ইটনা এত দূর...

অলংকরণ: মাসুক হেলাল

‘আমরার আবু কান্দেরে,
ধনু গাঙ্গের পাড়ে
আবু কইয়া ডাক দিলে,
উইড়া আইয়া পড়ে।।

‘বুজছুইন মাঝিভাই, আর কয়ডা গাঙ্গ নিয়া শোলক আছে। আমরার ধনু গাঙ্গের পারের মা আরও কত শোলক কইয়া আবুইদ্দারে ঘুম পাতায়!’ মাঝিভাই, আমি আর অপু ভাই চামড়া বন্দরে ট্রলারে উঠেছি ইটনা যাবো বলে। রিকশা থেকে নেমে একটা হোটেলে ঢুকেছিলাম ডিম-পরোটা খাবার ইচ্ছায়। কিন্ত অপু ভাইকে ঠেলেও এই গ্রামীণ রেস্তোরাঁয় ঢুকানো যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত অনেক পীড়াপীড়িতে উনি কিছু খাবেন না, এই শর্তে রেস্তোরাঁয় ঢুকেছি।

অপু ভাই আমার নতুন সহকর্মী; গত পরশু দিনের আগের দিনই পরিচয় ঢাকা ডিভিশনাল অফিসে। যখন শুনলাম, চাকরির প্রথম পোস্টিং ‘ইটনা’, তখনই ইতিউতি করে তাকাচ্ছিলাম আর কোনো সঙ্গী-সাথি পাই কি না। এর মধ্যেই হঠাৎ লম্বামতো সুবেশধারী এক ভদ্রলোক আমাকে বললেন, ‘আপনিও ইটনা?’ দুজনে মনের দুঃখে কীভাবে ইটনা যাব, মতবিনিময়ের ফাঁকে আরেক ভদ্রলোক সরাসরি এসে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কোন মেডিকেল, কততম ব্যাচ?’ শুনলাম সে–ও ইটনাগামী এবং আমার ব্যাচমেট। অপু ভাই আমাদের এক ইয়ার সিনিয়ার। ডাক্তার পাহাড়ির কাছে হাওন ট্রলার ইত্যাদির বর্ণনা শুনে আজীবন ঢাকাবাসী অপু ভাইয়ের আক্কেলগুড়ুম! পাহাড়ির বাড়ি কিশোরগঞ্জ। আমি সরাসরি ট্রেন আর অপু ভাই সরাসরি বাসের ব্যবস্থা আছে কিনা জানতে চাইলে আমাদের কাতর দৃষ্টিতে পাহাড়ি খুব মজা পায়। সে আশ্বাস দিল, আমার জন্য কিছুটা রাস্তা ট্রেনের ব্যবস্থা, অপু ভাইয়ের জন্য কিছুটা রাস্তা বাসের ব্যবস্থা আর শেষ অংশটা রিকশা-ট্রলারের ব্যবস্থা—মানে ফোর ইন ওয়ান প্যাকেজে ইটনা যাওয়া যাবে।

গতকাল ভোরে এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ রওনা হই। আব্বা এই কাকডাকা ভোরে মেজো মামার গাড়িতে করে কমলাপুর স্টেশনে নামিয়ে দিতে এসেছেন। এত ভোরে মেজ মামা–মামিকে বিব্রত করতে না চাইলেও মামি অন্যান্য অনেক দিনের মতো আন্তরিকতার সঙ্গে ছোট একটা ধমক দিয়ে আমাকে ফোনে বললেন, ‘তাজুল সময়মতো তোমাদের বাসায় চলে যাবে, ভালোভাবে নতুন চাকরি শুরু করো।’ ট্রেনের ফাঁকা বগি দেখে কিছুটা ভয়ে ভয়ে সিটে বসলাম। কিছু সময় পরে অপু ভাইও এসে পড়ায় একটু সাহস নিয়ে বললাম, ‘এত ভোরে কে ঢাকার বাইরে যায়?’ এক চাচামিয়া আমাদের কথায় সায় দিয়ে বলেন, ‘এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস’–এর এই একটা ট্রেন দুবার করে মোট চারবার আপ-ডাউন করে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ পর্যন্ত। বাসমালিকদের চাপে ট্রেনের সময় পাল্টে দেওয়াতে যাত্রী এখন কম। না হলে ভোরে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী প্রচুর যাত্রী ছিল। ভৈরবে এসে রেলওয়ের ইঞ্জিন দিক বদলাতে আধা ঘণ্টার স্টপেজে অপু ভাই খুব বিরক্ত। উনার বিরক্তির পারদ আস্তে আস্তে আরও বাড়তে থাকে ট্রেনের ঢিমে তেতালা গতিতে। ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ পর্যন্ত কুলিয়ারচর, বাজিতপুর, সরারচর, মানিকখালী, গচিহাটা স্টেশন। একটু গতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্লো হয়ে স্টেশনে থামে। সহযাত্রীদের কাছে টিভিতে দেখা পচা বল সাবান, বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, মুনায়েম খানের বাড়ি ইত্যাদি গল্প শুনতে শুনতে শেষ পর্যন্ত গচিহাটায় এলাম। ইঞ্জিন স্টার্ট দিলো কি দিলো না—কিশোরগঞ্জ পৌঁছে যাওয়াতে অপু ভাই খুবই রেগে বলেন, ‘দেখছ কারবার! এ মাঝখানের পথটা তো হেঁটেই আসা যেত! স্টপেজ দিল কেন?’

