প্রথম আলোতে গল্প-আড্ডায় একটি দুপুর
তখন দুপুর ১২টা। মাত্র মেট্রোরেল থেকে নেমে ১০০ গজ দূরে দাঁড়িয়ে আছি। হালকা বাতাসে ভেসে আসছে আম, কাঁঠাল, তরমুজ আর আনারসের ঘ্রাণ। ইট–পাথরের শহরে মনে হচ্ছিল, ২০ কারওয়ান বাজার এক টুকরা ফলের রাজ্য। বাহারি ফলের দোকানগুলোর পাশেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে দেশের অন্যতম বড় গণমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো। কালো অক্ষরগুলোর মাঝখানে সূর্যরাঙা বৃত্তটি জানান দিচ্ছে সব অশুভ কালো অন্ধকারের পেছনেও সকালের সূর্যের মতো পাহারা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। দেশের মানুষ শত ভয়াল পরিস্থিতিতে ঘুমিয়ে থাকলেও নৈশ প্রহরী তারা। যেন ঘুমন্ত সন্তান কোলে নিয়ে মায়ের বিনিদ্র রাতযাপন।
এমন সব কল্পনার মধ্যে পকেটে মুঠোফোন বেজে উঠল। সংবিৎ ফিরে পেলাম। তাকিয়ে দেখি সহপাঠীর কল। নাম বন্ধু কামাল পাশা। ফোন ধরতেই ওই পাশ থেকে ভেসে এল, আপনি কোথায়? বললাম, ফলের রাজ্যে মৃদুমন্দ বাতাসে দোল খাচ্ছি। তিনি বললেন, ‘দুষ্টুমি কইরেন না। বলেন কোথায়?’ বললাম, কারওয়ান বাজারের ভেতরের গলিতে প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবনের নিচতলায় বসে আছি। প্রশ্ন করলেন, আর কে কে আছেন পাশে? বললাম, আমিসহ অনেকেই। আসেন দ্রুত। এই বলে রেখে দিলাম। বলে রাখি। আমি আবদুল হাকিম (মাহি), দেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম, মিডিয়া ও কমিউনিকেশন বিভাগে মাস্টার্সে পড়ি। চলছে শেষ সেমিস্টারের পড়াশোনা। সেই সুবাদে অ্যাসাইনমেন্টের অংশ হিসেবে গত ১৮ মে (শনিবার) দুপুরে দৈনিক প্রথম আলো অফিস পরিদর্শনে গিয়েছিলাম।
এরই মধ্যে হাজির হয়েছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আমাদের সহপাঠী মো. জুয়েল ইসলাম। তিনি হাসপাতালে ডাক্তারের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভিজিটে অংশ নিতে এসেছেন। ডাক্তারের চোখ ফাঁকি মানে এর আগের দিনই তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ডাক্তার বলেছেন, একদম বেডরেস্টে থাকার জন্য। তাঁর বাইরে বের হওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু কে শোনে কার কথা, ডাক্তার, নার্স ও প্রহরীর চোখ ফাঁকি দিয়েই চলে এসেছেন। যদিও তাঁকে আমাদের মধ্যে ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়েছিলাম। স্যাররাও মুখে হাসি নিয়ে তাঁকে সতর্ক করেছিলেন।
একে একে সবাই হাজির। আমরা যাঁরা সবার আগে এসেছি, ভবনের রিসেপশনে এন্ট্রি করে বসে আছি। এবার প্রথম আলো অফিসে যাওয়ার পালা। নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে আগেই আমাদের নামের তালিকা দেওয়া ছিল। তাঁরা আমাদের চেক করে ভেতরে প্রবেশ করতে দিলেন। লিফটে ১০ নম্বর ফ্লোরে। সেখানে সম্মেলনকক্ষ। আমরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড পরে প্রবেশ করলাম। ভেতরে চোখ রাখতেই দেখলাম একটি বৃহৎ সম্মেলনকক্ষ। খুব সুন্দর ও নিখুঁতভাবে সাজানো। এর আগে মিডিয়াগুলোয় এত বড় ও সুন্দর সম্মেলনকক্ষ দেখিনি। সবাই ছবি-সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। আমাদের ক্লাসমেট কামাল পাশা ও জুয়েল ভাইকে দেখলাম সেই শৈশবে ফিরে গেলেন তাঁরা। খুনসুটিতে ব্যস্ত ঋতুপর্ণা চাকী, বিপ্লব শেখ, ইসমাইল হোসেন, মাসুম বিল্লাহ আজাদীসহ সবাই। বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে ছবি তুলছেন। ক্যামেরাম্যানের দায়িত্ব দিয়েছেন আমাকে। যখনই আমার ছবি তুলতে বলেছি তাঁদের, তাঁরা এমনভাবে ছবিগুলো দুষ্টুমি করে নিয়েছেন, মনে হচ্ছে গাধা দিবসের গাধার মতোই আমার ছবিগুলো।
