গল্পে গল্পে ইন্টারনেট শিক্ষা

ইন্টারনেট বর্তমান সময়ে জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আজ এই সময়ে বাংলাদেশের সব শ্রেণি–পেশার মানুষের জন্য ইন্টারনেট জরুরি। সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিমা, ইউনিয়ন পরিষদ, ভূমি অফিস, স্কুল–কলেজসহ সব প্রতিষ্ঠানেই এটা জরুরি। খেটে খাওয়া মানুষ থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের শ্রেণি–পেশার মানুষের জন্য দরকারি। ইন্টারনেটের আদলে আজ বাংলাদেশ এত এগিয়ে।

কিন্তু আমরা অনেকেই জানি, ইন্টারনেট জিনিসটা কি? অনেকেই ধারণা করেন, ইন্টারনেটের মনে হয় বিশেষ কোনো সার্ভার আছে, যেটা হয়তো দেশের বাইরে অবস্থিত। সেখান থেকে আমরা ইন্টারনেট পাই। এ রকম আরও কিছু প্রশ্ন নিয়ে আজকের এই আলোচনা।

ইন্টারনেট শব্দের অর্থ অন্তর্জাল। এটা আসলে অনেকটা জালের মতোই, যার বিস্তৃতি পৃথিবীজুড়ে। ইন্টারনেট হলো পৃথিবীজুড়ে বিস্তৃত অনেকগুলো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমষ্টি, যার মাধ্যমে আমরা তথ্য আদান–প্রদান করতে পারি এবং যেটা সবার জন্য উন্মুক্ত। আর এ তথ্য আদান–প্রদানের কাজটি হয় পৃথিবীব্যাপী নেটওয়ার্কিংয়ের দ্বারা এবং আইপি অ্যাড্রেস ও ইন্টারনেট প্রটোকলের সহায়তায়।

আরও একটু সহজ করে যদি বলতে চাই, তাহলে বলতে হয়, আমরা সাধারণ ব্যবহারকারী হিসেবে কী ব্যবহার করি দৈনন্দিন? হয়তো ফেসবুক নয়তো ইউটিউব অথবা হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি। ধরুন, আপনি ফেসবুক ব্যবহার করছেন যেটার সার্ভার আমেরিকায়। আপনি একটা পোস্ট দিবেন, যেখানে দুটি ছবি আপলোড দিবেন। আর আপনি কম্পিউটার দিয়ে কাজটা সম্পন্ন করবেন। আপনি যখন আপলোড দিলেন, তার মানে তথ্য সার্ভারকে প্রদান করলেন, আবার সেই পোস্টটিই আপনি যখন দেখবেন, তখন সার্ভার থেকে গ্রহণ করলেন। যে কম্পিউটার দিয়ে কাজটি করলেন, সেটা নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে ফেসবুকের সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত। তথ্য আদান–প্রদান সম্ভব হলো আইপি ও ইন্টারনেট প্রটোকলের দ্বারা। এভাবে আমরা যত কিছুই ব্যবহার করছি, বেসিক এই ধারণার ওপরে নির্ভর করেই।

বিভিন্ন সার্ভিস আমরা বিভিন্ন সার্ভার থেকে গ্রহণ করছি; যে সার্ভারগুলো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থিত। সুতরাং ইন্টারনেটের কোনো নির্দিষ্ট সার্ভার নেই। বাংলাদেশ সমুদ্রের নিচের সাবমেরিন কেব্‌ল দ্বারা পৃথিবীর এই বিশাল নেটওয়ার্ক জালের সঙ্গে সংযুক্ত। আর আমাদের বাসাবাড়ির সংযোগটি দিচ্ছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার। এটিই হলো ইন্টারনেট।

*লেখক: মো. আক্তারুজমান জাসেব, শিক্ষার্থী, শৈলকুপা, ঝিনাইদহ।