ভোলা কলেজে পরিবহনসংকট নিরসন চাই
দ্বীপজেলা ভোলা। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও বিস্তারের লক্ষ্যে ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ভোলা সরকারি কলেজ। বর্তমানে এ বিদ্যাপীঠের আয়তন ১৫.৬০ একর।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির নিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ হাজার ৩২৪। ১৯৯৭ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয় ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পড়াশোনার মান বেড়েছে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। দক্ষিণবঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে শিক্ষার বিস্তার ছড়িয়ে। শিক্ষার মান প্রসারে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পাশাপাশি বর্তমানে ১৬টি বিষয়ে অনার্স, ১৩টিতে মাস্টার্স, ৪টিতে প্রিলিমিনারি মাস্টার্স ও বিভিন্ন প্রাইভেট কোর্স চালু আছে।
ভোলা জেলার সাতটি উপজেলার শিক্ষার্থীদের প্রাণের ও স্বপ্নের বিদ্যাপীঠ ভোলা সরকারি কলেজ। ঐতিহ্যবাহী এ কলেজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল চোখে পড়ার মতো। শিক্ষার্থীদের বৃহৎ একটি অংশ এইচএসসি শেষ করে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর নিজেদের মেধা এবং যোগ্যতা দিয়ে আসন দখল করে নেয়। এ ছাড়া প্রতিবছর দুই–চারজন অনার্স-মাস্টার্সপড়ুয়া শিক্ষার্থী বিসিএস ক্যাডার হয় আধুনিক এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে। শুধু পড়াশোনাই নয়, এর পাশাপাশি কলেজ ক্যাম্পাস ও দ্বীপজেলায় সাংস্কৃতিক চর্চায় অন্যতম ভূমিকা পালন করেন এ কলেজের শিক্ষার্থীরা।
৬ হাজার ৩২৪ শিক্ষার্থী, যাঁদের অধিকাংশের বাড়ি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে দূরে। শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য মাত্র তিনটি হোস্টেল রয়েছে। এর মধ্যে একটি নারী হোস্টেল এখনো প্রক্রিয়াধীন। দূরদূরান্ত থেকে আসার ফলে অনেক শিক্ষার্থী মেসে বা হোস্টেলে থাকেন। আবার অনেকে নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী নিয়মিত যাওয়া–আসা করে পড়াশোনা করেন।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য কলেজের নিজস্ব কোনো পরিবহনসেবা নেই। বাধ্য হয়ে গণপরিবহনে যাতায়াত করতে হয় শিক্ষার্থীদের। ফলে হরহামেশাই ভাড়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে ঝামেলার শিকার হন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। এবং মাঝেমধ্যে নারী শিক্ষার্থীদের বাসচালকের সহকারী ও কন্ডাক্টরের দ্বারা যৌন হয়রানির মতো অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার হতে হয়।
দ্বীপজেলার এ প্রাচীনতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের অন্যতম চাওয়া, শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য কর্তৃপক্ষ যেন বাসের ব্যবস্থা করে দেয়। এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তাঁরা।
*লেখক: মো. সায়েদ আফ্রিদী, সাবেক শিক্ষার্থী, ভোলা সরকারি কলেজ