সম্মেলনকক্ষে শিক্ষকেরা হাজির। সবাই যেন শান্তশিষ্ট হয়ে গেলাম। যাঁর যাঁর সিটে বসে মনোযোগী ছাত্রদের মতো ডিজিটাল বোর্ডের দিকে চোখ। প্রথম আলোর চিফ ডিজিটাল বিজনেস অফিসার জাবেদ সুলতান পিয়াস প্রথমেই আমাদের প্রথম আলোর সঙ্গে পরিচয় পর্বের দায়িত্ব নিলেন, সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আমাদের বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জামিল খান। তিনি মূলত পরিদর্শনে মেন্টর হিসেবে ছিলেন। প্রথম আলোর আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন জাবেদ সুলতান। তিনি পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে মিডিয়া হাউসটির গত ২৫ বছরের পথচলার গল্প বললেন। কখনো সফলতার গল্পে বিভোর করেছেন আমাদের, আবার করোনা মহামারির সময় অফিসের সংকট মুহূর্তের দৃশ্যগুলোও ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন প্রজেক্টরের পাতায় পাতায়। তখনো দেশের মানুষের কথা বিন্দুমাত্র ভুলে যায়নি প্রথম আলো। সময়মতো বেতন-ভাতা ও পুরস্কার দিয়েছে কর্মীদের। দেশ ও বিদেশের মাটিতে এক হাজার কর্মী নিয়ে অদম্য গতিতে ছুটে চলেছে তারা।
প্রথম আলোর আত্মপ্রকাশ ১৯৯৮ সালের ৪ নভেম্বর। বস্তুনিষ্ঠ, স্বাধীন ও দলনিরপেক্ষ একটি দৈনিক পত্রিকা হিসেবে এমন একসময়ে এর যাত্রা শুরু, যখন ১৯৯০ সালে সামরিক স্বৈরতন্ত্র উচ্ছেদের এক দশকও পার হয়নি এবং বাংলাদেশ নতুন করে তার গণতন্ত্রের পথ রচনার চেষ্টা করছে। পত্রিকার পাশাপাশি শুরু থেকেই ডিজিটাল পরিসরে প্রথম আলো সংবাদ প্রচার করতে শুরু করে। ২০০৯ সালের ১৭ মে এর ওয়েব পোর্টালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। এর আগে একই বছরের ৫ এপ্রিল চালু হয় প্রথম আলোর ই-পেপার।
পত্রিকা প্রকাশের সূচনা থেকেই শ্রেণি, বয়স, লিঙ্গ, সম্প্রদায় ও মত–বিশ্বাসনির্বিশেষে সবার তথ্য ও মতামতের চাহিদার প্রতি প্রথম আলো সজাগ থেকেছে। এর সম্পাদকীয় নীতির কেন্দ্রে রয়েছে উদার ও বহুবাচনিক গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি অবিচল দায়বদ্ধতা। নারী, শিশু, ধর্মীয় সম্প্রদায় বা ক্ষুদ্র জাতিসত্তার আত্মমর্যাদা ও অধিকারে প্রথম আলো বিশ্বাসী। এর সাংবাদিকতার লক্ষ্য আপামর মানুষের সৃষ্টিশীল উদ্যোগের সহযোগিতা এবং ভবিষৎমুখী মঙ্গল ও উন্নয়ন।
সম্পাদক মতিউর রহমানের নেতৃত্বে একদল সৃষ্টিশীল সাংবাদিক প্রথম আলো প্রতিষ্ঠা করেন এবং দ্রুত পত্রিকা, ওয়েবসাইটসহ একে দেশের শীর্ষ গণমাধ্যম ও প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলেন। প্রচারসংখ্যা, প্রভাব ও মর্যাদায় প্রথম আলো বাংলাদেশের গণমাধ্যমের বিভিন্ন মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
