খেলা
বাবা পিচ্চি ঝিমুর কাছে এসে ফেঁসে গেছেন! ঝিমু খেলনা দিয়ে রান্নাবান্না খেলছিল। একা একাই। তার তো আর ভাইবোন নেই, তাই একাই খেলছিল। বাবা এসে বলেন, ‘কী করে আমার ঝিমু বুড়ি?’
ঝিমু জিব বের করে ওপরের ঠোঁট স্পর্শ করে বলে, ‘রান্না করি।’
বাবা আরাম করে বসে বলেন, ‘তা হলে খেয়েই যাই। কতক্ষণ লাগবে রান্না হতে?’
ঝিমু আর বাবাকে ছাড়েনি। কারণ, তার রান্নাবান্না খেলায় রান্না শেষ হয়নি। রান্না শেষ হলে বাবাকে দেবে, বাবা মিছেমিছি খাওয়ার পর বলবেন, ‘কেমন হইছে,’ তারপর ছুটি।
নাগরিক সংবাদে জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]
ইচ্ছা করে উঠে যেতে পারেন। তাতে মেয়ে রাজ্যের দুঃখ মনে এনে চোখ ভরবে জলে। কিন্তু বাবা সেটা করবেন না। মেয়েকে তিনি অত্যন্ত স্নেহ করেন। স্নেহ ভালোবাসার বন্ধন বড় জটিল। অনেক সময় অন্ধ করে দেয়।
মা গোসল সেরে এসে চুল মুছতে মুছতে এসে দেখেন, ঝিমুর সামনে ওর বাবা বসে আছেন। চোখ ছোট করে মা বলেন, ‘তুমি কী করো? তোমার না বাজারে যাওয়ার কথা?’
বাবা ফাঁদে আটকা পড়া কার্টুন টমের মতো নিরীহ চোখে বলেন, ‘ফাঁইসা গেছি মেয়ের কাছে! রান্না না খেয়ে উঠতে পারব না। কঠিন মেহমানদারি গো, কঠিন মেহমানদারি!’
মা বিড়বিড় করে কিছু বলে চলে গেলেন অন্য রুমে। পুরোটা বোঝা গেল না। তবে পাগল শব্দটা ছিল বলার মধ্যে, এটা নিশ্চিত।
‘পাগল ছাড়া দুনিয়া চলে না’
*ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম থেকে, [email protected]