ট্রাম্প কি তবে টেকসই উন্নয়ন থমকে দিতে চান

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পফাইল ছবি: রয়টার্স

আজ থেকে ১০ বছর আগে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে বিশ্বের ৬০টি উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অগ্রদূত হিসেবে আবির্ভূত হয় এবং যার অবস্থান ছিল ১৮তম। ১৫ বছর মেয়াদি এই এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য লাভ করে; বিশেষ করে দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে জেন্ডার সমতা, শিশু ও পাঁচ বছর বয়সের নিচে শিশুদের মৃত্যুহার কমানো, মাতৃমৃত্যুর হার কমানো, টিকা গ্রহণের পরিধি বাড়ানো, সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব কমানোসহ ইত্যাদি পদক্ষেপ উল্লেখযোগ্য।

এমডিজির আটটি অভীষ্টের মধ্যে কেবল অভীষ্ট নম্বর ৭, অর্থাৎ ‘পরিবেশগত টেকসইতা’ বাদে বাকি সব কটি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যাপক সফলতা অর্জন করে। ১০ বছর আগে, অর্থাৎ ২০১৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ানের এক নিবন্ধে বলা হয়েছে এভাবে, ‘বাংলাদেশ এমডিজি (২০০১-২০১৫) অর্জনে উন্নয়নশীল বিশ্বের অন্যতম বড় সাফল্যগাথা।’ আর এই সাফল্যের জন্য বিদেশি দাতা সংস্থাগুলোর যেমন অগ্রণী ভূমিকা ছিল, ঠিক তেমনি এমডিজির শুরুটাই হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সরকারের হাত ধরেই। পরবর্তী সময়ে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, পরিবর্তিত নির্বাচিত সরকারসহ দেশি–বিদেশি উন্নয়ন সংস্থা এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এমডিজির লক্ষ্য পূরণে কাজ করে গেছে!

পরে সময়ের প্রয়োজনে এবং বিশ্বায়নের সঙ্গে তাল মেলাতেই বাংলাদেশ সরকার ‘এসডিজির’ অভীষ্ট ও লক্ষ্যমাত্রাগুলোকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করে। বিশ্বব্যাপী ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)’ অর্জনের জন্য ১৫ বছর মেয়াদি (২০১৬-২০৩০) নতুন পদক্ষেপ শুরু হয়। ‘টেকসই উন্নয়ন’ হলো এমন একটি সাংগঠনিক গঠনতন্ত্র, যার মূল লক্ষ্য গণমানুষের উন্নয়নের পাশাপাশি প্রাকৃতিক সম্পদের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনাকে সহনশীল রেখে অদূর ভবিষ্যতে মানুষের জন্য ব্যবহারের উপযোগী করে রাখা। বিশ্বায়নের এই এসডিজির প্রত্যাশিত ফলাফল ‘এমন একটি বসবাসের উপযোগী সমাজ, যেখানে গণমানুষের জীবনমান ও নানাবিধ সম্পদের সুষম ব্যবস্থাপনা এবং স্থিতিশীলতাকে ক্ষুণ্ণ না করে মানুষের চাহিদা পূরণ করে। টেকসই উন্নয়ন মূলত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে গৃহীত একটি উন্নয়ন–পরিকল্পনা। উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের ফলে যেন প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি সাধিত না হয়, সেদিকে লক্ষ রেখে অর্থাৎ প্রকৃতিকে ঠিক রেখে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পাদন করা হয়। টেকসই উন্নয়ন শুধু পরিবেশ সংরক্ষণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নই নয়; বরং সামাজিক ও মানবিক উন্নয়নও এর আওতাভুক্ত।

সংগত কারণেই এসডিজির পদক্ষেপগুলোর বাস্তবায়ন ও মনিটরিংয়ের জন্য তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সচিবের নেতৃত্বে এসডিজির যে কর্মকৌশল শুরু হয়, সেখানে দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীদের (এনজিও) সমন্বয়ে সারা দেশে অনেক জোরালোভাবে এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য একটি জোয়ার সৃষ্টি হয়। মূলত অন্যান্য বিদেশি দাতাগোষ্ঠী, বিশেষ করে মার্কিন সরকারের সিংহভাগ অর্থায়নের ফলে এনজিওগুলো প্রথম সাত বছরে (২০১৬-২০২২) মোটামুটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ করে। বর্তমানে এসডিজি কর্মসূচির ১০ বছর পেরিয়েও গেছে। ইতিমধ্যে রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশের ব্যাপক পটপরিবর্তন ঘটলেও এসডিজির পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তেমন একটা প্রভাব চোখে পড়েনি। বিগত দিনের দীর্ঘমেয়াদি স্বৈরশাসক সরকারের পরিবর্তন ঘটলেও কালক্রমে বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের আওতায় জাতীয়-আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলো বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠীর আর্থিক সহযোগিতায় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে চলছিল।

