হাওরের পানে, হৃদয়ের টানে–১

কী অনাবিল দৃশ্যছবি: লেখকের পাঠানো

দিগন্তবিস্তৃত হাওরের সৌন্দর্য সব সময় আমাকে আকৃষ্ট করে। আর যদি ফসল তোলার মৌসুম হয় তাহলে তো আর কথাই নেই। ফসল ভরা মাঠে ব্যস্ত কৃষকের হাসিমাখা মুখটা দেখার আনন্দটাই আলাদা। তাই প্রতি বৈশাখে ধান কাটার সময় একবার হলেও গ্রামের বাড়িতে যাই হাওরের সৌন্দর্য দেখা আর কৃষকের আনন্দে ভাগ বসানোর জন্য। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।

গত ১৯ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নেত্রকোনা থেকে হাওরের উদ্দেশে রওনা দিলাম। বরাবরের মতোই সঙ্গী হলেন জেলা শিক্ষা অফিস, নেত্রকোনার উচ্চমান সহকারী আব্দুল্লাহ যোবায়ের। উনিও হাওর দেখতে খুব আগ্রহী। সদা হাস্যোজ্জ্বল এ যোবায়ের সাহেব মোটরসাইকেল চালনায় বেশ পটু। ওনার সঙ্গে বেরোলে মোটরসাইকেলে চড়ার দুশ্চিন্তাটা তেমন একটা থাকে না বললেই চলে। যাহোক, দোয়াদরুদ পড়ে আমরা বেরিয়ে গেলাম। তবে সোজা পথে না। আমাদের পরিকল্পনাই ছিল অনেক জায়গা ঘুরে ফিরে তবেই মদন উপজেলায় আমার বাউশা গ্রামে যাব। আর এ জন্যই মদনের রাস্তা না ধরে কেন্দুয়ার রাস্তায় যেতে লাগলাম। আমাদের মূল টার্গেট ছিল কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং বাজার, গগডা আর মোজাফরপুর এবং তারাইল উপজেলার ধলা গ্রাম হয়ে জালিয়ার হাওরে যাওয়া এবং সেখানকার কৃষকদের ফসল তোলার কর্মকাণ্ডের প্রত্যক্ষ সাক্ষী হয়ে বিকেলে বা সন্ধ্যায় আবার নেত্রকোনা ফেরা।

যাহোক, কিছুক্ষণ যাওয়ার পর আমরা কেন্দুয়ার সিংহেরগাঁও গ্রামে পৌঁছালাম। এই গ্রামেই চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন একসময়ের পূর্ব ময়মনসিংহের তুমুল জনপ্রিয় মরমি বাউল কবি ও গায়ক জালাল উদ্দিন খাঁ (১৮৯৪-১৯৭২)। শিল্পকলায় (সংগীত) অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ২০২৪ সালের মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করেন। প্রখ্যাত এই লোককবি মালজোড়া গানের আসরেও ছিলেন অনন্য। জালাল উদ্দিন খাঁ অনেক গান রচনা করেছিলেন। তাঁর জীবদ্দশায় চার খণ্ডের ‘জালাল-গীতিকা’ গ্রন্থে ৬৩০টি গান প্রকাশিত হয়েছিল। তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয় ‘জালাল-গীতিকা’ পঞ্চম খণ্ড। সেই খণ্ডে গানের সংখ্যা ৭২। ৭০২টি গান নিয়ে ২০০৫ সালের মার্চে প্রকাশিত হয়েছে ‘জালাল গীতিকা সমগ্র।’ জালাল উদ্দিন খাঁ তাঁর গানগুলোকে বিভিন্ন ‘তত্ত্ব’তে বিন্যস্ত করে প্রকাশ করেন। সেই তত্ত্বগুলোর নামগুলো হলো আত্মতত্ত্ব, পরমতত্ত্ব, নিগূঢ় তত্ত্ব, লোকতত্ত্ব, দেশতত্ত্ব ও বিরহতত্ত্ব। এই গুণী সাধকের বাড়িতেই দেখা হয় তাঁরই নাতি মোস্তাক আহমেদ খানের সঙ্গে। তাঁর কাছেই জানতে পারলাম প্রতিবছর ১৬ শ্রাবণ এখানে বাউল সাধকের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। এ উপলক্ষে এখানে এ গুণী শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তাঁর ভক্তসহ সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ সমবেত হন। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২৫-২৭ এপ্রিল কেন্দুয়া উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক কেন্দুয়া হাইস্কুল খেলার মাঠে আয়োজিত হয় ‘জালাল মেলা’। এ ছাড়া এখানে এই সাধকের একটা প্রতিকৃতি ও তাঁর স্মরণে একটা গ্রন্থাগারও আছে। তবে আশপাশের কোথাও এই বাউল সাধক সম্পর্কে কোনো তথ্য চোখে পড়েনি, যা দেখে কোনো পথিক বা কোনো দর্শনার্থী তাঁর সম্পর্কে জানতে পারবে। মোস্তাক আহমেদ খানের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। তিনিও বিষয়টি উপলব্ধি করেছেন।

