ভূত-প্রেত-দৈত্য-দানো
১.
বিপর্যস্ত মি. শরীফ (ছোট মামার ভাষায় ডক্টর শেরীফ) নানা বাড়ির ড্রয়িং রুমের মেঝেতে দুই হাতের মাঝখানে মাথাটি কোনো রকম তুলে ধরে আছেন। চোখে ভয়ার্ত দৃষ্টি। ডানে-বামে তাকাচ্ছেন। মাথার ওপর ঘটর ঘটর করে ফ্যানটা ঘুরছে। আমরা দুই ভাই জুরিবোর্ডের সম্মানিত সদস্য। বিচারক ছোট মামা এবং পাবলিক প্রসিকিউটর খোকন। দর্শকশ্রোতা হিসেবে আরও দুই–তিনজন উৎসুক হয়ে বিচারকার্য পর্যবেক্ষণ করছে। খোকনের ভাষ্য, ‘কাক্কা, শরীফ ভাই ওনাদের সঙ্গে বেদ্দবি করছে; ইতার লাইগ্যাই তেনারা এই শাস্তি দিছেন।’ মি. শরীফ শুধু মাথা নাড়ছেন আর মিনমিন করে ছোট মামাকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছেন, ‘ওনাদের’ সাথে কোনো বেয়াদবি হয়নি। শুধু কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলছেন ‘কাহা, আতকা আমার আত-পা টাডি লাইগ্যা গেছে , ঘাড়ও ঘুরাইতাম পারতেছিলাম না, কি থ্যাইক্যা কী হইল!’ মাননীয় বিচারক জুরিবোর্ডের দুই সম্মানিত সদস্যকে পূর্বাপর ঘটনা বর্ণনা করলেন। শরীফ মিয়া প্রায়ই তাঁদের জন্য নির্ধারিত টয়লেট বাদ দিয়ে সন্ধ্যার পর এদিক-ওদিক ছোট কাজ সেড়ে ফেলেন। ইদানীং প্রায়ই বেলগাছের পাশে এ ঘটনা ঘটাচ্ছেন। এসব কারণেই বেলগাছে বাস করা ‘ওনারা’ তাঁকে হাত-পা-ঘাড় জ্যাম করে শাস্তি দিয়েছেন। খোকন বা বিচারকার্য পর্যবেক্ষণকারী কোনো একজন দুষ্টুমি করে শরীফ মিয়াকে বেলগাছের গোড়ায় পেছন থেকে চেপে ধরায় গোঁ গোঁ করে শব্দ করে হাত-পা ছেড়ে দেন শরীফ মিয়া। ছোট মামা খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মানুষ। শরীফ মিয়া সন্ধ্যার পর রাতকানায় আক্রান্ত হওয়ায় এবং ভূত-পেতনি নিয়ে তীব্র আতঙ্কের কারণে ওনার জন্য নির্ধারিত নির্জন টয়লেটে যেতে ভয় পান। খালি পায়ে সন্ধ্যার পরে ঘরে ঘুরঘুর করেন।
শরীফ মিয়ার সঙ্গে আমাদের প্রথম পরিচয়টা খুব ইন্টারেস্টিং ছিল। নানাবাড়িতে গতবার বেড়াতে এসে প্রথম ঘণ্টাতেই শরীফ মিয়ার সঙ্গে ছোটমামা আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। ‘প্লিজ মিট উইথ ড. শেরীফ; ডক্টর শেরীফ ইন্টারনেশনাল ব্যক্তি, প্রায়ই হিল্লি-দিল্লি ঘুরতে যায়।’ লাজুক মুখে ডক্টর শেরীফ ফিক করে হাসি দিয়ে বলেন, ‘কাহা যে কী কয়!’ ডক্টর শেরীফ কসবা/আখাউড়ার কোনো একটি গ্রামের মানুষ। খুবই সরল–সোজা ভালো মানুষ। ভারত সীমান্তবর্তী গ্রামের বাসিন্দা হওয়ায় আত্মীয়স্বজনদের প্রায় সবাই ইধার কা মাল উধার সাপ্লাইয়ের ব্যবসায় করেন। চিনি-জিরা-কাপড় ইত্যাদি ‘আমদানি-রপ্তানি’ বিজনেস পছন্দ নয় শরীফ মিয়ার। তাই একজনকে ধরে ছোট মামার স্মরণাপন্ন হলে তাঁকে নানা বাসায় মালি হিসেবে পদায়ন করা হয়। কিন্তু মাসকাবারি বেতন আর বাড়ির জন্য চালের বস্তা পাঠিয়েও শরীফ মিয়া স্বস্তিতে থাকতে পারেন না। প্রায়ই ওনার বেটার হাফ এসে কাঁচা টাকার ব্যবসায় ফেরত নিয়ে যাওয়ার জন্য হুমকি দেন।