আর মাত্র বছর পাঁচেক পরেই এসডিজির মেয়াদকাল শেষ হবে; ২০২২ সালের পরে আবার বিভিন্ন সূচকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় বাংলাদেশের অবস্থান যাচাই করা হবে! অনেক স্বপ্ন নিয়ে উন্নয়ন জগতের নিবেদিতপ্রাণ মানুষেরা প্রত্যাশায় আছে, ‘এই বুঝি এমডিজির মতো এসডিজির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ব্যাপক সফলতা অর্জন করবে!’ কিন্তু সে আশায় যেন গুড়ে বালি ঢেলে দিতে যুক্তরাষ্ট্র, তথা ট্রাম্প সরকার! আচমকা এক ঝড় যেন সেই স্বপ্ন লুট করে নিতে চায়!

বিশ্বজুড়ে নানাবিধ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের যে ব্যাপক সক্ষমতা রয়েছে, এ নিয়ে কারও মনে কোনো সন্দেহ নেই। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তিসহ সব ক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বিকল্পই নেই! বিশ্বজুড়ে কুটনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও অস্থিতিশীলতা হ্রাসের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিভিন্ন দপ্তরের ব্যাপক ভূমিকাও রয়েছে। বর্তমানে চলমান এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা রয়েছে। স্বাধীনতা–পরবর্তী বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর যেমন ভূমিকা রয়েছে, ঠিক তেমনিই আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর অবদানকে কখনোই অস্বীকার করা যাবে না। ইউএসএআইডি, ইউকেএআইডি, এইউএসএআইডি, জেএআইসিএর মতো আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো এ দেশে সাধারণত দুই ধরনের অ্যাপ্রোচে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে।

‘নিড বেজড অ্যাপ্রোচ (এনবিএ ও বেজড অ্যাপ্রোচ (আরবিএ)’! অর্থাৎ চাহিদাভিত্তিক ও অধিকারভিত্তিক অ্যাপ্রোচের ভিত্তিতে নানাবিধ প্রয়োজনীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। যার ফলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, অধিকার সচেতনতাসহ অধিকার প্রতিষ্ঠায় ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে, যা এর আগে এমডিজির লক্ষ্য পূরণে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে এবং চলমান এসডিজির ক্ষেত্রেও সমান ভূমিকা রাখবে। কিন্তু বর্তমানে এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশটি যেন হঠাৎ করেই হোঁচট খেয়েছে! সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত-বাংলাদেশসহ এশিয়া ও আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশের জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের তহবিল বাতিল করেছে। এমনকি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশের ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কর্মসূচিও বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশকে সহায়তা বন্ধের ঘোষণা প্রশাসনের সেই পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। এটি চরম হতাশার এবং নিঃসন্দেহে অপ্রত্যাশিতও বটে!

বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্পটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি ও গণতান্ত্রিক শাসনকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ শাসন করছে এবং এ দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে খুব জোরেশোরে কাজ করলেও খুব প্রত্যাশিত ফলাফল এখনো তেমন নজরে পড়ছে না। এত কিছুর পরও ইলন মাস্কের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির আর্থিক সহায়তা বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা কেবল বাংলাদেশের অর্থনীতিতেই প্রভাব ফেলেনি; বরং গৃহীত নানামুখী প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও অন্তরায় হিসেবে দেখা দিয়েছে। জাতীয়–আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে যেসব দেশ এতকাল আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের মধ্যে অন্যতম। মার্কিন প্রেসিডেন্টের একটি ঘোষণাতেই রাতারাতি সেই গৃহীত প্রকল্পসহ নানাবিধ কর্মসূচি বন্ধ হয়ে গেল!

