প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবসে আলোচনা সভা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকালে বনানীর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি সম্মেলনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইফ্ফাত জাহান। উপ-উপাচার্য শুভময় দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধের উপস্থাপক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মোফাজ্জল মাওলা। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন মানবিক বিভাগের চেয়ারপারসন নাসরীন আকতার।
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণা করে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে গিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মোফাজ্জল মাওলা বলেন, ‘তখন আমি সমাজবিজ্ঞানের ছাত্র। বঙ্গবন্ধু–পুত্র শেখ কামাল ছিলেন আমার সহপাঠী। ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট আমরা একসঙ্গে ভাইভা দিয়েছি। পরদিন ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু সেদিনই স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমি হারিয়েছি আমার বন্ধু শেখ কামালকে। দেশ হারিয়েছে এক অবিসংবাদিত নেতাকে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ইফ্ফাত জাহান বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ডাকে আজ স্বাধীন একটি ভূখণ্ড পেয়েছে বাংলাদেশের মানুষ। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণের পর যখন দেশকে সমৃদ্ধিশালী করার কাজ শুরু করলেন, তখনই দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র থামিয়ে দেয় ইতিহাসের মহানায়ককে। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে রচনা করে ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কময় দিন। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া আদর্শ সমুন্নত রাখতে তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা যেভাবে দেশ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, আমাদের সকলের উচিত এই এগিয়ে যাওয়ার পথে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা।’
সভাপতির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য শুভময় দত্ত বলেন, ১৫ আগস্ট নৃশংস হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেও রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করা যায়নি জাতির পিতাকে। বঙ্গবন্ধুর রক্তকণা থেকে মানুষের হৃদয়ে লক্ষ মুজিব জীবন্ত হয়েছে।
আলোচনা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণকারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের আপনজনদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন বনানী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ।
অনুষ্ঠানের শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর আয়োজিত রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।