আমাদের নানা বাসা ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার মৌলভীপাড়ায়। বিশাল বাউন্ডারির এই বাসার দেয়াল বরাবর অসংখ্য নারকেল ও সুপারিগাছ। ভেতরের দিকে প্রচুর পরিমাণে আম, কাঁঠাল, পেয়ারার সঙ্গে সঙ্গে আছে আতা, জাম্বুরা, লেবু আর বেলগাছ। বিশেষ দ্রষ্টব্য হিসেবে একটি প্রাচীন কামরাঙ্গাগাছ। এর গুঁড়ির দিকটা ফোঁপরা, বিশাল গর্ত এটাকে একটা অন্য রকম অবয়ব দিয়েছে। প্রচুর কামরাঙ্গা ধরে। অজ্ঞাত কারণে এত কামরাঙ্গা ধরার পরও আশেপাশের ছেলে-ছোকরারা এখানে ঢিল ছুড়ে না। অনেকের ধারণা এখানে ‘ওনারা’ অর্থাৎ ভূত-পেতনিরা থাকেন। সন্ধ্যার পর থেকে ফজর পর্যন্ত এই গাছকে ঘিরে ‘ওনাদের’ রাজত্ব । আসলে এ রকম ছিল কি না, জানি না, তবে সন্ধ্যার পর আমরা দুই ভাই কামরাঙ্গা গাছসংলগ্ন ড্রয়িং রুমে একা আসতামনা। এ ব্যাপারে বিশ্বাসযোগ্যতা স্থাপন করার জন্য ‘সিরাজ মামা’কে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তোমাদের ‘সিরাজ মামা’ এক রাতে বারান্দার বড় বেঞ্চটিতে বসে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে যান। কিন্তু ফজরের আজান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উনি নিজেকে কামরাঙ্গাগাছের মাথায় দেখতে পান। আজান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পপাত ধরণিতল। এ জন্যই উনি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটেন।
সন্ধ্যার পর আশেপাশে শিয়ালের হুক্কাহুয়া আর বড় কুবোপাখির (কুকপাখি) উক উক-কুপ কুপ অলুক্ষণে ডাকের সঙ্গে সঙ্গে মাঝেমধ্যে থেমে যাওয়া ঝিঁঝিপোকার শব্দ আতঙ্ক ছড়াতো। প্রতি মাঘের প্রথমদিকে বান্নি বসত।
গত রাত থেকেই অল্প ছায়া ও শব্দে কেঁপে উঠছি। ছোট ভাই ইমনের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করে ব্রাম স্টোকারের ‘ড্রাকুলা’ বইটি রাতে পড়ছিলাম। এক–তৃতীয়াংশ পড়ার আগেই নানাবাড়ির নির্জন আবহ, নারকেল পাতার সড়সড় শব্দ, পেছনের খালটির ওপর দিয়ে ভেসে যাওয়া নৌকার শব্দে ভয়ে চোখ বন্ধ করে কানের ওপর বালিশচাপা দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সারা রাত লাইটটি জ্বলছিল। এমনিতেই আমরা দুই ভাই নানা বাসার পশ্চিম দিকের কামরাঙ্গাগাছটিকে নিয়ে অস্বস্তিতে থাকতাম, এবার গোদের উপর বিষফোড়া পূর্বদিকের বেলগাছ। সন্ধ্যার পর ঘর থেকে বের হওয়ার আর কোনো উপায় রাখল না খোকন। কামরাঙ্গা গাছের পরি আর বেলগাছের ব্রহ্মিদত্যিকে নিয়ে নানির কাছে সংকট উত্তরণে কোনো ওঝা বা হুজুরের পরামর্শ চাইলে নানি পান খেতে খেতে বেশ কিছুক্ষণ হাসলেন। বললেন, ‘ভাইয়া তোমরা ভয় পেয়ো না, তোমরা ঢাকার মেহমান। তোমাদের ওরা কোনো ক্ষতি করবে না; আর খোকইন্যা শয়তানকে এখানে পাঠাও, দেখি ব্রহ্মিদত্যির কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়?’ পরদিন নানাকে বলে কামরাঙ্গা ও বেলগাছের পাশে বাল্বের ব্যবস্থা করে দেন।
