আদার ব্যাপারী জাহাজের খোঁজে...
মরলে শরীর–মন সব মাটি খেয়ে ফেলে। তাহলে এত সাজগোজ, ফ্যাশন, ক্ষমতা দেখানোর দৌড়ঝাঁপের কারণ কী? এত লাফ ঝাঁপ করেই–বা প্রতিষ্ঠা পাওয়ার দরকার কী?
মানুষ তো মরেই বেঁচে থাকে তার কর্মে, কখনো চেহারায় নয়। ভুল পথ, ভুল সিদ্ধান্তে পৃথিবীর ক্ষুদ্র পরিসরে নিজেকে আচ্ছন্ন করে কী লাভ?
সেই একাই তো যেতে হবে, আসার মতো। আভিজাত্যের খোলসে হারিয়ে যাচ্ছে মৃত্যুর স্বাদ নেওয়ার অমৃত লোকের প্রস্থানের সত্য বাণী।
অমর নই; তবুও ভাবখানা এমন পৃথিবী মরবে কিন্তু নিজেরা কখনোই মরব না। প্রতিদিন কোনো না কোনো মানুষের জানাজা, মৃত্যু, কবর কিংবা চিতায় জ্বলতে দেখি। ফেসবুকে প্রতিদিন গড়ে লিখি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। অথচ তার থেকেও শিক্ষা হয় না, আসছে এবার নিজের পালা।
কী অদ্ভুত পৃথিবীর দৌড়ে, মানুষকে দেখাতে নানা ছলচাতুরী অঙ্গভঙ্গিমায় মানুষ মানুষকে আকর্ষণ করতে মরিয়া।
ভালো থাকা ও ভালো রাখার জন্য কতই না লোভনীয় বিজ্ঞাপন কোডিং করি প্রতিনিয়ত। অথচ সবকিছুই ছেড়ে চলে যেতে হবে। নিশ্বাসের কোনো বিশ্বাস নেই জেনেও মরিয়া আমরা ভালো থাকার ফর্দ তৈরি করতে। নবাব সিরাজউদ্দৌলার দশার মতো পলাশীতে বেইমানি করার মীর জাফররা সদা বিরাজমান এ ভবে।
সুস্থতায়, কর্মে আর আধ্যাত্মিকতায় যেটুকু বরাদ্দ কপালে, তাই নিয়েই ভালো থাকার চেষ্টা করা উচিত। আসুন ভালোবাসা ছড়াই।