দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশে কেন অস্থিরতা, সংকটের কারণ কী

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে দাঙ্গা পুলিশের মুখোমুখি বিক্ষোভকারীরাফাইল ছবি: রয়টার্স

ভৌগোলিকভাবে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, আফগানিস্তানের মানুষের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক মিল রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জনসংখ্যার, শিক্ষা, জীবনযাত্রা প্রায় একই। অনুন্নত কিংবা উন্নয়নশীল দেশগুলো যেন দুর্নীতির কেন্দ্রস্থল, যার ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতার লড়াই, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, শ্রমের মজুরি না পাওয়া, বেকারত্ব, জনজীবনে নিরাপত্তা না থাকা স্বাভাবিক ঘটনা। এককথায় এরা ঐতিহাসিকভাবে তৃতীয় বিশ্বের দেশ। কিন্তু বর্তমানে এরা নিজেদের উন্নয়নশীল বা স্বল্পোন্নত দেশ বলে দাবি করলেও জীবনমানের কোনো উন্নতি নেই। যার ফলে হঠাৎ করে তৈরি হয় রাজনৈতিক সংকট। সরকার পতনের মতো বড় অভ্যুত্থান। সাম্প্রতিক সময়ে যেমন শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও নেপালে এ ধরনের চিত্র দেখা যায়।

দক্ষিণ এশিয়ার উপনিবেশবাদ

দক্ষিণ এশিয়ার উপনিবেশবাদ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক অধ্যায়। এটি মূলত ইউরোপীয় শক্তিগুলোর (বিশেষ করে ব্রিটেন, পর্তুগাল, ফ্রান্স ও ডাচদের) দখল, শোষণ ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের ইতিহাসকে নির্দেশ করে। ১৫ শতক থেকে ইউরোপীয়রা সমুদ্রপথে এশিয়ায় আসে এবং তাদের আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করে। এর ফলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে যায় এ অঞ্চলের দেশগুলো। ঔপনিবেশিক শাসনের ফলে অর্থনীতি একমুখী হয়ে পড়ে। যেমন চা, নীল, জুটনির্ভরের ফলে স্থানীয় শিল্প ধ্বংস হয়ে যায়। যেমন বাংলার মসলিন। অপর দিকে ইউরোপীয় শক্তিগুলো দক্ষিণ এশিয়াকে কাঁচামালের সরবরাহকারী ও তাদের শিল্পপণ্যের বাজারে পরিণত করে, যার ফলে এই অঞ্চলে শিল্পনির্ভর অর্থনীতি গড়ে উঠতে পারেনি। ব্রিটিশদের টানা সীমারেখার কারণে কাশ্মীর সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান বিরোধ, শ্রীলঙ্কায় জাতিগত সংঘাত ইত্যাদি সৃষ্টি হয়। যার ফলে ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, শ্রীলঙ্কার তামিল বিদ্রোহ—এসব রাজনৈতিক সংকট আঞ্চলিক উন্নয়নকে ব্যাহত করে এবং ঔপনিবেশিক শাসন গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে ওঠার সুযোগ দেয়নি। এর ফলে স্বাধীনতার পর অনেক দেশে গণতান্ত্রিক দুর্বলতা, সামরিক শাসন বা পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এসব কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো গণতান্ত্রিকভাবে দুর্বল রয়ে গেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে অর্থনৈতিক সমীকরণ

দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশে বসবাসকারী দুই বিলিয়নের বেশি মানুষ, যারা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ। যার ফলে এ অঞ্চল বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে অধিক জনসংখ্যা এবং শিল্পায়ন তৈরি না হওয়ার ফলে অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল নয় এখানকার অর্থনীতি। কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশ ঐতিহাসিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি ছিল। ১৭০০ সালের মতো নিকট অতীতেও এ অঞ্চল বিশ্বের জিডিপির ২৫ শতাংশ ধারণ করত। কিন্তু ঔপনিবেশিক সময়কালে উল্লেখযোগ্য বি-শিল্পায়নের শিকার হয়। এর ফলে চরম দারিদ্র্যের হারও বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিগুণ হয়। বর্তমানে ভারত, বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে শিল্পায়ন তৈরি হলেও জনসংখ্যার অনুপাতে তা যথেষ্ট নয়। এ অঞ্চলের অর্থনীতি কৃষিনির্ভর, ফলে দেশগুলোকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বিশ্বের প্রভাবশালী সংস্থা বা দেশগুলোর কাছ থেকে ঋণ নিতে হয়, যা একধরনের অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করে স্থানীয় অর্থনীতিতে এবং অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির ফলে এই সংকট সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতি, নিরাপত্তাহীনতার ফলে সাধারণ জনগণ বারবার রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়।

নাগরিক সংবাদে জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]

অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং আঞ্চলিক ভূরাজনীতি

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলোর আদিম ধ্যানধারণা, সময়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আধুনিকীকরণ না করার ফলে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়।

বাংলাদেশ—কৃষিনির্ভর অর্থনীতির দেশ হলেও পোশাকশিল্প ও রেমিট্যান্স অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি। সাংবিধানিক গণতন্ত্র থাকলেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন–সংগ্রাম সাধারণ ঘটনা। রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতার অপব্যবহার, আধিপত্য বিস্তার, বিরোধী মত দমন, পরিবারকেন্দ্রিক দল পরিচালনা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, দুর্নীতি ও আমলাতান্ত্রিকতার ফলে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হওয়া এখানে স্বাভাবিক ঘটনা।

মালদ্বীপ—পর্যটননির্ভর অর্থনীতির দেশ এবং তাদের দ্বিতীয়ত বৃহত্তম অর্থনীতি মৎস্যশিল্প। দীর্ঘ সময় ধরে মালদ্বীপে কর্তৃত্ববাদী শাসন ছিল। ২০০৮ সালে নতুন সংবিধানের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পায়। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা প্রবল, তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ক্ষমতার দ্বন্দ্ব মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য।

আফগানিস্তান—কৃষিনির্ভর অর্থনীতির দেশ পশু পালন, পপি, ফল এবং গম উৎপাদন করে থাকে। দেশটিতে বর্তমানে কোনো গণতান্ত্রিক কাঠামো নেই এবং সম্পূর্ণ তালেবান সরকার–নিয়ন্ত্রিত। তালেবান সরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয়, যার ফলে নারীশিক্ষা, কর্মসংস্থান ও মানবাধিকারের সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক চাপ ও কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতা তৈরি করেছে। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির অভাবে বৈদেশিক সাহায্য ও বিনিয়োগ কম। ফলে বেকারত্ব ও দারিদ্র্যের হার বেশি। প্রাকৃতিক সম্পদ উত্তোলন বা ব্যবহারও সম্ভব হচ্ছে নানা কারণে। যা অভ্যন্তরীণ সংকট তৈরি করছে।

পাকিস্তান—কৃষি এবং আংশিক শিল্পনির্ভর অর্থনীতি। রেমিট্যান্স অনেক বড় ভূমিকা পালন করে পাকিস্তানের অর্থনীতিতে। পাকিস্তানে একটি ফেডারেল প্রজাতান্ত্রিক সংসদীয় সরকারব্যবস্থা চালু রয়েছে। কিন্তু সেনাবাহিনী পাকিস্তানের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করে আসছে, অদৃশ্যভাবে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ করে সেনাবাহিনী। বৈদেশিক ঋণের চাপ, বাজেটঘাটতি ও বাণিজ্যঘাটতি, মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্ব, দুর্নীতি, জ্বালানিসংকট, সেনা হস্তক্ষেপের ফলে পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একধরনের সংকট সব সময় থাকে।

নেপাল—কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ কৃষির সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া পর্যটন, রেমিট্যান্স, হাইড্রোপাওয়ার (জলবিদ্যুৎ) অর্থনীতির চালিকা শক্তি। ২০০৮ সালে রাজতন্ত্র বিলুপ্তের পর প্রজাতন্ত্রে রূপ নেয় এবং ২০১৫ সালের সংবিধান অনুযায়ী ফেডারেল সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হয়। যেখানে তিন স্তরের সরকার বিদ্যমান—ফেডারেল, প্রাদেশিক ও স্থানীয়। দুর্নীতি, প্রশাসনিক অদক্ষতা এবং রাজনৈতিক বিভাজনের ফলে ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক সংকটের মুখে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন সুশীলা কারকি।

শ্রীলঙ্কা—চা ও নারকেল রপ্তানির মাধ্যমে অর্থনীতি সচল থাকলেও পর্যটন খাতের ওপর নির্ভরশীল। ২০২২ সালে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা। বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি, ঋণের চাপ, জ্বালানি ও খাদ্য আমদানির অক্ষমতা অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে। দেশটিকে ঋণখেলাপি ঘোষণা করতে হয় এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে সাহায্য নিতে হয়। সমস্যা পেরিয়ে স্বাভাবিক হতে শুরু করছে দেশটির অর্থনীতি।

ভারত—ভারত দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতি এবং বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল দেশ। তাদের অর্থনীত কৃষি, শিল্প, টেক্সটাইল, লোহা-ইস্পাত, গাড়ি নির্মাণ, ওষুধ, তথ্যপ্রযুক্তি, হার্ডওয়্যার, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ইত্যাদির ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া যেসব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ তাদের রয়েছে, যেমন বেকারত্ব, দারিদ্র্য, আঞ্চলিক বৈষম্য, কৃষক সংকট ও মূল্যস্ফীতি। পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশ এখন ভারত। তাই রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক এই দেশকে পরিচালনা করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক বিভাজন, কেন্দ্র-রাজ্য ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, দুর্নীতি, বেকারত্ব ও কৃষক আন্দোলন, কাশ্মীর প্রশ্ন এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সমস্যাসহ কঠোর হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি যেকোনো সময় ভারতকে রাজনৈতিক সংকটের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

ভূটান—ভুটান কৃষি, পর্যটন ও জলবিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল অর্থনীতি। তবে কিছু অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেমন ভারতের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরতা, সীমিত শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সমস্যা, তরুণ প্রজন্মের বিদেশগামী শ্রম অভিবাসন, বৈদেশিক ঋণ, বিশেষ করে অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ প্রকল্পে। তবে যুবসমাজের কর্মসংস্থান সংকট ভবিষ্যতে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণ হতে পারে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রায় একই। যেখানে দেখা যাচ্ছে কৃষিভিত্তিক দুর্বল অর্থনীতি ও দুর্নীতি, অপশাসন, অর্থ পাচার ও স্বজনপ্রীতি। এর ফলে সৃষ্ট সংকট এ অঞ্চলের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্বমোড়লদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা

বর্তমান বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করার জন্য ক্ষমতাধর দেশগুলো নিজেদের মধ্যে লড়াই করে এই অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে চায়। কারণ, পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ এখানে বাস করে এবং উন্নয়নশীল অঞ্চলের পরিণত হচ্ছে। ভূরাজনৈতিকভাবে এ অঞ্চল কৌশলগত। তাই এসব দেশে বিনিয়োগ এবং ঋণ দিতে তারা আগ্রহী, যা তাদের একধরনের প্রভাব বিস্তারের কৌশল। ওই সব মোড়লদেশের দ্বন্দ্বের ফলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে। এ ধরনের সংকট মোকাবিলার জন্য আমার মতে সার্ক অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। সার্ক যদি কার্যকরভাবে কাজ করত, তাহলে দক্ষিণ এশিয়ায় সহজে কোনো বহিরাগত শক্তি প্রভাব বিস্তার বা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করতে পারত না। সার্ক যেসব উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল, যেমন দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রযুক্তিগত ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন সাধন, দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্যনিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষা নিয়ে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ, সদস্যরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও আস্থা বৃদ্ধি—কার্যকরভাবে এ উদ্দেশ্যগুলো পালন করতে পারলে এ অঞ্চলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করত। বর্তমানে ভারতের দাদাগিরি নীতির ফলে সার্ক একটি অকার্যকর সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলায় করণীয়

১. আঞ্চলিক সহযোগিতার বৃদ্ধি করা উচিত (সার্ককে উজ্জীবিত করা)।

২. দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দমন করে গণতান্ত্রিক চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে।

৩. রাজনীতিকে আধুনিক করতে হবে। যেমন—

  • রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বৃদ্ধি—জনগণের ভোটাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, দলীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি।

  • প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ—রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন ও বিচার বিভাগের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী ও কার্যকর করা।

  • ধর্মনিরপেক্ষতা—রাজনীতিকে ধর্মীয় প্রভাব থেকে আলাদা করে রাষ্ট্র পরিচালনা করা।

  • আইনের শাসন—নাগরিকদের সমান অধিকার নিশ্চিত করা এবং শাসনব্যবস্থায় আইনকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেওয়া।

  • গণতন্ত্রায়ণ—জনগণের মতামত ও সম্মতির ভিত্তিতে সরকার গঠন ও ক্ষমতার হস্তান্তর।

  • দক্ষ প্রশাসন—স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও দক্ষতার মাধ্যমে জনগণের সেবা প্রদান।

৪. অর্থনীতির ও সামাজিক উন্নয়ন বৃদ্ধি করা।

৫. নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করা।

লেখক: মো. সাদিকুল ইসলাম, শিক্ষার্থী, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।