স্টেশন থেকে বেশ দূরে গাইটাল এলাকার হর্টিকালচার গেস্ট হাউজে উঠেছি। সন্ধ্যায় রিকশা করে কিশোরগঞ্জ ঘুরতে বের হলে রিকশাওয়ালা আমাদের পাগলা মসজিদের দিকে নিয়ে আসেন। আমাদের উপদেশ দেন, ‘কোনো কিছু মানত করে এ মসজিদের দানবাক্সে দান করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়।’ প্রতি চার থেকে পাঁচ মাস সময় পর পর দানবাক্স খুললে দুই কোটি-তিন কোটি টাকা পাওয়া যায়; এর সঙ্গে থাকে দিরহাম, ডলার, সোনার বালা, রুপার গয়না ইত্যাদি। সঙ্গে থাকে মানত করা হাঁস- মুরগি, ছাগল, পায়রা ইত্যাদি। অপু ভাই উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন, ‘ওয়াও! এত টাকা কী করে?’ রিকশাওয়ালা বেশ গর্বের সঙ্গে, ‘আমরা কিশুরগঞ্জের বেডাইত, দিলডা বড়ো।’ এই দানবাক্সের টাকা আশেপাশের মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, দুস্থ ছাত্র-ছাত্রী, ক্যানসার-কিডনি রোগী, অসহায় মানুষ, কন্যাদায়গ্রস্ত পিতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট আড়াই শ বছরের পুরানো এই মসজিদটি হয়বতনগর জমিদার বাড়ির ঈশা খার বংশধর দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিলকদর পাগলা সাহেবের নামানুসারে হয়েছে। আবার অনেকে বলেন, একজন বুজুর্গ নরসুন্দা নদীতে মাদুরের ওপর ভেসে ভেসে এসে এখানে অবস্থান নেন, নামাজ পড়তে থাকেন। আস্তে আস্তে উনাকে ঘিরে লোকসমাগম হলে হয়বতনগর জমিদার বাড়ি থেকে চালার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় এবং জমি দান করা হয়। আবার কেউ কেউ বলেন, জমিদার বাড়ির নিঃসন্তান বধু পাগলা বিবির নামানুসারে এই মসজিদের নাম হয়েছে।

অলংকরণ: মাসুক হেলাল

হর্টিকালচারের স্টাফের কাছে ইটনা যাওয়ার তথ্য তালাশ করলে উনি রেলস্টেশনের কাছাকাছি একরামপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে করিমগঞ্জের নিয়ামতপুরগামী বাসে ওঠার পরামর্শ দেন। বাসে এই পথের দূরত্ব প্রায় বিশ কিলোমিটার। আরও জানান, নিয়ামতপুর নেমে রিকশায় চামড়াবন্দর যেতে হবে আরও আট কিলোমিটার। সেখান থেকে ইটনার ট্রলার ধরলে এই মে মাসে আরও সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগবে। চামড়াবন্দর থেকে প্রতি ঘণ্টায় ইটনাগামী একটি ট্রলার ছাড়ে। ভুল করে মিঠামইন, নিকলী, খালিয়াজুড়ি, মদন, আজমিরীগঞ্জ, অষ্টগ্রামের ট্রলারে উঠলেই সর্বনাশ!

