নাচোল কলেজের সুবর্ণজয়ন্তীতে স্মরণ, সম্মাননা
মাঠ ভরা লাল আর হলুদ রং। বসন্তের আগেই যেন এসে গেছে বসন্ত। লাল, হলুদ পোশাকে সেজে এসেছেন সবাই। এক যুগ, দুই যুগ, তিন যুগ বা আরও বেশি দিন পর প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে দেখা তাঁদের। একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। ‘বন্ধু কী খবর বল’ বলে ডেকে ওঠেন।
মাথাভরা সাদা চুল আর লাঠি হাতে এসেছেন অনেকে। তাঁদের কেউ একসময় এই কলেজে পড়েছেন। কেউবা শিক্ষকতা করেছেন। কেউবা যুক্ত ছিলেন প্রতিষ্ঠার সঙ্গে। এত বছর পর প্রিয় প্রাঙ্গণে এসে মেতেছেন তারুণ্যের উৎসবে।
গত শুক্র ও শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার ‘নাচোল সরকারি কলেজ’ মাঠে বসেছিল এমন মিলনমেলা। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত কলেজটির সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদ্যাপিত হলো এই দুই দিন।
৫০ বছর আগে যাঁদের হাত ধরে নাচোলের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়, উৎসবে তাঁদের স্মরণ করা হয়। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ প্রয়াত ম আ মালেক চৌধুরীর (মিটু চৌধুরী) অবদান স্মরণ করেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও আয়োজকেরা। কলেজ প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদান স্মরণ করে প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষকে সম্মাননা দেওয়া হয়। তাঁর পরিবার সেই সম্মাননা গ্রহণ করেন। প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যুক্ত গুণীজন ও কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য যাঁরা জমি দান করেছেন, তাঁদের ও তাঁদের পরিবারকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
দিনভর আয়োজিত উৎসবে পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণা করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা থেকে ছিল সংগীতানুষ্ঠান। ছিল আলোচনা সভা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও শিক্ষাবিদ আবদুল খালেক। উপস্থিত ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব আ হ ম আবদুল্লাহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মু. জিয়াউর রহমান, নাচোল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ স ম আবদুস সামাদ আজাদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাবিহা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. শাহীন, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল কাদের, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাইমেনা শারমীন, পৌর মেয়র আবদুর রশিদ ঝালু খান, নাচোল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ওবাইদুর রহমান প্রমুখ।