মিডিয়ার দায়িত্বশীলতার ঊর্ধে উঠে দেশের মানুষের সেবায় শত ধাপ এগিয়ে রয়েছে সর্বজনপ্রিয় প্রথম আলো। মানবিক সহযোগিতামূলক কর্মসূচি পরিচালনার জন্য প্রথম আলো প্রতিষ্ঠা করেছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। একটি স্বতন্ত্র ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে এটি পরিচালিত হয়। এই ট্রাস্টের মাধ্যমে অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষ সহযোগিতা পেয়ে থাকেন। দুর্গম লোকালয়ে বিনা টাকায় স্যানিটেশন, বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসেবা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এই ট্রাস্ট থেকে গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীরাও পান শিক্ষা ভাতা। কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে— অ্যাসিড সহিংসতা প্রতিরোধ ও আক্রান্ত নারীদের পুনর্বাসন, আর্থিকভাবে প্রান্তিক মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা, মাদকবিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধি প্রচারণা, ত্রাণ তহবিল (প্রাকৃতিক ও অন্যান্য দুর্যোগকালে সহায়তা), আলোর পাঠশালা (রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, ভোলা, কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় সাতটি স্কুল)। নরসিংদীতে সাদত স্মৃতি পল্লী (শিশু বিকাশ ও বয়স্ক সেবাকেন্দ্র) নির্মাণ।
প্রথম আলোর পাঠকদের সংগঠন বন্ধুসভার তরুণ ও উদ্যমী স্বেচ্ছাসেবী সদস্যরা দেশ পেরিয়ে বিদেশেও বিস্তৃত। দেশে ও বিদেশে মোট সক্রিয় বন্ধুসভার সংখ্যা ১৩২ এবং বন্ধুর সংখ্যা এক লাখের বেশি। তাঁরা সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও দুর্যোগে অসহায় মানুষের মধ্যে সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন।
‘পূর্ণ সত্য উদ্ঘাটন ও পরিবেশনে আমরা সংকল্পবদ্ধ ও আপসহীন’ মূলমন্ত্রে প্রথম আলো আজ সবার শীর্ষে। অধিকারের সমতায় বিশ্বাসী প্রতিষ্ঠানটি নারীর, তথা সব লিঙ্গের সমান অধিকার ও সমতায় দৃঢ়বিশ্বাসী। সাংবাদিকতা ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডে তারা এ অবস্থানের প্রতিফলন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুত বলেই সবাই জানেন। ধর্ম-বর্ণ-গোত্রনির্বিশেষে সবাই সমান প্রথম আলোর সমতার নীতিমালায়। যে ধরনের সাংগঠনিক ক্রিয়াকলাপ তাদের পেশাগত কাজকে বিঘ্নিত কিংবা পাঠকদের চোখে তাদের পেশাদারি পক্ষপাতহীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে, সেসবের সঙ্গে এই মিডিয়ার কেউ নিজেদের জড়ান না বলে জানিয়েছেন প্রথম আলোর কর্মীরা। কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির অর্থনৈতিক উৎস নিয়ে। তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞাপন, সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউব (চরকি) ও প্রকাশনাই আমাদের অর্থ আয়ের প্রধান উৎস।’
