কক্সবাজার সৈকত থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণ করলেন স্বেচ্ছাসেবীরা

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে গত শুক্রবার বর্জ্য অপসারণ করেন স্বেচ্ছাসেবীরা
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে প্লাস্টিকের বর্জ্য অপসারণ করেছেন পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখার কাজে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকেরা। গত শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) পৃথিবীর অন্যতম বড় সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে কোকো-কোলা বাংলাদেশ ও ওশান কনজারভেন্সি নামের একটি আন্তর্জাতিক পরিবেশবিষয়ক সংগঠনের বাংলাদেশ অঞ্চলের সমন্বয় ‘কেওক্রাডাং বাংলাদেশ’ যৌথভাবে এ বর্জ্য অপসারণ কর্মসূচির আয়োজন করে।

কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৫০ জনের বেশি স্বেচ্ছাসেবী প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণের কাজে অংশ নেন। সৈকত থেকে তাঁরা সামুদ্রিক বর্জ্য অপসারণ করেন। এসব বর্জ্যের মধ্যে প্রধান ছিল খাবারের মোড়ক, প্লাস্টিকের তৈরি পানীয়ের বোতল, বোতলের ঢাকনা, প্লাস্টিকের ব্যাগ, তৈজসপত্র, এর ঢাকনা ইত্যাদি।

প্লাস্টিক দূষণের বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং উপকূলীয় এলাকা রক্ষা করার জন্য মিলিতভাবে কাজ করছে কোকো-কোলা বাংলাদেশ এবং ওশান কনজারভেন্সির বাংলাদেশ অঞ্চলের সমন্বয়ক কেওক্রাডাং বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে গত ২০১১ সাল থেকে প্রতিবছর স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে কক্সবাজারের লাবণী পয়েন্টের সমুদ্রসৈকত পরিষ্কার করার কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত সাড়ে ৫ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী প্রায় ১৫ হাজার কিলোগ্রামের বেশি সামুদ্রিক বর্জ্য অপসারণ করেছেন।

কেওক্রাডাং বাংলাদেশের সমন্বয়ক মুনতাসির মামুন বলেন, ‘কক্সবাজার পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত। এটি আমাদের মূল্যবান জাতীয় সম্পদ। কিন্তু আবর্জনা এই সুন্দর সৈকতের হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের জন্য আমাদের সবার একত্রে কাজ করতে হবে।’ প্রেস বিজ্ঞপ্তি