নানাবাড়ির পরি—ব্রহ্মিদত্যির সঙ্গে সঙ্গে দাদাবাড়ি জালশুকায় রয়েছে পেত্নি-জিন আর মাইচ্ছা ভূতের (মেছোভূত) কাণ্ডকারখানা। আমাদের জালশুকা গ্রামের পশ্চিম প্রান্তে পাগলা নদীর পাড়ে যে শ্মশানটি রয়েছে সেটিকে ঘিরে বিভিন্ন কাহিনি রয়েছে। গ্রামের কুমোরবাড়ির একটু পশ্চিমে ঘিয়ারা চকে এই পঞ্চবটি শ্মশান। এখানে নদীটি একটা বিশাল বাঁক নিয়েছে। বিরাট বিরাট বটগাছ, কদমগাছ এখানে একটা অন্ধকারাছন্ন পরিবেশ তৈরি করেছে। এমনিতেই শ্মশান, তার ওপর বিশাল গাছ ও নদীতীরের নির্জনতা এখানের বট-কদমগাছে মাইচ্ছা ভূত আর পেত্নিদের রাজত্বের গল্প তৈরি করেছে। আমরা সরাসরি পেত্নি-ভূতের পাল্লায় না পড়লেও ভরদুপুরে কখনো কখনো গোঁসাইপুর ঘাট থেকে বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় আমাদের বাড়ির বছরকালীন কৃষক নুরুমিয়া পশ্চিম দিকে তাকাতে নিষেধ করতেন। নদীর ওই বাঁকে অস্বাভাবিক বড় বড় বোয়াল-আইর মাছ পাওয়া যেত। আর আমাদের বাড়ির দালানের উত্তর দিকের খন্না (খন্দকার) বাড়ির খালের পাশে বাঁশঝাড়ের মধ্যিখানে রয়েছে প্রাচীন এক পাকুড়গাছ। গাছটির গোড়ায় অনেক পুরোনো আমলের ইটের তৈরি ঘর ছিল। পাকুড়গাছের গুঁড়ির ফাঁকা জায়গা থেকে ঘরটি উঠেছে নাকি ঘরের ওপর পাকুড়গাছটি হয়েছে এটাই মাঝেমধ্যে মনে হতো। এটি দরগাবাড়ি। দক্ষিণে প্রাথমিক স্কুল, পূর্বদিকে একটি কচুরিপানা ভরা বড় পুকুর, পশ্চিমে খাল ও উত্তরের বাঁশঝাড়ের কারণে সন্ধ্যার পর থেকেই এর আশেপাশের এলাকাতে কেউ যেত না। মাঝেমধ্যে সন্ধ্যায় ওই ঘরে কেউ মোমবাতি জ্বালিয়ে যেত। সন্ধ্যার পর আশেপাশে শিয়ালের হুক্কাহুয়া আর বড় কুবোপাখির (কুকপাখি) উক উক-কুপ কুপ অলুক্ষণে ডাকের সঙ্গে সঙ্গে মাঝেমধ্যে থেমে যাওয়া ঝিঁঝিপোকার শব্দ আতঙ্ক ছড়াতো। প্রতি মাঘের প্রথমদিকে বান্নি বসত। এক সন্ধ্যায় মেশিনঘরের কুদ্দুস ভাই মুরগি খুঁজতে গিয়ে কিছু একটা দেখে খুব ভয় পান। পরদিন মারা যাওয়ায় ওই দরগাবাড়ির জিনের গল্পটি আর পোক্ত হয়।
২.
ঢাকায় আমাদের আজিমপুরের বাসাও কম নয়। নাম আজিমপুর কলোনি, কিন্তু পাবলিক একনামে চিনে আজিমপুর গোরস্থান হিসেবে। কলোনিতে প্রচুর গাছপালা ও বাগান থাকায় গভীর রাতে জানালা দিয়ে দূরে তাকাতে ভয় লাগত; এই কোনো ভূত বা অতৃপ্ত আত্মা এসে না ধরে! রাতে একবার দুইবার টয়লেটে যেতে হতো। প্রতিদিন আব্বা-আম্মাকে বিরক্ত করতে মন চাইত না। এক ভাই অন্য ভাইকেও ডাকতে স্বস্তি পেতাম না। একজন সাহায্য চাইলেও টয়লেট থেকে অন্যজন বের হওয়ার আগেই সব লাইট বন্ধ করে ‘হাউ’ করে ভয় দেখানোর কারণে কোনো একটা উপায় খুঁজতে লাগলাম। এই ফ্রিজ, ফ্রিজের পর ডাইনিং রুমের বাম দিকে মিটসেফ আর ডানদিকের ডাইনিং টেবিল-চেয়ার আমাদের চিরচেনা। মিটসেফ পেরুলে একটি রেক আর রেকের ডানদিকেই টয়লেটের সুইচ। এটা আমাদের হাজারবারের চেনা পথ। তাই চোখ খুললেই যাতে ভূত বা অতৃপ্ত আত্মাকে দেখতে না হয়, সে জন্য চোখ বন্ধ করে আস্তে আস্তে টয়লেট পর্যন্ত হাতড়ে হাতড়ে চলে যাওয়া এবং ফেরত আসার কারণে আজিমপুরের ভূত বা অতৃপ্ত আত্মার মুখোমুখি কখনো পড়িনি।
৩.