একরামপুরে মুড়ির টিন মার্কা একটি বাসে বসে সহযাত্রীদের দিকে তাকালাম। হঠাৎ হুড়মুড় করে এক দঙ্গল মানুষ উঠে বাসটিকে হাউজফুল করে দিল। এর মাঝখানে হঠাৎ করে আমার পায়ে কোন একটা কিছু তীক্ষ্ণ আঘাত করলে লাফ দিয়ে উঠতে গেলেই সামনের সিটের নিচ থেকে একটা মুরগি ভয় পেয়ে ডানা ঝাপটে চিৎকার শুরু করলো। অপু ভাইয়ের হাসি আর থামে না। গত দিনটা ছিল উনার বিরক্তির দিন; আজকে এই পর্যন্ত বেশ আনন্দেই সময় কাটছে। ‘নাকভাঙ্গা বাজার, নাকভাঙ্গা বাজার, আছেনি কেউ?’ কন্ডাক্টরের তারচিৎকার শুনে অপু ভাই মুচকি মুচকি হাসতে হাসতে জানালা দিয়ে মাথা বের করে দেখার চেষ্টা করতে থাকেন। হঠাৎ পিছনে বাসের কন্ডাক্টরের সঙ্গে এক যাত্রীর দুটি বকরির ভাড়া নিয়ে ঝগড়ায় আমিও না হেসে পারলাম না। বাসের ভিতর বকরি!

সরকারি চাকরির প্রথম পোস্টিং দুর্গম কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানকার সৌন্দর্যের সঙ্গে পথের বৈচিত্র্য এখনো শিহরিত করে।

নিয়ামতপুর থেকে রিকশায় প্রায় আট কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে চামড়াবন্দর পৌঁছেছি। পরপর দুই রিকশাওয়ালা ‘চামটাবন্দর’ বলায় আমরা অকূল পাথারে পড়ি। তৃতীয় রিকশাওয়ালা আমাদের বলেন, ‘আপনেরা কই যাইবাইন?’ ইটনার কথা শুনে বললেন, ‘হ, চামটাবন্দর যাইতে হইবো। চামটারেই কয় চামড়াবন্দর।’ মুড়ির টিনে আঁকাবাঁকা সড়ক পাড়ি দিতে গিয়ে অপু ভাইয়ের প্রশ্নবানে জর্জর হই, ‘এই সড়ক এতো জিগজ্যাগ কেন?’ উত্তরে মাথা চুলকে চুপ থাকি। ‘আরে মিয়া, সোজা রাস্তা হইলে অ্যাক্সিডেন্ট হবার চান্স বেশি। দেখোনা খালি রিকশা চলে’, অপু ভাইয়ের এই ব্যাখ্যায় মনে মনে বলি, আসলে কি তা–ই? মাঝখানে নরসুন্দার একটি শাখা নদীর ওপর লড়ঝড়ে ব্রিজের একপাশে আমাদের বাস বেশ কিছুক্ষণ থামায় রেশনিং পদ্ধতিতে অপর দিকের একটি বাস এই দিকে আসার পর আমাদের পালা। ব্রিজের কাঁপুনি আমাদের মনেও কাঁপুনি সৃষ্টি করে। মাঝখানে জঙ্গলবাড়ি বাসস্ট্যান্ডের নামটা শুনে মনের মধ্যে কি যেন উঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছে!

অলংকরণ: মাসুক হেলাল

ইটনা বন্দরে নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে কার্ড ফাইনাল আইটেমের মতো আবার প্রশ্ন শুরু করেন অপু ভাই। বুঝতে পারলাম, নদীর আশেপাশের ইটভাটা এবং শ্রমিকদের হল্লা আর তৈলাক্ত কালো পানি দেখে উনি যতই বিরক্ত হন, ভালোমতো হোমওয়ার্ক করেই ইটনা রওনা দিয়েছেন। ‘জানো, এই নদীর নাম্বার কত?’ অপু ভাইয়ের কথা শুনে আবার আকাশ থেকে পড়ি। বলি, ‘ভাই, নদীর আবার নাম্বার আছে নাকি? আর এই নদীটির নাম কি?’ ‘এটা ধনু নদী। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিচিতি নাম্বার উত্তর পূর্বাঞ্চলের নদী নাম্বার ৩৮’ মুচকি হেসে উত্তর জানালেন।

ট্রলারে উঠেই অপু ভাই সঙ্গের লম্বা পাতলা ব্যাগটা থেকে লাইফ জ্যাকেট বের করে পরতে পরতে আমাকেও ইশারা করলেন, আমারটা পরার জন্য। ইটনার হাওড় পাড়ি দিতে হবে, এ জন্য লাইফ জ্যাকেট মাস্ট! এটা হাওড়ে চাকরি করে যাওয়া অভিজ্ঞদের ভাষ্য! অপু ভাই এপয়েন্টমেন্ট লেটার পাওয়ার পর বসে থাকেন নি। উনি ইটনা–মিঠামইনে চাকরি করেছেন, এমন কয়জন সিনিয়রকে খুঁজে বের করে তাঁদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। আমাকে ফোনে জানিয়ে দিয়েছেন, অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট কিনতে। আমরা নিয়মিত আমাদের গ্রামে নৌকা চড়ায় অভ্যস্ত হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে গা করিনি। কিন্তু, কিশোরগঞ্জ রওনা হবার আগের দিন আজিমপুর লেডিস ক্লাব শিশু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সাবিহা বেগম গুলিস্তান থেকে কমলা রঙের লাইফ জ্যাকেট নিয়ে আমাদের বাসায় হাজির। সাবিহা খালা আম্মার কলিগ এবং আমার ও ইমনের ছোটবেলার প্রথম শিক্ষাগুরু। বাংলা ও ইংরেজিতে ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে ডাবল এমএ করা সাবিহা খালা আমাদের জন্য অন্তঃপ্রাণ। আমরা এমবিবিএস আর এমএ পাস করার পরও প্রায়ই আম্মার ব্যাগে চকলেট, বিস্কিট, আইসক্রিম দিয়ে দেন। ঈদ-পরবে আমাদের শার্ট, পাঞ্জাবি উপহার দেন।

