দেয়, ‘রাতে পাঁচতলার সাহেবের ভাই মারা গেছেন।’ নিজেকে ধিক্কার জানাই, কেমন প্রতিবেশী আমি?
লেখক: আসফাক বীন রহমান, সহযোগী অধ্যাপক, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, গাজীপুর।