আমরা জানতে পারি, ছাপা পত্রিকা, ওয়েব পোর্টাল, দুটি মাসিক ম্যাগাজিন (কিশোর আলো ও বিজ্ঞানচিন্তা), নিয়মিত ম্যাগাজিন বর্ণিল, ঈদসংখ্যার মতো বিশেষ ম্যাগাজিন, প্রথমা প্রকাশন, বছরব্যাপী গোলটেবিল আলোচনা, ইভেন্টস (শিক্ষা, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কার্যক্রমগুলো), প্রথম আলো ট্রাস্ট, প্রথম আলো বন্ধুসভা ইত্যাদি উদ্যোগ মিলে এক হাজারের বেশি কর্মী নিয়ে প্রথম আলো দেশের বৃহত্তম মিডিয়া প্রতিষ্ঠান। প্রথম আলো দেশের খ্যাতনামা শিল্পগোষ্ঠী ট্রান্সকম গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মিডিয়াস্টার লিমিটেডের মালিকানাভুক্ত। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বগুড়া—এই তিন জায়গা থেকে প্রতিদিন প্রথম আলোর ১০টি সংস্করণ মুদ্রিত হয়। বিচিত্র সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক কার্যক্রমের উদ্যোক্তা হিসেবে বলা হয়ে থাকে, ‘প্রথম আলো পত্রিকার চেয়ে একটু বেশি’।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সমীক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্যান্টার এমআরবি পরিচালিত জাতীয় গণমাধ্যম জরিপ ২০২১ অনুসারে, প্রতিদিন ৫০ লাখের বেশি মানুষ প্রথম আলোর ছাপা পত্রিকা পড়ে থাকেন। এই জরিপে দেখা গেছে, প্রথম আলোই বাংলাদেশে সর্বোচ্চ পঠিত পত্রিকা।
পাঠকসংখ্যা ও পেজ ভিউয়ের হিসাবেও প্রথম আলো পোর্টাল বিশ্বে বাংলা ভাষার ১ নম্বর ওয়েবসাইট। প্রতি মাসে এর ভিজিটর প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ এবং মাসিক পেজ ভিউ প্রায় ২২ কোটি। দুই কোটির বেশি অনুসারী নিয়ে প্রথম আলোর ফেসবুক পেজ এখন বাংলাদেশে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পেজের মধ্যে সবার শীর্ষে।
তরুণদের মাসিকপত্র কিশোর আলোর প্রকাশনা শুরু হয় ২০১৩ সালে। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই হয়ে ওঠে দেশের শীর্ষ কিশোর পত্রিকা। এরপর ২০১৬ সালে বিজ্ঞানচিন্তার প্রকাশনা শুরু হয়। সারা বছর সাতটি বর্ণিল ম্যাগাজিন ছাপা হয়—বর্ণিল বৈশাখ, বর্ণিল ঈদ, বর্ণিল খাবারদাবার, বর্ণিল ভালো থাকুন, বর্ণিল বেড়ানো, বর্ণিল বসত ও বর্ণিল বিয়ে। এ ছাড়া ছাপা হচ্ছে বেসরকারি সংস্থার কার্যক্রম নিয়ে ম্যাগাজিন উন্নয়নসঙ্গী। আর প্রতিবছর পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় ঈদসংখ্যা প্রকাশিত হয়।
এভাবেই গল্পে গল্পে শেষ হয় প্রথম আলো পরিচিতি পর্ব। তারপর চলে প্রশ্নোত্তর পর্ব। এই পর্বে প্রতিষ্ঠানটির না–বলা কথাও চলে আসে পাঠকমহলে। যোগ দেন ড. মো. জামিল খান। তিনিও কর্মজীবনের শুরুতে দেশবরেণ্য গণমাধ্যমটির ডিজিটাল সংযোজনের অন্যতম একজন পথিকৃৎ হিসেবে কাজ করেন। তাঁর হাত ধরেই প্রতিষ্ঠানটিতে মোজো জার্নালিজম পরিপূর্ণতা পায়। তিনিও প্রথম আলোতে কাজ করে নিজের অভিজ্ঞতার ঋণ কৃতজ্ঞতায় সিক্ত করতে চেয়েছেন বারবার। এরপর পুরো মিডিয়া হাউসটি ঘুরে ঘুরে দেখার পালা শিক্ষার্থীদের।
আমরা প্রথম আলো অফিস দেখতে বের হলাম। সেখানেও শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন করে জানলেন একটি সংবাদের আদ্যোপান্ত। শিক্ষার্থীদের অভিবাদন জানান প্রথম আলো অনলাইনের প্রধান শওকত হোসেন মাসুম। তিনিও সংবাদ ও সাংবাদিকতার পাঠ দিলেন শিক্ষার্থীদের। এবার বিদায়ের পালা। সবার চোখেই উচ্ছ্বাস-আনন্দ। দেশের শীর্ষ মিডিয়া পরিদর্শন। যেখানে বোনা হয় হাজারো স্বপ্ন। গাওয়া হয় অব্যক্ত গান। যার হুংকারে কাঁপে অপরাধীর সিংহাসন। মনের কোণে, স্মৃতির পাতায় অসংখ্য অভিজ্ঞার পাঠ নিয়ে বিদায় নিলেন দেশের আরেক স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। এই বিদায় যেন সফলতার পথে একেকটি গল্প।