রাত তখন দেড়টা। হঠাৎ করে গগনবিদারী চিৎকার। চিৎকারটি আসছে হোস্টেলের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের জিমনেসিয়ামের ওপার হতে। জিমনেসিয়ামে কয় দিন ধরে পুলিশ ছিল। কয় দিন আগে গণ্ডগোলের কারণে সেখানে ওনাদের পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের চিৎকারে বারান্দা থেকে আমরা উঁকিঝুঁকি দিয়ে বোঝার চেষ্টা করছিলাম ‘কেইসটা কী?’ মেডিকেল কলেজের মুক্তা হোস্টেলের চারতলায় থাকতাম। মুক্তা-পিন্নু হোস্টেলের পশ্চিম দিকে ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়ক। আশেপাশে হাজীপাড়াসহ গ্রামীণ এলাকা। হোস্টেলের বিশাল মাঠের একপাশে জিমনেসিয়াম। জিমনেসিয়ামের পশ্চিমে রাস্তা, আর রাস্তার পশ্চিমে বিশাল কয়েকটি শিমুলগাছ। এই কাটাওয়ালা গাছের তুলার কারণে বছরের একটা সময় আমরা দরজা জানালা খুলতে পারতাম না। শিমুলগাছগুলোর নিচে হাসপাতালের লাশ কাটা ঘর (মর্গ) । মর্গের উত্তরে জেলখানার সীমানায় মেহগনি বাগানের ফাঁকে ফাঁকে হলুদের চাষ আর পশ্চিমে নিচু এলাকায় মাঝেমধ্যে পাট চাষ হতো। দিনের বেলাতেই ছমছমে পরিবেশ। সন্ধ্যার পর কোনো রিকশাওয়ালাকে সিও বাজার–সংলগ্ন হেলিপোর্ট হোস্টেলে নেওয়া যেত না, বলতেন ‘ওনারা ধরবেন।’ হোস্টেলসংক্রান্ত কোনো ঘটনা না হওয়ায় গুটি গুটি পায়ে অনেকেই কাউসার হোটেল বরাবর গেটে জড়ো হলাম । পুলিশ সদস্যরাও কনফিউজড। সড়কের ওপর একজন মানুষকে পড়ে থাকতে দেখে দৌড়ে ওনার শুশ্রূষা করতে পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে যান। এক ভদ্রলোক অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছেন, মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে। দ্রুত ইমার্জেন্সিতে নেওয়া হয়। এক দেড় ঘণ্টা পর ওনার পরিচয় জানালেন পুলিশ সদস্যরা। উনি একজন জেল পুলিশ। রাতে একটু দেরি করে ডিউটি শেষে সিওবাজারের বাসায় ফিরছিলেন। মর্গের কাছাকাছি আসতেই প্রায় দোতলা লম্বা হলুদ শাড়ি পরা এক নারীর নাচানাচি দেখে উনি অজ্ঞান। ‘দুইতলা সমান লম্বা হলুদ শাড়ি পরা মহিলা’র খোঁজ নিতে উপস্থিত ছাত্র বা পুলিশদের খুব একটা উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না। সবারই চিন্তা দ্রুত যার যার অবস্থানে ফিরে যাওয়া। কিছুক্ষণ পর পিন্নু হোস্টেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে সিগারেটখেকো এক পরীক্ষার্থী বড় ভাই রহস্যের গিঁট খুললেন। রাস্তার দুই দিকের দুইটা আমগাছের সঙ্গে একটা ব্যানার লাগানো ছিল। বাসের/ট্রাকের কারণে একটা পাশ ছিঁড়ে যায়। দূর থেকে অন্য গাছের মাথা থেকে বাতাসে দুলতে থাকা ব্যানারটিই ‘দোতলার সমান লম্বা হলুদ শাড়ি পরা মহিলা।’
বিশাল বিশাল বট-পাকুড়-শিমুলগাছ, আলো-ছায়ার খেলা, নির্জনতা অনেক সময়েই আমাদের মনের গভীর ভিতর থেকে টেনে বের করে নানা ধরনের কুসংস্কার।
*লেখক: আসফাক বীন রহমান, সহযোগী অধ্যাপক, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ।