৪৬তম বিসিএস পরীক্ষা, প্রসঙ্গ ত্রুটিপূর্ণ প্রশ্নপত্র

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)ফাইল ছবি

গত ২৬ এপ্রিল ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা যথাযথ প্রক্রিয়ায় সারা বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী কয়েকটি প্রশ্নে ত্রুটি বিদ্যমান থাকার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) অবহিত হয়েছে।

প্রশ্নে ত্রুটি ও দ্বৈত উত্তর থাকায় পরীক্ষার হলে বিভ্রান্ত হয়ে পরীক্ষার্থীদের যথেষ্ট মানসিক চাপে পড়তে হয়েছে। তবে পরীক্ষায় ত্রুটিপূর্ণ প্রশ্নের দায়ভার কোনোভাবেই পরীক্ষার্থীদের নয়। পরীক্ষা চলাকালে গণিত, ইংরেজিসহ অন্যান্য বিষয়ে পারদর্শিতা থাকায় যাঁরা ওই সব ত্রুটিপূর্ণ প্রশ্ন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাইয়ের মাধ্যমে সমাধান করতে মূল্যবান সময় ব্যয় করেছেন, তাঁরা ওই সব প্রশ্ন দাগিয়ে কয়েকটি মূল্যবান নম্বর অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। অপর দিকে, যাঁরা ওই সব ত্রুটিপূর্ণ প্রশ্ন সমাধানে সময় ব্যয় করেননি, পরীক্ষায় তাঁদের সময় নষ্ট হয়নি, বিধায় অন্যান্য প্রশ্ন সমাধানে যথেষ্ট সময় প্রদান করতে পেরেছেন এবং অধিক প্রশ্ন দাগিয়ে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু অপর পক্ষের পরীক্ষার্থীরা ত্রুটিপূর্ণ প্রশ্নগুলোয় সময় ব্যয় করার কারণে আরও প্রশ্ন দাগিয়ে অধিক নম্বর অর্জন করে তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিসিএস পরীক্ষায় অন্য অনেকের চেয়ে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাই প্রতিটি ত্রুটিপূর্ণ প্রশ্নের জন্য শুধু ঢালাওভাবে সব প্রার্থীকে পূর্ণ নম্বর প্রদান অথবা ত্রুটিপূর্ণ প্রশ্নগুলো বাতিল করলেই সমস্যার ন্যায্য সমাধান হবে না।

অতএব আশা করি, নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট দেরির কারণে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দিয়ে সময়ের মূল্য বোঝানো ‘কর্তৃপক্ষ’ অনুরূপভাবে ত্রুটিপূর্ণ প্রশ্নে প্রার্থীদের মূল্যবান সময় নষ্টের গুরুত্ব অনুধাবন করবে এবং সময় নষ্ট হওয়ার কারণে প্রার্থীদের ক্ষতি বিবেচনায় স্বাভাবিক ক্ষেত্রের তুলনায় অধিক পরীক্ষার্থীকে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে সমস্যার ন্যায্য সমাধান করতে পারে।

*লেখক: জনৈক ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষার্থী, খুলনা।