শব্দের ‘দর্পণ সাক্ষী’ ১৩ নভেম্বর

নাটকের একটি দৃশ্য

রাজধানীর বেইলি রোড়ে মহিলা সমিতি নীলিমা ইব্রাহীম মিলনায়তনে ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যা সাতটায় শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্র প্রযোজনা ‘দর্পণ সাক্ষী’ পরিবেশিত হবে। নাটকটি রচনা করেছেন, চন্দন সেন আর নির্দেশনা দিয়েছেন খোরশেদুল  আলম। এটি ‘দর্পণ সাক্ষী’ নাটকের ৩৮তম প্রদর্শনী।

প্রতিটি মানুষের জীবনে এমন একটা সময় আসে যখন অন্তত একবার তাকে আয়নার সামনে দাঁড়াতে হয়। সে আয়না তাকে জিজ্ঞেস করে, হ্যালো মিস্টার হাউ ডু ইউ ডু? ভাঙা কাচের টুকরার মতো তখন মুখের রং, রূপ সব ভেঙে পড়ে। বোঝা যায় এতক্ষণে আসল মুখটা দেখা হলো। ‘দর্পণ সাক্ষী’ নাটকে মানুষের মূল্যবোধের অবক্ষয় ও আজকের সমাজের অবস্থানকে আমরা অবলোকন করি। চাটুকারিতা, শঠতা, স্বার্থপরতা, দুর্নীতি পরায়ণতা, সন্ত্রাসী মনোবৃত্তি ও ক্ষমতার অপব্যবহার আমাদের পরতে পরতে  ছড়িয়ে পড়েছে।

নাটকের পাত্রপাত্রীদের অন্ধকার জীবনের কুৎসিৎ রূপ আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় অবক্ষেয়র স্বরূপ। কিন্তু এর থেকে মুক্তি নেই? গোলাম রাব্বানী, তার স্ত্রী নীলিমা, ছেলেমেয়ে, পুলিশের এসপি সরকার, রাজনৈতিক নেতা সুলতানুল কবির, নেতার মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী, সবার জীবনের অতীতটা কুৎসিত, কদাকার ও অন্ধকার। সবার সে অন্ধকার দিকটা উন্মোচিত করে দেয় বাড়িতে আশ্রিত চাকর হারুন। সব জেনে গেছি, সব বুঝে গেছি, মাস পয়লায় হাঁড়ি ফাটাব। হারুনের এই সহজ-সরল কথায় সবাই ভয় পেয়ে আতঙ্কে নিজের গোপন পাপ স্বীকার করে। হারুর এই উক্তি কি শুধু সরল মনের কথা নাকি বিবেকের টানাপোড়েনে ক্ষতবিক্ষত মানুষের আসল রূপ আয়নায় প্রতিফলিত হচ্ছে।

তাই ‘দর্পণ সাক্ষী’ নাটকের শেষ দৃশ্যে গোলাম রাব্বানীকে বলতে দেখি, ‘একটা অলৌকিক লোক আমাদের মধ্যে এসে সবাইকে কেমন জব্দ করে দিয়ে গেল। আমাদের আসল চেহারাগুলোকে স্পষ্ট করে দিয়ে গেল। নীলিমা, টেক ইট ইজি, এখন কনফেস করার সময়। এসেছে ছেলেমেয়েদের সামনে সবকিছু খুলে বলার।’

নেপথ্যে:
আলো: সাখাওয়াত শিবলী
মঞ্চ: আলী আহম্মেদ মুকুল
আবহ: মঈন উদ্দীন কোহেল
রূপসজ্জা: শাহিনূর সারোয়ার
পোশাক: রওশন জান্নাত রুশনী।

অভিনয়ে: খোরশেদ, এহসান, রুশনী, মাহমুদ, মুন্না, আল আমিন, হাসিব, আলফা, জুয়েল, ষড়জ।