ধান শুকানোর কাজ চলছে।
ছবি: লেখকের পাঠানো

সিংহেরগাঁও থেকে কেন্দুয়া, চিরাং বাজার, গগডা আর মোজাফরপুর হয়ে চলে গেলাম তারাইল উপজেলার ধলা গ্রামে। ধলা গ্রাম পার হলেই জালিয়ার হাওর শুরু। ধলা গ্রামের প্রায় শেষ মাথায় দেখা হলো আলম মিয়ার (৩০) সঙ্গে। তিনি ভুট্টাখেতে কাজ করছিলেন। ওনার খেতের ভুট্টা আগেই সংগ্রহ করে ফেলেছেন। আমরা যেদিন গেলাম ওই দিন উনি ভুট্টার গাছগুলো কাটছিলেন। গাছের পাতাগুলো গরুর খাদ্য এবং কাণ্ডগুলো জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করবেন। আলম মিয়া বললেন, ৩০ শতাংশ জমিতে ভুট্টা চাষ করে তিনি ভুট্টা বিক্রি করেছেন ২০ হাজার টাকার। খরচ বাদে লাভ করেছেন প্রায় ১২ হাজার টাকা। একই জমিতে ভুট্টা ছাড়াও ধান আর পাটের চাষ করেন। কৃষি নিয়ে বেশ সন্তুষ্টই মনে হলো তাঁকে।

এখানেই কথা হলো মো. আবদুল কদ্দুসের (৮০) সঙ্গে। তিনি ৫ একর জমিতে ধান চাষ করেছেন। কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁর জমিতে ধান কাটা শুরু হবে। জমিতে ফলনও বেশ ভালো হয়েছে বলে জানালেন। তিনি আশা করছেন ৩৫০ মণের মতো ধান পাবেন। আল্লাহর রহমতে ভালোয় ভালোয় ফসলটা ঘরে তুলতে পারলেই হয়। ধলা গ্রামের আরেকজন কৃষক কাজল মিয়ার (৫০) সঙ্গে দেখা হয়, যিনি আরও কয়েকজনকে নিয়ে তাঁর ৪০ শতাংশ জমির ধান বস্তায় ভরছিলেন। এই জমি থেকে তিনি ধান পেয়েছেন ৩০ মণ।

‘নাগরিক সংবাদ’-এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]

ধলা গ্রাম পার হলেই দিগন্তবিস্তৃত জালিয়ার হাওর। হাওরের এক প্রান্ত থেকে তাকালেই দূরে আমাদের গ্রাম। দূর মানে বেশ দূর। কিন্তু ওপাশ থেকে মনে হয় আকাশটার একটা প্রান্ত যেন নিচু হয়ে আমাদের গ্রামসহ আশপাশের গ্রামগুলোকে স্পর্শ করে আছে। কী এক অপরূপ দৃশ্য! একেবারে মনকে উদাস করে দেওয়া মায়াবী এক দৃশ্য। কেবল তাকিয়ে থাকতেই ইচ্ছা করে। নিচে যত দূর চোখ যায় কোথাও সবুজ আর কোথাওবা সোনালি ধানখেত। তার মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রকৃতির আরেক সৌন্দর্যের প্রতীক প্রবহমান নদী, আর ওপরে সুবিশাল নীল আকাশ। একেবারে মন পাগল করা এক দৃশ্য।

