অনাকাঙ্ক্ষিত ফোন কল হাতিয়ে নিচ্ছে সর্বস্ব

যোগাযোগের নানা মাধ্যমের মধ্যে অন্যতম মুঠোফোন। বর্তমান সময়ে মুঠোফোনবিহীন যোগাযোগ কল্পনাও করা যায় না। যে কোন সময়, যে কোন প্রান্ত থেকে কথা বলা যায় মুঠোফোনের কল্যাণে। পরিচিত–অপরিচিত যে কেউ যোগাযোগ করতে পারেন শুধু মুঠোফোন নম্বর থাকলে। মাঝেমধ্যে চেনা-অচেনা নানা নম্বর থেকে কল আসে, যেটাকে আমরা সাধারণত রং নম্বর বলে থাকি। এই রং নম্বরের মাধ্যমেই হয়ে যায় নানা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অপ্রত্যাশিত ঘটনা।

মুঠোফোনের মাধ্যমে কিছু অসাধু চক্র সব সময় চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে, বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে, ইসলামিক বা ধর্মীয় বিষয়ে মানুষের আবেগকে পুঁজি করে অর্থসম্পদ কীভাবে হাতিয়ে নেওয়া যায়।

এসব চক্রের প্রধান টার্গেট থাকে গ্রামের সহজ-সরল মানুষের পাশাপাশি সমাজের উচ্চ শ্রেণি এবং শিক্ষিত মানুষ। এসব চক্রের ব্রেনওয়াশ এমন পর্যায়ে যে যতক্ষণ না পর্যন্ত মানুষ তাদের অর্থসম্পদ না দিয়ে দেন, ততক্ষণ কিছুই বুঝে উঠতে পারেন না। যার ফলে সাধারণ মানুষ এমন চক্রের নয়–ছয় না বুঝেই নিজের সবকিছু দিতে দ্বিতীয় বার ভাবেন না। আর যখন ভাবেন, তখন কিছুই করার থাকে না। সর্বস্ব হারিয়ে তখন দিশাহারা হয়ে পড়েন।

আমাদের সমাজে প্রযুক্তির যতই ছড়াছড়ি হোক, এখনো যাঁরা প্রযুক্তির অপব্যবহার করে তাদের আইনের আওতায় আনা হয় না। প্রযুক্তিকে কেন্দ্র করে বেড়ে উঠছে শত শত অপরাধী চক্র। অথচ অপরাধীরা সব সময়ই অপকর্ম করে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। মানুষ এসব ঝামেলার পরে থানায় জিডি করেও কোনো সমাধান পান না, যা পান সেটা যৎসামান্য। বছরের পর বছর পেরিয়ে যায় তবুও কোনো অপরাধী চিহ্নিত হয় না। যার ফলে এই অপরাধী চক্র তাদের বিস্তার দিন দিন প্রসারিত করে এবং মানুষের সর্বস্ব লুটপাট করে নিয়ে যায়।

এমন সমস্যার প্রাথমিক সমাধান একটাই

আমাদের সচেতনতা। সচেতনতার জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদে বিভিন্ন সময়ে মিটিং বা কোনো আয়োজন উৎসবে এগুলো নিয়ে মানুষকে ধারণা দেওয়া এবং মসজিদগুলোয় আলোচনা করা, যাতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত কল আসলে হুটহাট এই চক্রের কথায় সাধারণ মানুষ কোন সিদ্ধান্ত না নেন। যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে বা এমন প্রলোভনমূলক কোন ঘটনা ঘটলে যেন অবশ্যই পরিবার–পরিজনের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেন।