কালাসোনা চ্যানেল
রাত তিনটা। পাশের রুমের মুতাসিম দরজা ঠেলে ভেতরে এল। হাতে দুটি বিশাল মগ। ‘সিমন বাই, কফি নেন’ বাহরাইনি ছোটভাই মুতাসিম কফি এগিয়ে দিল। আমি গাইগুঁই করে বললাম, ‘তুমি কি কফি বলে গাওয়া চালিয়ে দিচ্ছ না তো? জঘন্য স্বাদ! কীভাবে মজা করে খাও?’ হো হো করে হেসে মুতাসিম বলল, ‘না, এটা নেসলে কফি। তবে আপনার রুমমেট চিলি (শেলী) বাইকে কাওয়া কাওয়াবো!’ মুতাসিম থার্ড ইয়ারে পড়ে, আমি ফিফথ ইয়ার। সে প্রায়ই রাত চারটা পর্যন্ত জেগে থাকে। মাঝেমধে৵ আমাদের রুমে এসে খোঁজখবর করে, কথা বলে। বিশালদেহী বাহরাইনি তরুণটি নিঃসঙ্গ। সে–ই তাদের ব্যাচে একমাত্র মধ্যপ্রাচ্যের ছাত্র। আরবিভাষী ছাত্র হিসেবে প্রথম দিকে সে না বাংলা না ইংরেজি কোনো কিছুই বুঝত না। আর এ জন্য সহপাঠী ও সিনিয়র ছাত্ররা তাকে নিয়ে মজা করত, এমনকি ডাইনিংয়ের বন্দে আলী, হক মিয়ারাও সুযোগ নিত। পড়াশোনার ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে পিছিয়ে যেতে থাকে সে। কোনোরকমে ঠেলেঠুলে সেকেন্ড ইয়ারে ওঠার পর পড়াশোনা প্রায় ছেড়ে যাওয়ার দশা। এদিক দিয়ে নেপালি- ইন্ডিয়ান-পাকিস্তানি ছাত্ররা ব্যতিক্রম। তারা এসেই তাদের দেশি ভাইবোনদের পেয়ে যায় এবং তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি আমাদের কাছাকাছি হওয়ার কারণে দ্রুত অ্যাডাপটেশন করতে পারে।
‘আপনাদের প্রফের ডেট দিছে। জানেন?’: মুতাসিম। এ জন্যই আজ ঢাকা থেকে চলে এলাম, অবস্থা টাইট! আমি বললাম। হাতে ৩৫ দিনের মতো সময় আছে। আব্বা-আম্মার দোয়া নিতে ঢাকায় গিয়েছিলাম। এক বন্ধু ফোন করে জানাল, পরীক্ষার রাফ ডেট দিয়েছে, জোরকদমে ক্লাস শুরু হয়েছে, বেতালা হলেই ডাব্বা!
গাওয়া ওদের মধ্যপ্রাচ্য—ইরান ও কাশ্মীরের মানুষের প্রিয় পানীয়। দেখতে অনেকটা আমাদের দেশের পান খাওয়ার সাদা পাতার মতো। চায়ের বিকল্প হিসেবে গরম পানিতে দিয়ে দুধ-চিনি ছাড়াই পান করে। গন্ধ ভালো না, খেতেও ভালো না। বেশ কিছুদিন আগে আমাদের তিন রুমমেটকে গাওয়া পানের দাওয়াত দেওয়ায় এর রং-গন্ধ দেখে আমার দুই রুমমেট কাজ আছে বলে পালায়। আমি ভদ্রতা করে আধা কাপ খাই। এরপর থেকে খাওয়া নিষেধ!
আজ এখানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় দশটা বেজে গেছে। তিস্তা সকাল সাড়ে সাতটায় ছেড়েছে। সময়মতো ময়মনসিংহ, জামালপুর পার হয়ে দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাটে পৌঁছেছি। সম্ভবত এই রুট আর বেশি হলে এক বছর থাকবে। ইন ফুল সুইংয়ে যমুনা ব্রিজের কাজ চলছে। আমার অনেক বন্ধু প্রায় সম্পন্ন হওয়া যমুনা ব্রিজ দেখে এসেছে। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত একটানা ট্রেনে কীভাবে সময় কাটাই, এটা আমার ছোট ভাই ইমন প্রায়ই জানতে চায়। এই পথের বৈচিত্রে৵র জন্য বোরিং লাগে না। সঙ্গে ক্লাসমেটদের অনেকেই থাকে। জয়দেবপুর পার হওয়ার পর আস্তে আস্তে শালবন শুরু হয়। খুব সুন্দর। আবার ময়মনসিংহের কাছাকাছি প্রকৃতি অন্যরকম। এখানে রেললাইন ঠিক ভূমির সমতলে একটানা চলে গেছে; মাঝেমধে৵ ডোবা–নালা থাকলেও রেললাইনের উচ্চতা বাড়ে না; কিন্তু আমাদের কালীগঞ্জ, নরসিংদী, ভৈরব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে রেললাইন ভূমি থেকে বেশ উঁচুতে। জামালপুরের কাছাকাছি থেকে শুরু হয় আখখেত, পানখেত। পানের বরজ সম্বন্ধে আইডিয়া না থাকলে যে কেউ বলবে খেতের মাঝখানে মাঝেমধে৵ শোলা (পাটকাঠি) দিয়ে বিশাল বিশাল ঘর কেন বানিয়ে রেখেছে? পান চাষে অতিরিক্ত রোদ ক্ষতিকর। জামালপুর পার হলেই মাটির পরিবর্তে চারপাশে শুধু বালু আর বালু। ট্রেনের গতিও খুব কম। আমাদের বন্ধুবান্ধবদের অনেকে চলন্ত ট্রেন থেকে নেমে দৌড়ে আখখেত থেকে আখ ভেঙে আবার ট্রেনে উঠে যেত। আশপাশের জলাভূমিতে পানিফল চাষ হয়। দেওয়ানগঞ্জের কাছাকাছি জিলবাংলা সুগার মিল। এই মিল সম্বন্ধে স্কুলের বইয়ে পড়া থাকায় প্রতিবারই রেলের বাঁ দিকে তাকিয়ে থাকতাম। তখনই এর পড়ন্ত দশা। দেওয়ানগঞ্জের পর বাহাদুরাবাদ ঘাট। এটাও ভূগোল বইয়ের বিখ্যাত একটি স্থান। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদী এখানে বিশাল। খুবই ভাঙনপ্রবণ এলাকা। প্রতিবারই দেখি, ঢাকা থেকে আসার সময় বা যাওয়ার সময় রেললাইনগুলো ওঠানো-নামানো হচ্ছে, বসানো হচ্ছে। ঘাট প্রায়ই চেঞ্জ করতে হয়। এই স্মৃতিকাতর এলাকায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে দুপুর দেড়টা থেকে পৌনে দুইটা বেজে যেত। ঘাটে অসংখ্য বেড়ার হোটেল। প্রধান আইটেম মসলার গম্বুজের ওপর আস্ত ডিমের ভুনা বা বিরাট চিংড়ির ভাজি। ডাল ও অন্যান্য মাছের ব্যবস্থাও ছিল। গরম গরম ভাতের সঙ্গে দোকানিরা চাইতেন খদ্দের চিংড়ি ভাজা বা ডিমের ভুনা নিক। যাত্রী মসলাগুলো ভাতের সঙ্গে মাখিয়ে তারিয়ে তারিয়ে খাওয়া শুরু করত। রেল পৌঁছার পর যাত্রীরা ঘাটে দাঁড়ানো স্টিমারে উঠবে। স্টিমার এখান থেকে ছেড়ে বর্ষায় প্রায় দেড় ঘণ্টা আর শীতে প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টায় যমুনা পাড়ি দিয়ে গাইবান্ধার ফুলছড়ি বা বালাসীঘাটে পৌঁছাবে। ট্রেন পৌঁছানোর পর প্রায় আধা ঘণ্টা সময়ের ব্যবধানে স্টিমারটি ছাড়ে; কিন্তু এর মধে৵ই কিছুক্ষণ পরপর হুইসেল দেয়। আর হুইসেল দিলেই হোটেল কর্মচারীরা যাত্রীদের তাগাদা দেযন—‘স্টিমার দিলো ছাইড়া!’ যাত্রী ব্যাগ-বোঁচকা নিয়ে দৌড়। পাতে পড়ে থাকা বড় চিংড়ি বা ডিমের ভুনা ধুয়ে আবার মসলার গম্বুজে আশ্রয় দেওয়া হয়। যাত্রীদের কাছ থেকে আগেই বিল নিয়ে নেওয়া হতো।
