মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মরণে  স্বপ্ন ’৭১ প্রকাশনের আয়োজন

মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে ‘মাইকেল মধুসূদন অন্বেষণ: রেবেকা ও হেনরিয়েটা’ শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিল্পী ও আলোচকবৃন্দছবি: সংগৃহীত

২৯ জুন, শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় রাজধানীর কাঁটাবনের স্বপ্ন ’৭১ প্রকাশন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে ‘মাইকেল মধুসূদন অন্বেষণ: রেবেকা ও হেনরিয়েটা’ শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

মুক্ত আসরে সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও নজরুল সংগীতশিল্পী পাপিয়া আক্তার শাহিনা মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন;তা সবে, (অবোধ আমি!) অবহেলা করি,পর-ধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণপরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।কাটাইনু বহু দিন সুখ পরিহরি।’ এই কবিতাটি প্রখ্যাত সুরকার অজিত রায়ের সুরে গানটি পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর সবাই দাঁড়িয়ে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিটে নীরবতা পালন করা হয়।

‘মাইকেল মধুসূদন অন্বেষণ: রেবেকা ও হেনরিয়েটা’ শীর্ষক আলোচনা করেন লেখক ও গবেষক দিলদার হোসেন
ছবি: সংগৃহীত

‘মাইকেল মধুসূদন অন্বেষণ: রেবেকা ও হেনরিয়েটা’ শীর্ষক আলোচনা করেন লেখক ও গবেষক দিলদার হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা মাইকেলকে ১৫১ বছরের পর স্মরণ করি, কারণ তাঁর গুরুত্ব এখনও আমাদের কাছে অসীম। তিনি একজন অসীম শক্তিশালী কবি। মহাকবি। তিনি বেঁচে থাকবে তাঁর অমর সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে। তিনিই ছিলেন বাঙালির প্রথম বিদ্রোহী কবি । ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রেবেকা ও হেনরিয়েটাকে। দুইজনেই ভিন্ন দেশে হলো কবির ভালোবাসার কমতি ছিল না।’

স্বপ্ন ’৭১ প্রকাশনের প্রকাশক আবু সাঈদ বলেন, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শক্তিশালী কবি। তাঁর মহাপ্রয়াণে এমন একটি আয়োজন খুব জরুরি। তাঁর সৃষ্টিকর্ম নিয়ে আমাদের আরও বেশি চর্চা হওয়া দরকার।

আলোচনা শেষে নজরুল গবেষণা কেন্দ্রে ‘আমিই নজরুল’ এর শিল্পীবৃন্দ সংগীত পরিবেশ করেন। সংগীত পরিবেশ করেন বিশিষ্ট নজরুল সংগীত শিল্পী উন্মে রুমা ট্রফি, শাহিনা পারভীন,  ইশরাত জাহান, পরেশ চন্দ্র পালসহ প্রমূখ।

অনুষ্ঠানের সব অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানেন মুক্ত আসরের যুগ্ম সাধারণ কৌশিক চাকমা। অনুষ্ঠানটি সহযোগিতা ছিল মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক ‘মুক্ত আসর’, বইবিষয়ক পত্রিকা ‘বইচারিতা’, নজরুল গবেষণা কেন্দ্র ‘আমিই নজরুল’।