ট্রলারে উঠে অপু ভাইয়ের টেপ রেকর্ডার একেবারে বন্ধ! এ গরমে এতো ভারী একটা বস্তু পরে থাকায় খুব সহজেই ট্রলারের অন্য যাত্রীদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু অপু ভাই। এক মুরুব্বি আঙ্গুল দিয়ে গুঁতিয়ে গুঁতিয়ে উনার লাইফ জ্যাকেট পরীক্ষা করতে করতে জানতে চাইলেন, ‘এইডা কিতা?’ আমি মজা করে জানালাম উনার হাঁপানির টান আছে, নদীর বাতাস থেকে বাঁচার জন্য এটা একটা ড্রেস! অপু ভাইয়ের দুর্গতি দেখে আমার লাইফ জ্যাকেটের প্যাকেট পিঠের নিচে রেখে আমি এক কোনায় বসে রইলাম।

ট্রলারে জয়সিদ্ধি হাইস্কুলের এক শিক্ষক একদৃষ্টিতে আমাদের অবজার্ভ করছেন। কথায় কথায় উনি জানালেন, কীর্তিনাশা পদ্মা আর কুলবিনাশী যমুনা নদীর মতো ধনু নদীর কোন বদনাম নাই। এটাই বাংলাদেশের একমাত্র নদী, যেটা উৎসস্থল থেকে সারা বছর নাব্য থাকে। নব্বই কিলোমিটার ধনু নদীর উৎস বাউলাই নদী আর মোহনা ঘোড়াউত্রা নদী। ময়মনসিংহ গীতিকার মহুয়া, মলুয়া, দেওয়ান মদিনার লীলাভূমি এই ধনু নদী। ঘোড়াউত্রা নদীটি কুলিয়ারচরে মেঘনায় পড়েছে। জয়সিদ্ধি স্কুলের মাস্টারসাহেবকে জঙ্গলবাড়ি নামটা কেমন চেনা চেনা মনে হচ্ছিল জানানোয় তিনি জানান, ‘আপনারা যেটা অনুমান করেছেন, এটা সেই ঈশা খাঁর জঙ্গলবাড়িই।’ তিনি আরও জানান, কিশোরগঞ্জ থেকে করিমগঞ্জে আসার পথে কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের নরসুন্দা নদীর পারে জঙ্গলবাড়ি গ্রামের দুর্গটি ছিলো মসনদ-ঈ-আলা বীর ঈশা খাঁর দ্বিতীয় রাজধানীর একটি স্থাপনা। সুলতানি বাংলার ভাটি অঞ্চলের সরাইলের জমিদার (ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ) বারভূঁইয়ার অন্যতম ঈশা খাঁ, কোচরাজা লক্ষণহাজরাকে পরাজিত করে এই দুর্গ দখল করেন। এখান থেকে একে একে সোনারগাঁওসহ ২২টি পরগনা দখল করেন। ১৫৯৭ সালে পাকুন্দিয়ার এগারসিন্দুরে মোগল সম্রাট আকবরের সেনাপতি মানসিংহকে পরাজিত করেন।

একটানা পৌঁনে চার ঘণ্টা ট্রলারের ভটভট শব্দ, ভেতরের ইঞ্জিনের ধোঁয়া আর বাইরের জৈষ্ঠ্য মাসের কড়া রোদে আমার মাথাব্যথা শুরু হয়ে গেছে। একটানা প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা নৌপথের দুলুনীতে বাক্‌রুদ্ধ অপু ভাই মাঝিভাইয়ের ‘ওই যে হইলদা দালানগুলা ইটনা হাসপাতাল’ শুনে নড়েচড়ে ওঠেন।

  • লেখক: আসফাক বীন রহমান, সহযোগী অধ্যাপক, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, গাজীপুর