ব্রিটিশ রেলওয়ে ১৯৩৮ সালে ময়মনসিংহের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের জন্য এই লাইন ও স্টিমারের ব্যবস্থা করে। স্টিমারে উঠলে গাইবান্ধার বালাসী ফুলছড়ি ঘাটে পৌঁছার আগেই দেখা যায় আরেকটি ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে। সিটের নাম্বার মিলিয়ে যে যার আসনে বসে যেত। স্টিমারগুলো ছিল দুই তলা। একতলায় আমজনতা আর দুই তলায় প্রথম শ্রেণি, শোভন চেয়ারের যাত্রীরা বসতেন। ইঞ্জিনের একটানা আওয়াজে কান ঝালাপালা। ওপরে ডেক বা ছাদে আমরা বন্ধুরা বসে আশপাশের বিশাল নদী আর বালুচরের বিষণ্নতা অনুভব করতাম। স্টিমারের ভেতর বসার জো ছিল না টোকাইদের যন্ত্রণায়। এরা ফট করে এসে দুই পা চেপে ধরে বসে থাকে। কত দিন গোসল করে না কে জানে! এদের বাড়ি কই জিজ্ঞেস করলে কথা বলে না, করুণ চোখে তাকিয়ে থাকে। বলে, ‘মোক খিলাও।’ প্রায় সবগুলোই অতিশয় বদ। যতক্ষণ না পয়সা পাবে, ছাড়বে না। আমাদের বান্ধবীরা তাদের দেখার সঙ্গে সঙ্গেই পয়সা বের করে বিদায় জানায়। দুই তলার ডেকের পাশে কেবিন, ডাইনিং রুম। খাবারের এত সুগন্ধ চলন্ত কোন ভেহিকেলে বা পথে কখনোই পাইনি। নদীর টাটকা মাছ, মুরগি আর সবজি-তরকারি প্রতিটি সুপার। সমস্যা এখানে সীমিত সিট। ভাগ্য ভালো থাকলে বেশ কয়েকটি ব্যাচ পার করে টেবিলে বসতে পারা যায়। অনেক সময় খাদ্যের মজুদ শেষ হয়ে যায় বা ঘাটে চলে আসায় খাবারের আশা বাদ দিয়ে রেল ধরতে হয়।
প্রতিবারই নদীতে পানি কমে গেলে ফুলছড়ির কালাসোনা চ্যানেলে ড্রেজিং দেখতাম। বিশাল ব্যাপার। ড্রেজিং করে নৌপথ চালু রাখা হতো। মাঝেমধে৵ দূরে একটি–দুটি চর দেখা যেত। চরে টিন ও বাঁশের বেড়ার ঘর। কীভাবে এই নির্জন এলাকায় পরিবার নিয়ে মানুষ থাকে? স্টিমারের সহযাত্রী কোন কোন স্থানীয় মানুষদের এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তারা প্রায় প্রত্যেকেই বলত, চরে যারা এভাবে থাকে, তাদের প্রায় সবাই দুরন্ত প্রকৃতির মানুষ; সুযোগ বুঝে নৌকায় হানা দেয়। আবার দেবদারু গাছের মতো ছোট ছোট গাছ দেখে বলত, এগুলো গাঁজার গাছ—চাষ করে। শীতের দিনে প্রায় রাতে এই চ্যানেলের আশপাশে নাব্যতা কমে যাওয়ার কারণে স্টিমার আটকে যেত। থার্ড ইয়ারে থাকার সময় একবার ঢাকায় পৌঁছাতে ৩১ ঘণ্টা লেগেছিল। চিন্তায় আব্বা-আম্মার হার্টফেল করার দশা।
আজকের পর পরীক্ষার কারণে আরও হয়তো তিন থেকে চার মাস পর বাসায় যাব। ফাইনাল প্রফ পাস করতে পারলে হয়তো ইন্টার্নি করার সময় আরও দু-তিনবার এই রুটে আসব। আস্তে আস্তে ভুলে যাব পাট ব্যবসার জন্য বিখ্যাত ফুলছড়ি নৌবন্দর, উত্তরাঞ্চলের বড় তেলের ডিপো বালাসীঘাট, কামারজানি নৌবন্দর, ফুটানি বাজার, চর-আমখাওয়া আরও কত নাম। আর হয়তো শুনতে পাব না টিনের চর মাথা, হাবরাবাড়ী, খাটিয়ামারী, কোচখালীর নাম। একসময় এই নামগুলো নিয়ে স্থানীয় বন্ধুদের খেপাতাম, এখন কষ্ট হচ্ছে।
পড়ন্ত বিকেলে ঘাটে স্টিমার পৌঁছার পর তিস্তামুখ ঘাটে বিশাল বিশাল টাটকা বোয়াল, আইড় আর কাতলা মাছ দেখলে মনটা আঁকুপাঁকু করে ওঠে আব্বা, আম্মা ও ইমনের জন্য। বোয়াল-আইড় আব্বার খুব পছন্দের মাছ। ইশ এই টাটকা মাছগুলো যদি ওদের জন্য নিতে পারতাম!
বোনারপাড়া-কাউনিয়ায় দুইবার ট্রেনের ইঞ্জিন বদলানোর জন্য অনেকটা সময় চলে যায়। আমরা সারা দিনের ক্লান্তি চা–দোকানে বসে পেঁয়াজু-পুরির মাধ্যমে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করি। এই বিখ্যাত জংশনে ব্রিটিশ আমলের সাইনবোর্ড তখনো ছিল , ‘চা–পান করার উপকারিতা’ নিয়ে। ট্রেনের গতি খুব কম, আস্তে আস্তে আমরা গন্তব্যে পৌঁছাই।
আনমনা দেখে মুতাসিম বলল, ‘সিমন বাই মন কারাপ? কালা-কালু বালু আসেন?’ এ সহজ ছেলেটিকে কন্টিনিউয়াস বুলিংয়ের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। মাঝেমধে৵ অশ্রাব্য দু-তিনটি গালির ব্যাপারে জানতে চাইত। বলতাম, এটা কোথায় শিখেছ? সে বলত, ওমুক বন্ধু বলেছে, ‘এর মানে চলো বন্ধু নাশতা করতে যাই বা কেমন আছ’ ইত্যাদি। আমার রুমমেট হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খায়। মুতাসিম বলে, ‘কী হইছে বাই-ই?’ তাকে বোঝানোর পর সে মন খারাপ করে বসে থাকে। রুমমেট তাকে পরামর্শ দেয়, ‘যে তোমাকে এ ধরনের ইন্টারন্যাশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ শেখাবে, তাকে পাঁচবার করে বলে আসবে।’ থার্ড ইয়ারে উঠতে উঠতে মুতাসিম ‘টেটন দ্য গ্রেট’ হয়ে যায়।
আবারও জানতে চাইল, ‘কালা-কালুর জন্য খারাপ লাগছে?’ আমাকে বোঝায়, আপনার তো বাবা-মা-ভাই এ দেশেই আছেন; আত্মীয়স্বজন আছে, মন খারাপ হলে দেখতে যেতে পারেন। আমি তো ৩৫ মাস ধরে বাড়ি যাই না। এ জন্য মুতাসিম ছুটির সময় ঢাকা এবং বিভিন্ন অঞ্চলে বন্ধুদের বাসায় বেড়াতে যায়। আমাদের বাসায়ও বেশ কয়বার আসায় আব্বার সাথে খুব হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক হয়ে যায়। আব্বা প্রতিবারই বলতেন, তুমি আমাদের এখানে ওঠো। মুতাসিম বলত ‘উত্রায় উঠছি’। উত্তরায় তাদের দেশের বেশ কয়েকজন মানুষ থাকতেন। আব্বা আমার মেডিকেল জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বলতেন, ‘ওই যে ছেলেটা, উত্রায় উঠত, কেমন আছে?’
মুতাসিম বলল, আসেন দাবা খেলি, আপনার মন ভালো হবে। আমি নাকচ করে দিই। ওর সঙ্গে দাবা খেললে এক দানের বেশি খেলা যাবে না। আর ‘টাচ অ্যান্ড মুভ’ যেটা ধরবে, সেটিই চালতে হবে। ও প্রায়ই দু-তিনবার দান চেঞ্জ করে—মাঝে মাঝে ‘আমি তো মেহমান, আপনার ছোট ভাই, আমার এই পণটা কাটবেন না’ বলে মানসিকভাবে ব্ল্যাকমেলিং করে। ‘ছোট ভাই কালকে খেলব’, বলি। ব্যাগের জিনিসপত্র এখনো বের করিনি।
মুতাসিমের বিদায়ের পর ব্যাগ খুলতে গিয়ে চোখ ফেটে পানি চলে আসে। গত রাতে ইমন আমার জন্য বিরাট দুটি বিস্কুট-চানাচুরের প্যাকেট আজিমপুরের সাগর-সম্ভার কনফেকশনারি থেকে নিয়ে আসে। আমি ব্যাগ ভারী হওয়ার অজুহাতে আমার ভাইয়ের প্রিয় চানাচুর-বিস্কুট আগের রাতে লুকিয়ে বের করে মিটশেফে রেখে আসি। ইমন হয়তো ভোররাতে ওভারট্রাম করে আবার ব্যাগে পুশব্যাক করেছে।
চোখের পানি মুছতে বেসিনে যেতেই শুনি, মুতাসিম জন ডেনভারের ‘কান্ট্রি রোড টেক মি হোম’ গানটি ছেড়েছে। এটি আমার প্রিয় গানের একটি। এরপর ববি বারের, ‘আই এম ফাইভ হান্ড্রেড মাইলস অ্যাওয়ে ফ্রম হোম’ শুনে চোখ দিয়ে ঝরঝর করে পানি পড়তে লাগল ইমন, আম্মা আর দেশ ছেড়ে হাজার মাইল দূরে মেডিকেল কলেজে পড়তে আসা মুতাসিমের জন্য।
*লেখক: আসফাক বীন রহমান, সহযোগী অধ্যাপক, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, গাজীপুর।