কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে স্পিডব্রেকার চাই
ময়নামতি শালবন বিহারের পাশ ঘেঁষে অবস্থিত লালমাটির ক্যাম্পাস কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিদিন প্রায় সাত হাজার শিক্ষার্থীর পদচারণে মুখর থাকে এ ক্যাম্পাস, যার অন্যতম প্রধান প্রবেশদ্বার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকটি।
প্রধান ফটকের সামনের রাস্তাটি প্রতিদিন হাজারো শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয় এরিয়ায় প্রবেশের একমাত্র পথ হলেও এতে নেই কোনো সড়ক নিরাপত্তার ব্যবস্থা। বিভিন্ন স্টেশনারি, ফটোকপি, খাবারসহ শিক্ষার্থীদের নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্রের দোকানগুলো প্রধান ফটকের বিপরীত পাশে হওয়ায় প্রতি ঘণ্টায় শত শত শিক্ষার্থীকে এই রাস্তা পারাপার হতে হয়।
অন্যদিকে শালবন বিহার, ময়নামতি, বৌদ্ধমন্দির, বার্ডসহ বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান থাকায় প্রতিদিন ফটকসংলগ্ন রাস্তাটিতে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, বাসসহ বিপুলসংখ্যক যানবাহন চলাচল করে। এটি অত্যন্ত জনবহুল ও সংবেদনশীল রাস্তা হলেও অধিকাংশ যানবাহনই চলে বেপরোয়াভাবে। এতে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়তই রাস্তা পারাপারে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। রাস্তাটি প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত সরু হলেও এটিতে হাইওয়ের মতো বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনের চাপ লক্ষ করা যায়। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয় ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রসারিত ক্যাম্পাসের কাজ চলমান থাকায় শিক্ষার্থী পরিবহন বাস ও কনস্ট্রাকশনের বিভিন্ন যানবাহন নিয়মিত চলাচল করে। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ভোগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট ভুক্তভোগীরা। এ ছাড়া এই রাস্তাসংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর শিক্ষার্থীরাও একই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। তাই দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি হয়ে উঠেছে প্রধান ফটকসংলগ্ন রাস্তা ও হলগুলোর সামনে স্পিডব্রেকার স্থাপনের ব্যবস্থা করা।
এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ হলগুলোর সামনে স্পিডব্রেকারের ব্যবস্থার মাধ্যমে বেপরোয়া গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করে শিক্ষার্থীদের রাস্তা পারাপার সমস্যার সমাধান করে দেওয়ার জন্য।
*লেখক: ফারহা খানম, শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।