ধলা থেকে যে রাস্তাটা ধানকুনিয়া সেতু হয়ে গ্রামে চলে গেছে, এটা আমার জন্য নতুন। আমি এর আগে কোনো দিন এই রাস্তা দিয়ে বাড়ি যাইনি। আগে যাওয়ার অবস্থাও ছিল না। এ রাস্তা আগে এতটাই দুর্গম ছিল যে এটা দিয়ে যাওয়ার চিন্তাও করিনি। ধানকুনিয়ায় বারনি নদীর ওপর সেতুটা হওয়ায় আর রাস্তাটা প্রশস্ত করে পাকা করায় মদন উপজেলা সদর থেকে কিশোরগঞ্জের যোগাযোগটা খুব সহজ হয়ে গেছে। আর যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতির ফলে এই এলাকায় আধুনিকতার ছোঁয়াও লেগেছে বেশ। এখন নায়েকপুর ইউনিয়নের একটা অংশ আর ধানকুনিয়া, লাছারকান্দা, ফতেপুর, দেউসলিয়া, হাসনপুর, রৌদ্রশ্রী ইত্যাদি গ্রামের মানুষের পণ্য পরিবহনের যে সুবিধা হয়েছে, তাতে তাঁরা তাঁদের শাকসবজি, মাছসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য সহজেই তারাইল ও কিশোরগঞ্জে নিয়ে যেতে পারছেন। এতে যাতায়াতের যেমন সুবিধা পাচ্ছেন, আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছেন তাঁরা।

ধলা থেকে বের হয়ে আমরা হাওর দেখতে দেখতে এগিয়ে চললাম। কিছুক্ষণ পর পৌঁছালাম বারনী নদীর ওপর নির্মিত সেতুতে। যেদিকেই তাকিয়েছি চোখে পড়েছে মন উজাড় করা সব দৃশ্য। চারদিকে যেমন আছে সবুজের সমারোহ, তেমনি আছে কৃষকের মনে আনন্দের ঢেউ তোলা সোনালি ধানে ভরা মাঠ। সেতুর দক্ষিণ পাশে নদীর পাড়ে একটু মাঠের মতো জায়গা। ভরদুপুরে প্রচণ্ড রৌদ্রেও সেখানে ফুটবল খেলছে কিছু দুরন্ত কিশোর। যেখানে বৈশাখের তাপপ্রবাহে এমনিতেই বাড়িতেই থাকা কঠিন সেখানে ফুটবল খেলা! আসলে শৈশব বলে কথা। ওদের দেখে আমাকেও নস্টালজিয়ায় পেয়ে বসল। শৈশবের এই সময়টায় ভরদুপুরে আমরাও কখনো জাম্বুরা দিয়ে, কখনোবা পুরোনো ছেঁড়া বলে খড় ভরে ফুটবল খেলতাম। আমাদের ফুটবল খেলার কোনো সময়সীমা থাকত না। যতক্ষণ ইচ্ছা খেলতাম।

সেতুর নিচ দিয়ে হাওর চিরে বয়ে যাওয়া বারনী নদীটা কত সুন্দর! আসলে নদী দেখতে আমার সব সময়ই খুব ভালো লাগে। আমার কাছে নদী মানেই মহান আল্লাহ তায়ালার এক বিশেষ উপহার। নদীর ধারে গেলে এর দৃশ্য দেখে আমার মনটা একেবারে বিমোহিত হয়ে যায়। এ দৃশ্য অনেকক্ষণ দেখেও স্বাদ মেটে না। ইচ্ছা হয় নদীর ধারে সারাক্ষণ বসে থাকি। তাই সেতুর ওপর থেকে নদীটার দিকে যখন দৃষ্টি পড়ল তখন আমি সত্যি সত্যি এক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেখা পাই, যা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।

হাওর এলাকায় নানা ফসলের সঙ্গে ভুট্টার চাষ হয়
ছবি: লেখকের পাঠানো

যাহোক, কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে মোটরসাইকেলে উঠি। এরপর আলমশ্রী হয়ে সোনাখালী গ্রামে পৌঁছাই। সেখানে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা কেউ ধান শুকাচ্ছিলেন, কেউবা কাজের ফাঁকে রাস্তার ধারে জিরিয়ে নিচ্ছিলেন। তাঁরা হলেন হারেছ তালুকদার (৬৫), আব্দুল মান্নান (৩০), আবুল হাশেম (৫০), মো. রাবেল মিয়া (৩২) ও সোহেল রানা (৫১)। তাঁরা সবাই ধানের ফলন নিয়ে খুব সন্তুষ্ট। এবার ধানে চিটা হয়নি। পানিতে ধান ডুবে যাওয়ার চোখরাঙানিও নাই। বৃষ্টিবাদলেরও উৎপাত নেই। সবদিক থেকেই কৃষকেরা শান্তিতে ধান ঘরে তুলতে পারছেন। একদিকে ধানের ফলন যেমন ভালো হয়েছে, তেমনি ধানের মূল্যও পাচ্ছেন বেশ। ফলে তাঁদের চোখে–মুখে প্রশান্তির ছোঁয়া অনুভব করলাম আমি।

সোনাখালীর যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা আলাপ করছিলাম, তার কাছেই একটা বেড়িবাঁধ আছে। এটাকে ‘আশার বেড়িবাঁধ’ বলা হয়। সরকারি অর্থায়নে হওয়া এই বেড়িবাঁধটা একদিকে ফসল রক্ষার ক্ষেত্রে যেমন সাহায্য করে, তেমনি কার্তিক মাসে জমি চাষের জন্যে পানি সংরক্ষণ করার কাজও করে থাকে। তাই বলা যায়, বেড়িবাঁধে মানুষের উপকারই হয়েছে।

হাওরের এক প্রান্ত থেকে তাকালেই দূরে আমাদের গ্রাম। দূর মানে বেশ দূর। কিন্তু ওপাশ থেকে মনে হয় আকাশটার একটা প্রান্ত যেন নিচু হয়ে আশপাশের গ্রামগুলোকে স্পর্শ করে আছে। কী এক অপরূপ দৃশ্য! একেবারে মনকে উদাস করে দেওয়া মায়াবী দৃশ্য।

এখানে একটা বিষয় উল্লেখ করতে চাই। আমাদের গ্রামের সামনের যে রাস্তাটি জালিয়ার হাওরের মাঝ বরাবর গিয়ে পুরো হাওর অতিক্রম করে একেবারে তারাইল চলে গিয়েছে, তাতে ধানকুনিয়া সেতু ছাড়া আর কোনো সেতু নেই। আর রাস্তাটা বর্ষাকালেও পানিতে ডুবে না। ফলে এখন ধানকুনিয়া সেতুর নিচ অর্থাৎ বারনী নদী ছাড়া অন্য কোনো পথে বর্ষাকালে দক্ষিণ দিক থেকে জালিয়ার হাওরের সঙ্গে ভাটি এলাকার পানিপ্রবাহের আর কোনো সুযোগ নেই। ফলে মিঠা পানির প্রাকৃতিক মাছের যে সমারোহ জালিয়ার হাওরে দেখা যেত, এখন আর তেমনটা নেই। বিশেষ করে চিংড়ি মাছ তেমন একটা পাওয়া যায় না বললেই চলে। ফলে মাছকেন্দ্রিক কার্যক্রম কিন্তু দিন দিন স্থবির হয়ে যাচ্ছে। ফলে এই হাওর পারের মানুষের জীবন–জীবিকায় একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক প্রোটিনেরও ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এখনই ভেবে এ থেকে উত্তরণের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এ এলাকার মানুষের মাছের অভাব যে দিন দিন বাড়তেই থাকবে, এটা নিশ্চিত করে বলা যায়।

লেখক
ছবি: লেখকের পাঠানো

হাওরে মাছ কমে যাওয়ার আরও কিছু কারণ আছে। ধান, পাট বা শাকসবজি ফলাতে এখন জমিতে প্রচুর পরিমাণ সার ও কীটনাশকের ব্যবহার হয়। এতে মাছের প্রজনন ও বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। আর একটা বিষয় হলো, ফাল্গুন-চৈত্র মাসে আমাদের অনেক বিল একেবারে শুকিয়ে ফেলে মা মাছগুলোকেও নির্বিচার ধরে ফেলা হয়। কিছু কিছু মাছ যেমন চিকরা, তারা বাইম, বাইম, গুতোম ইত্যাদি কাদামাটির মধ্যে লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করে। কিন্তু এখন বাজারে একধরনের ওষধ পাওয়া যায়। পানি শুকানোর পর বিল বা জলাশয়ের তলায় এ ওষুধ ছিটিয়ে দিয়ে মাটির নিচের মাছগুলোকেও বের করে এনে ধরে ফেলা হয়। পরে যখন বৃষ্টিবাদল শুরু হয় তখন ডিম দেওয়ার মতো মাছও তেমন একটা থাকে না বললেই চলে। এ ছাড়া এমন কিছু জাল আছে, যেগুলো থেকে ছোট ছোট মাছও রেহাই পায় না। এসব কারণে হাওর এলাকায় মাছ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাচ্ছে। ছোটবেলায় জালিয়ার হাওরে যে পরিমাণ মাছ দেখেছি, তার গল্প যদি আমরা বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের শোনাই তবে তারা বিশ্বাসই করতে চাইবে না। তারা ভাববে যে আমরা বানিয়ে বানিয়ে এসব গল্প বলছি। চলবে...

* লেখক: মো. মোতাহার হোসেন, সাবেক প্রধান শিক্ষক, মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, মোহনগঞ্জ, নেত্রকোনা।