তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করতে ‘তামাকবিরোধী সংসদীয় নারী ফোরাম’ গঠিত

তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠন ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে ‘তামাকবিরোধী সংসদীয় নারী ফোরাম’ছবি: বিজ্ঞপ্তি

প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠন ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে ‘তামাকবিরোধী সংসদীয় নারী ফোরাম’। গতকাল সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নারী মৈত্রীর আয়োজনে নারী সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে ‘তামাকবিরোধী সংসদীয় নারী ফোরাম গঠন’বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলি।

সভায় শবনম জাহান শীলাকে (মহিলা আসন-২৪) আহ্বায়ক করে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট ফোরাম গঠন করা হয়। ফোরামের অন্য সদস্যরা হলেন মাহফুজা সুলতানা (মহিলা আসন-৬), জারা জাবিন মাহবুব, (মহিলা আসন-৭), পারভীন জামান (মহিলা আসন-৯), শেখ আনার কলি পুতুল (মহিলা আসন-৩০), সানজিদা খানম (মহিলা আসন-৩২), মাসুদা সিদ্দিক রোজী (মহিলা আসন-৩৪), ফরিদা ইয়াসমিন (মহিলা আসন-৩৫), নাজমা আকতার (মহিলা আসন-৩৭), লায়লা পারভীন (মহিলা আসন-১৩), আশ্রাফুন নেছা (মহিলা আসন-৪৪), হাছিনা বারী চৌধুরী (মহিলা আসন-৩১) ও অনিমা মুক্তি গোমেজ (মহিলা আসন ২৯)।

উন্নয়নকর্মী ও কথাসাহিত্যিক স্বপ্না রেজার সঞ্চালনায় সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের লিড পলিসি অ্যাডভাইজর ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের সাবেক সচিব মুস্তাফিজুর রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার বলেন, ‘ফোরাম গঠনের পর থেকে সংসদ সদস্যরা তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছেন। এ ছাড়া জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছেন। ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর যে ঘোষণা, তা বাস্তবায়নে সংসদ সদস্যরা কাজ করছেন এবং সামনের দিনগুলোতে একত্রে আরও নতুন উদ্যমে কাজ করবেন।’

নবগঠিত তামাকবিরোধী সংসদীয় নারী ফোরামের আহ্বায়ক শবনম জাহান শীলা বলেন, নারীর স্বাস্থ্যের নীরবঘাতক ধোঁয়াবিহীন তামাক। নারীদের মধ্যে বৃহত্তর একটি জনগোষ্ঠী তামাকের কারণে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। শুধু তা–ই নয়, পাবলিক প্লেসে ধূমপানের কারণে অধূমপায়ী নারী ও শিশুরাও মারাত্মক স্বাস্থ্যগত ক্ষতির শিকার হচ্ছে। তামাকের এসব ক্ষতি থেকে সবাইকে রক্ষার জন্য দ্রুত বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটির সংশোধনী পাস করতে হবে। কেননা, যত দ্রুত আইন পাস হবে, তত বেশি মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে। এ অগ্রগতি ধরে রাখতে ফোরাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

প্রধান আলোচক ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের লিড পলিসি অ্যাডভাইজর মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রতিদিন ৪২২ জন মানুষ প্রাণ হারান তামাক ব্যবহারের কারণে। এই মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে আমাদের তামাকের ব্যবহার নিয়ে সচেতন হতে হবে। পরোক্ষ ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন তামাকের হাত থেকে আমাদের নারী ও শিশুদের রক্ষা করতে হবে।’

এ ছাড়া নবগঠিত ফোরামের নারী সংসদ সদস্যরা তাঁদের বক্তব্যে ফোরামের ভবিষ্যৎ কার্যাবলি নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা করেন। বিজ্ঞপ্তি