মাইক্রোবায়োলজি কাউন্সিল কি দরকার!

ছবি: প্রথম আলো

ভাইভা বোর্ডে এইচআর থেকে প্রশ্ন এল একজন বোর্ডের হট সিটে বসে থাকা মাইক্রোবায়োলজিস্টের কাছে—আচ্ছা, আপনার রেজিস্ট্রেশন নম্বর বলেন!

কিসের রেজিস্ট্রেশন? ইউনিভার্সিটি নাকি স্কুল বা কলেজের?

কি বলেন, ঢুকবেন করপোরেট জবে, আপনারা নিবন্ধন নম্বর দেন।

আমাদের তো এমন কিছু নেই স্যার!

কিন্তু এখানে জয়েন করতে হলে আপনার কোনো একটা ডকুমেন্ট আপনাকে দিতেই হবে, নিয়ে আসুন, তারপর আবার বসি।

এটা একটা ঘটনা, বিদেশের একটা ঘটনা, কিন্তু মাইক্রোবায়োলজিস্ট একজন খাঁটি বাংলাদেশি, যে কিনা জবের ইন্টারভিউ দিচ্ছে। বেচারা এখন চিন্তায় পড়ে গেল, কে দেবে এখন একটা সুপারিশ। আছে কি কোনো বোর্ড, বডি বা সংগঠন!

ঘটনা-২...

একটা ফার্মাতে অডিট চলছে, অডিটর মাইক্রোবায়োলজিস্ট খুঁজছেন। কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট নিয়ে এল, চেক করে অডিটর দেখলেন তিনি অনার্স করেছেন বোটানিতে, আর মাস্টার্স মাইক্রোবায়োলজি। অডিটর মানতে নারাজ, আমার পিওর মাইক্রোবায়োলজিস্ট লাগবে। পিওর আর ভেজাল মাইক্রোবায়োলজিস্ট আমার জানা নেই, তবে বুঝলাম অনার্স করলেই তিনি পিওর হয়ে যেতেন। তাহলে পিওর আর নন–পিওর মাইক্রোবায়োলজিস্টের এই সার্টিফিকেট কে দেবে! আছে কি কোনো বডি!

ব্যাকটেরিওলোজিস্ট, ভাইরোলজিস্ট নামে অনেক সার্কুলার চোখে পড়ে, আবার সেখানে নাকি ননমাইক্রোবায়োলজিস্টরাও জব করে, কিন্তু মাইক্রোবায়োলজিস্টরা পারে না। অদ্ভুত কাণ্ড তো! ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া দেখেই যাদের ৪-৫ বছর কেটে যায়, তাদের চিনতে জব পায় না।

আরও পড়ুন

সরকারি-বেসরকারিভাবে কিছু একটা না থাকলে প্রতিনিয়ত হোঁচট খেতেই হবে। তাই মাইক্রোবায়োলজি কাউন্সিল দরকার আছে কি না, সেটা নিয়ে ভাবার সময় চলে যাচ্ছে কিন্তু। আজ ভাবলে, শুরু হবে আরও ১০ বছর পরে, কাল ভাবলে সঙ্গে আরও কয়েক বছর! এভাবেই কি চলবে!

*মনোজিৎ কুমার রায়, মাইক্রোবায়োলজিস্ট

নাগরিক সংবাদে জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: [email protected]