ব্যাসপুর কমিউনিটির অনুপ্রেরণামূলক জ্ঞানের মেলা

শীতের এক দারুণ সকালে, নবান্নের আমেজ আর নতুন ধানের পিঠাপুলির গন্ধে মুখর হলো গোপালগঞ্জের ব্যাসপুর গ্রাম। এ গ্রামেই গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর ২০২৫) অনুষ্ঠিত হয় এক প্রাণবন্ত জ্ঞানের মেলা—নবান্ন পর্ব। মেলাটি কেবল একটি অনুষ্ঠান ছিল না; এটি ছিল ব্যাসপুরের কমিউনিটি সদস্যদের নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার আদান-প্রদানের এক সম্মিলিত মঞ্চ। গ্রামের মানুষেরা একে অপরের শক্তি ও সাফল্যকে মন খুলে প্রশংসা করেছে এবং তাদের জীবনের কঠিন চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে নিজেদের সাহস ও কৌশল দিয়ে মোকাবিলা করেছে, সেই গল্পগুলো ভাগ করে নিয়েছে, যাতে সবাই সবার কাছ থেকে শিখতে পারে।

গ্লোবাল ফান্ড ফর চিলড্রেন (জিএফসি) এবং গ্রো ইয়োর রিডার ফাউন্ডেশনের (জিওয়াইআরএফ) সহায়তায় আয়োজিত মেলাটি ছিল স্থানীয় মালিকানার একটি বাস্তব প্রতিফলন এবং জিএফসির এআরসির উদ্যোগের অংশ। শীতকাল উপলক্ষে কমিউনিটির সিদ্ধান্তে অতিথিদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয় নতুন ধানের চাল দিয়ে বানানো ঐতিহ্যবাহী শীতকালীন পিঠা এবং নাড়ু দিয়ে—যা এই উৎসবের আনন্দ আর আতিথেয়তাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল।

নাগরিক সংবাদে জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]

সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চলা এই মেলাতে কমিউনিটির সদস্যরা নিজেদের হাতে গড়া সাফল্যগুলো তুলে ধরেছে। এতে ছিল অনুপ্রেরণামূলক অভিজ্ঞতা বিনিময়, মনমাতানো সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা এবং গভীর চিন্তামূলক উন্মুক্ত আলোচনা।

উপস্থিত ছিলেন হিজলিপাড়া, কাটাখালী, উত্তর পাড়া, দক্ষিণ পাড়া কমিউনিটির মানুষ। জ্ঞানের মেলাটি শেষ হয় দারুণ সব ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে। খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণীর পর কমিউনিটির সবাই এক সঙ্গে খাবার ভাগ করে নেয়। জ্ঞানের মেলা শেষে সবার মধ্যেই ছিল এক হয়ে কাজ করার দৃঢ়তা। এই মেলার মাধ্যমে বোঝা গেছে পরিবর্তন তখনই সম্ভব, যখন কমিউনিটির মানুষ এক হয়ে কাজ করে। উন্নয়ন তখনই স্থায়ী হয়, যখন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি মানুষেরা নিজেরাই সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করে। বিজ্ঞপ্তি