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দাতা সংস্থা তথা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ অর্জনে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করে, সেসব প্রতিষ্ঠানও এখন থেকে আর টেকসই থাকছে না। এমনকি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর নিযুক্ত লোকবল মুহূর্তেই বেকারত্বের কালো চাদরে নিমজ্জিত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে তিলে তিলে গড়া উন্নয়ন জগতের যাবতীয় প্রশিক্ষণ, নানাবিধ অভিজ্ঞতা, প্রাণপণে চেষ্টা—সবকিছুই যেন অর্থহীন হয়ে এল নিমেষেই! কোনো রকম হিসাব-নিকাশ ছাড়াই বিগত দিনে অপরিণামদর্শী অগণতান্ত্রিক সরকার–ঘোষিত ‘মধ্যম আয়ের দেশ’ খেতাবটি যেন বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বের ইতিহাসে ‘এক আষাঢ়ে গল্প’ হিসেবে স্থান পেয়েছে! একই সঙ্গে ‘বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশ’ নামক এই অহংকারমূলক খেতাব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে! সংগত কারণেই বিশ্বব্যাপী নিয়মিত দাতাগোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ–তহবিল আফ্রিকা মহদেশের গরিব দেশগুলোর জন্য নতুন করে পরিকল্পনা প্রণয়ন করে!

নানা কারণে সমগ্র বিশ্ববাজারেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কুপ্রভাবে এ দেশের আপামর জনসাধারণের যখন নাভিশ্বাস অবস্থা, ঠিক তক্ষুনি মার্কিন সরকারের এমন অপ্রত্যাশিত ঘোষণা যেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে প্রভাবিত করেছে প্রত্যেককে। সরকার, আপামর জনসাধারণ, উন্নয়নজগতের উপকারভোগীসহ এ দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে এর ব্যাপক প্রভাব নতুন করে মনে করিয়ে দিচ্ছে, ‘শৈশবের গণিতে উল্লেখিত একটি তৈলাক্ত পিচ্ছিল বাঁশে একটি বানরের এক মিনিটে যতখানি অংশ ওপরে ওঠে, পরবর্তী মিনিটে তার দ্বিগুণ পরিমাণ অংশ নিচে নামার গল্প (অঙ্কের কথা)...!’ নানাবিধ দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সংস্থার বদৌলতে বিশ্বজুড়ে মর্যাদার দিক থেকে বাংলাদেশ যতদূর এগিয়েছিল বা উন্নয়নের দিকে এগোচ্ছিল, এক মুহূর্তেই যেন তা থমকে গেল। এ যেন এক চরম হতাশার গল্প! আর এসব দৃশ্যের কালের সাক্ষী ও ভুক্তভোগী আপামর জনতা ও তাঁদের পরিবার!

‘টেকসই উন্নয়নের’ সারথী হিসেবে যাঁরা এতকাল নিজেদের নিবেদিত করে গেলেন, তাঁরাই যেন আজ কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলেন। কমিউনিটিতে, প্রতিটি পাড়ায়, মহল্লায় এতকাল যাঁরা ‘টেকসই উন্নয়ন’–এর কথা বলতেন, তাঁরাই আজ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন! পরিবারের জন্য দুমুঠো খাবার জোগাতে তাঁরা নিজেরাই হিমশিম খাচ্ছেন! দ্রব্যমূল্যের চাপে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ সব সময় একটা দুশ্চিন্তার মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। এ অবস্থার দ্রুত অবসান চান তাঁরা। আর এটিও বলার অপেক্ষা রাখে না যে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও নৈর্ব্যক্তিকভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কেননা, তাদের কোনো রাজনৈতিক অভিসন্ধি নেই! তা ছাড়া কোনো বিশেষ দল বা গোষ্ঠীর কাছেও তারা কোনোভাবেই দায়বদ্ধ নয়।

তাদের দায়বদ্ধতা একমাত্র দেশবাসীর কাছে। সে ক্ষেত্রে সব জঞ্জাল সরিয়ে এ দেশের আপামর জনতা আবারও ঘুরে দাঁড়াবে—এ প্রত্যাশা সবারই। একই সঙ্গে একটি শঙ্কা জাগে মনে বারবার, ‘সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও কি তবে ট্রাম্প সরকার টেকসই উন্নয়ন থমকে দিতে চায়, অচিরেই?’ যেমন এ দেশের অপরিণামদর্শী বিগত স্বৈরশাসকের ঘোষিত অবান্তরমূলক ‘মধ্যম আয়ের দেশ’ খেতাবটির কারণে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল স্বনামধন্য দাতাগোষ্ঠীরা! তবু বুকভরা আশা নিয়ে তীর্থের কাকের মতো প্রতীক্ষায় চেয়ে আছে উন্নয়ন জগতের নিবেদিতপ্রাণসহ এ দেশের আপামর জনগণ! শেষ পর্যন্ত নতুন করে ফিরে আসবে তো সেই সুদিন? আবারও গতিশীল হবে তো টেকসই উন্নয়নের পদক্ষেপগুলো!

  • লেখক: মো. তানজিমুল ইসলাম, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট